January 11, 2025

জলাশয় ভরাট। চ্যানাচুর ফ্যাক্টরির ধোঁয়া। বালুরঘাটের ৪ নং ওয়ার্ড যেন নরক

1 min read

জলাশয় ভরাট। চ্যানাচুর ফ্যাক্টরির ধোঁয়া। বালুরঘাটের ৪ নং ওয়ার্ড যেন নরক

কিছুদিন আগেই শহরের ডাঙ্গা খাঁড়ি নিয়ে সরব হয়েছিল বালুরঘাটবাসি। সেই রেশ এখনও আছে। তার মধ্যেই বালুরঘাট শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের একটি জলাশয় ও চ্যানাচুর ফ্যাক্টরির কালো ধোঁয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অতিষ্ঠ ওয়ার্ডবাসি আজ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই ওয়ার্ডের মধ্যে একটি জলাশয়ে নোংরা ফেলছে এক শ্রেনীর মানুষ। তার মধ্যে প্রকট হয়ে উঠেছে ওই ওয়ার্ডেরই একটি চ্যানাচুর ফ্যাক্টরির ফেলা প্লাষ্টিক-ছাই বর্জ্য। অন্যান্য মানুষও দিনের আলো অথবা রাতের অন্ধকারে বাড়ির নোংরা- আবর্জনা ফেলে যায়। কচুরিপানায় ভর্তি এই নোংরা-কালো জলাশয় মশাদের নিরাপদ বাসস্থান। পৌরসভা কেও জানিয়েছেন তারা। কোনো কাজ হয় নি এমনটাই মত এলাকাবাসীর।

জলাশয়ের পাশেই বালির স্তূপ। হওয়া হলে সেই বালি উড়ে যায় ঘরের ভিতরে। চ্যানাচুর ফ্যাক্টরির ধোঁয়া পরিবেশের এবং বয়স্ক মূলতঃ শিশুদের স্বাস্থ্যের ভয়ংকর ক্ষতি করে দিচ্ছে। এই সমস্ত কিছু জানিয়েই আজ পরিবেশপ্রেমী সংস্থা দিশারী সংকল্প কে দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।আজ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন দিশারী সংকল্পের প্রতিনিধিরা। তারা বাসিন্দা দের কথা শোনেন সমস্যা গুলো ঘুরে দেখেন ।

কথা বলেন চ্যানাচুর ফ্যাক্টরির মালিক প্রদীপ সাহার সঙ্গেও।ওয়ার্ড বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ ভৌমিক, দীপাঞ্জন সরকার, মধুমিতা মন্ডল সহ অন্যরা জানান ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগছি। জলাশয় থাকুক।আমরা সেটা চাই। আর যে কোন ধরণের নোংরা-আবর্জনা যাতে না ফেলা হয় সেটা দেখা হোক। আমাদের ওয়ার্ড একটিও ডাস্টবিন নেই।উড়ে আসা বালি,চ্যানাচুর ফ্যাক্টরির ধোঁয়া আমাদের প্রতিনিয়ত বিপদে ফেলছে।

আমরা অসহায় । পৌরসভাকে পুনরায় জানাবো।আমরা যে কোনো মূল্যে এই সমস্যা গুলি থেকে মুক্তি চাই।’চ্যানাচুর ফ্যাক্টরির মালিক প্রদীপ সাহা জানান ‘ জলাশয়ে ফ্যাক্টরির আবর্জনা আর ফেলবনা এবং ধোঁয়াও যাতে কারো সমস্যা সৃষ্টি না করে সেটা দেখবো।’এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দিশারী সংকল্প সংস্থার পক্ষে তুহিন শুভ্র মন্ডল,রিক গুহ, সনাতন প্রামাণিক, নীলাদ্রি শেখর মুখার্জিরা জানান ‘দূষণ সৃষ্টি করে কোনো ফ্যাক্টর চলতে পারেনা। আর জলাশয় প্রকৃতির কিডনি। এভাবে ভরাট হওয়া কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না।আমরা সমস্ত বিষয় বালুরঘাট পৌরসভা এবং পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে জানাবো’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *