January 11, 2025

অপ্রতিরোধ্য কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক সৌমেন রায়। বললেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিজেপি সতেরো টি ওয়ার্ডে সতেরো শূন্য গোল এ জয়লাভ করবে

1 min read

অপ্রতিরোধ্য কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক সৌমেন রায়। বললেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিজেপি সতেরো টি ওয়ার্ডে সতেরো শূন্য গোল এ জয়লাভ করবে

তনময় চক্রবর্তী।।।।অদম্য ইচ্ছা ও মনের জোর যদি থাকে কারো তাহলে কোন বাঁধাই যে  বাঁধা নয় তা দেখিয়ে দিচ্ছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর বিজেপির বিধায়ক সৌমেন রায়। তিনি করোনা আবহের মধ্যে যেভাবে অসহায়  মানুষদের পাশে থেকে কাজ করে চলেছেন তা এক নজিরবিহীন। বিধায়ক এর কাজে আপ্লুত কালিয়াগঞ্জ বাসী। বর্তমানের কথা স্টুডিওতে এসে এক খোলামেলা সাক্ষাৎকারের বিধায়ক জানালেন তার মনের কথা। তিনি সাক্ষাৎকারে প্রথমেই বললেন করোনা আবহের মধ্যে ধীরে ধীরে কমছে কালিয়াগঞ্জ এ করোনা র প্রকোপ। তাই কিছুটা হলেও স্বস্তিদায়ক খবর। তিনি বলেন আমার প্রিয় কালিয়াগঞ্জ এর মানুষ ধীরে ধীরে করোনা প্রকোপ থেকে সুস্থ হচ্ছে । 

তাই শুধু বিধায়ক হিসাবে বলব না সাধারন একজন নাগরিক হিসাবে আমি মনে করি এটা আমাদের সকলের কাছে আনন্দের খবর যে এখন আর আগের মত করোনা তে কেউ আক্রান্ত হচ্ছে না ।ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে করোনার প্রকোপ।তিনি বলেন ছোটবেলা থেকে কারো কষ্ট হলে আমি তা সহ্য করতে পারিনা। জীবনে আমি অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছি প্রত্যন্ত একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করে। খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করেছি। তার জীবনে কষ্ট টা কি আমি তা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করেছি। তাই কষ্ট কারো দেখলে আমার নিজেরও কষ্ট হয়। সৌমেন বাবু বলেন কারো যখন কষ্ট হয় কারো যখন চোখের জল পড়ে তখন তার সব সময় ইচ্ছা হয় তার পাশে ছুটে গিয়ে তাকে তার সাধ্যমত সাহায্য করে ভাই বন্ধুর মত পাশে থাকতে। বিধায়ক বলেন এইভাবে আগামী দিনেও কালিয়াগঞ্জ বাসীর পাশে থেকে তিনি কাজ করে যাবেন তার সাধ্যমত।

সৌমেন বাবু বলেন তার পরিবার টা রাজনীতির পরিবার । তার যখন থেকে জ্ঞান হয় তখন থেকে তিনি দেখতে পান তার বাবাকে রাজনীতি করতে। অনেক বড় বড় নেতাদেরকে তার বাড়িতে আসতে দেখতেন। এছাড়াও অনেক বড় বড় রাজনৈতিক প্রোগ্রামে তার বাবাকে দেখতেন বড় বড় নেতাদের সঙ্গে অংশ নিতে। তাই ছোটবেলা থেকে আমার রাজনীতি দেখে বড় হওয়া।সৌমেন বাবু বলেন তার রাজনীতিতে প্রবেশ খুব ছোটবেলা থেকে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে ।তিনি বলেন তখন কংগ্রেস ও সিপিআইএম ছাড়া বিকল্প কোন দল ছিল না তাই কংগ্রেস রাজনীতি দিয়েই তার হতে খড়ি।তিনি বলেন যেহেতু তার বাপ ঠাকুরদা রা কংগ্রেস করতেন তাই তিনিও সে সময় কংগ্রেস করতেন।

বিধায়ক বলেন তার রাজনীতিতে আসার মূল চাবিকাঠি ছিলেন তার বাবা। তিনি কথা প্রসঙ্গে ছোটবেলার একটি কথা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন যেহেতু তিনি খুব নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা একজন মানুষ। তার বাবা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকতা করতেন। তখন প্রাথমিক স্কুলের বেতন তেমন ছিল না ।মাসের শেষে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়তাম আমরা। কৃষি জমি ও সেভাবে ছিলনা।

তখন দেখতাম প্রত্যেক মাসে যখন আমি একটু বড় হলাম একটু বুঝতে শিখলাম তখন দেখতাম  বাবা ও মায়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছে কোন এক জায়গায় মতের মিল হচ্ছে না। আমি তখন বুঝার চেষ্টা করলাম কোথায় সমস্যাটা হচ্ছে। তো একদিন আমার কানে এল বাবা বসে হাসছে আর মা বলছে তুমি কি এই ভাবে পয়সা গুলো মানুষের জন্য বিলিয়ে দিবে।কে খেতে পড়ছে না তাকে চাল কিনে দিছো ,কার পরনের শাড়িটার ছিড়ে গেছে তাকে শাড়ি কিনে দিচ্ছ। অথচ তোমার দুটো মেয়ে একটি ছেলে আছে । ওদের ব্যাপারে কি তুমি কিছু ভাববে না ?  আজকে আমাদের মাসের শেষে ঋণ করতে হয়। ওদের টিউশনির পয়সা দিতে কষ্ট হয়। মা-বাবার মধ্যে যখন এই কথাগুলো হচ্ছিল তখন আমার সে কথাগুলো শুনে কোন রাগ হচ্ছিল না বরঞ্চ গর্ব অনুভব করছিলাম। যে বাবা মানুষের জন্য এতকিছু করছে । তখন আমি খুব আনন্দ ফিল করতাম।

আমার খুব ভালো লাগতো বাবার এই কান্ড কারখানা দেখে।  আমাদের সেই সময় খুব কষ্টের মধ্যে সংসার চলত।  সেই সময় দাড়িয়ে বাবা যেভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতো সেটা খুব আমাকে খুব  অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।বিধায়ক সৌমেন বাবু এদিন কলেজ জীবনের রাজনীতির কিছু কথা বলতে গিয়ে বলেন কলেজ রাজনীতিতে আমার জীবনের একটা ইতিহাস রয়েছে। আমার মনে পড়ে যখন আমি আলিপুরদুয়ার কলেজে পড়তাম। সেই সময় বাইরে থেকে কোন ছেলে এসে কলেজে নেতাগিরি করবে সেটা শহরের ছেলেরা পছন্দ করত না। সেসময় ছাত্র পরিষদের দু-তিনটা গ্রুপ ছিল। একটা  সৌমেন মিত্রের গ্রুপ ছিল একটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রুপ ছিল একটা প্রিয়দার  গ্রুপ ছিল। স্বভাবতই সেইসময় দু-তিনটা গ্রুপ থাকার ফলে আমি যেহেতু  উঠে এসেছি রাজনীতিক পরিবার থেকে তাই সেই সময় আমার মধ্যে একটু রাজনৈতিক বোধ ছিল। মানুষের সাথে মিশতে বন্ধুর মত চলাফেরা করতে আমার ছোটবেলা থেকেই শখ ছিল। ফলে অল্প দিনের মধ্যে আমি জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিলাম কলেজে। সেক্ষেত্রে শহরের ছেলেরা ঠিক মেনে নিতে পারছিল না আমাকে যেহেতু আমি গ্রাম থেকে উঠে এসেছি বলে। সেই সময় আমাকে তারা পিটিয়েছিল। এমনকি আমি হসপিটালে ভর্তি হয়েছিলাম। আমাকে এসএফআইয়ের কোন ছেলে মারধর করে নি আমাকে ছাত্র পরিষদের ছেলেরাই মারধর করেছিল। তখন আমি হাসপাতালে শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম যদি আমি সত্যি একদিন রাজনীতিবিদ হয়ে উঠি তাহলে এই ছেলেরাই  আগামী দিনে আমার সাথে সাথে ঘুরবে। আমি সেটা আলিপুরদুয়ার কলেজে প্রমাণ করে দিতে পেরেছিলাম ওই ছেলেরাই পরবর্তীতে আমার সাথে ঘুরে আমাকে দাদা বলে রাজনীতিতে প্রসিদ্ধ হয়েছিল। তখন নিজেকে খুব গর্বিত বলে মনে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল গ্রাম থেকে উঠে এসেও নেতা হওয়া যায় তা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছিলাম আমি। পরবর্তীতে তিনি কেন বিজেপিতে এলেন  ? এই প্রশ্নের উত্তরে সৌমেন বাবু জানান , অবশ্যই যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদীর জন্য ই আমার বিজেপিতে আসা। উনার কাজ উনার অনুপ্রেরণায় আমার বিজেপিতে আসা।তারপর দল করেছি।দল যেভাবে আজকে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে তাতে দলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন রাজনীতি মানেই লড়াই। আর বিরোধীদল করতে গেলে লড়াই করতে হবে। সেই লড়াই করার মানসিকতা আমার মধ্যে আছে। লড়াই করে মানুষের সাথে থেকে মানুষের জন্য কাজ করার মানসিকতা আমার মধ্যে রয়েছে। তবে আতঙ্কিত বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তিনি বলেন তিনি কখনোই প্রাণের ভয়ে কোন কিছু থেকে পিছিয়ে আসেননি। সৌমেন রায় এর কাছে কালিয়াগঞ্জ একটা অপরিচিত জায়গা। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যখন টিকিট পেলেন আপনি বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য তখন আপনার কাছে কেমন লাগছিল ? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভারতবর্ষের সর্ব বৃহৎ দল ভারতীয় জনতা পার্টি তাকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করেছে কালিয়াগঞ্জ আসনের জন্য দাঁড়াবার জন্য এতে আমার খুব ভালো লেগেছে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে একটু ভয় ছিল যে অচেনা জায়গা। সত্যি কথা বলতে কি নির্বাচনের আগে কখনোই কালিয়াগঞ্জে আসা হয়নি। এখানকার মানুষ কেমন তার কোনো অভিজ্ঞতা আমার ছিল না। এরপরে একটু হলেও অস্বস্তি বোধ হয়েছিল আমার। তিনি বলেন যখন তিনি কালিয়াগঞ্জে এলেন তখন এখানকার সাধারন মানুষ  থেকে বিশেষ করে এখানকার রাজবংশী মানুষরা কোমল হৃদয়ে তাকে সন্তানের মতন করে গ্রহণ করেছে তাতে আমি আপ্লুত এবং অভিভূত হয়েছিলাম। তিনি বলেন এই ঋণ তিনি কখনোই শোধ করতে পারবেন না। যেভাবে আজ কালিয়াগঞ্জ এর মানুষ আমাকে আশীর্বাদ দিয়েছে। সৌমেন বাবু আরো বলেন যখন তিনি এখান থেকে দাঁড়াবেন বলে দল ঘোষণা করেছিল তখন কালিয়াগঞ্জে যখন ক্ষোভ বিক্ষোভ চলছিল দলের মধ্যে কালিয়াগঞ্জ এতে তার কোন ভয় লাগেনি বরঞ্চ হাসি পাচ্ছিল। তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ এ দলের মধ্যে যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছিল  স্বাভাবিক ঘটনা। এটা তাদের জায়গায় আমি থাকলে আমিও ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখাতাম।আমি ও সেই সময় হয়ত বক্তব্য রেখে বলতাম আমিও বহিরাগত মানছি না।আমাদের মধ্যে কি কেউ যোগ্য ছিল না ?  তবে যারা বিক্ষোভ করছিল তারা যে মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছিল সেই মাত্রা তে আমি হয়তো পৌছাতাম না কারণ আমি একজন দল ভালোবাসার মানুষ। সৌমেন বাবু বলেন সবাই আমাকে পরবর্তীতে মেনে নিল। এবং আমার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ল বিধানসভা নির্বাচনে দলের সমস্ত কার্যকর্তা ও কর্মীরা। আজ তাদের জন্যই আমি জয়লাভ করতে পেরেছি। সৌমেন বাবু বলেন তিনি কালিয়াগঞ্জে দাঁড়ানোর সুযোগ পাওয়ার পর সেই সুবাদে কালিয়াগঞ্জ এর বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় তিনি গিয়েছেন ঘুরে বেরিয়েছেন ।  মানুষের সাথে কথা বলেছেন তাতে তিনি মনে করেন বিগত দিনে কালিয়াগঞ্জে কোনো উন্নয়ন হয়নি। তিনি বলেন নির্বাচনী প্রচারে তিনি যখন গিয়েছিলেন তখন তাকে শুনতে হয়েছিল আপনি তো বাইরে থেকে এসেছেন । আপনি জেতার পরে চলে যাবেন না তো। সাধারণ মানুষ এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন আপনারা যদি আমাকে আপনাদের সন্তানের মতন করে ভাই ভাস্তার   মতন করে আপনাদের চরনে জায়গা দেন তাহলে আমি আপনাদের পাশে থাকব। সেটা আমি প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছি জেতার পড়ে। আজ আমি কালিয়াগঞ্জে স্থায়ী বাসিন্দা। এখানে ঘর ভাড়া নিয়ে আমি থাকছি। দিন রাত চব্বিশ ঘণ্টা আমি কালিয়াগঞ্জে মানুষের সাথে আছি। থাকবো আগামী দিনেও। কালিয়াগঞ্জ এর বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে তাই সেই সুবাদে কালিয়াগঞ্জ এর বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প কাজ কেমন হচ্ছে  ? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন যেহেতু রাজ্য সরকারে  আমরা ক্ষমতাই নেই তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকারের কোন প্রকল্প  নিয়ে আসতে পারি  তার  জন্য  আমি এবং আমাদের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী তার জন্য আমরা দুজনেই আপ্রাণ চেষ্টা করব। তিনি বলেন নির্বাচনের প্রাক্কালে মানুষকে আমি অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তারমধ্যে এক্সপোর্ট জন ছিল। কালিয়াগঞ্জ থেকে বুনিয়াদপুর নতুন রেললাইন চালু করা এবং রাধিকাপুর হাওড়া এক্সপ্রেস এর টাইম টেবিল পরিবর্তন এই সব কিছুই ছিল। স্বভাবত আমরা রাজ্য সরকারই ক্ষমতায় আসেনি তবুও কেন্দ্রীয় সরকারে আমরা আছি ।তাই এই সমস্ত প্রকল্পগুলি যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন স্বভাবত আমি সেই কাজগুলি করার ব্যাপারে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি যেহেতু কাজের মানুষ।  কাজ পাগল মানুষ। কাজ নিয়ে থাকতে চাই।  তাই আমি নির্বাচিত হওয়ার পর শপথ নিয়ে প্রথম রেল দপ্তরকে আমি চিঠি করি। এই প্রকল্প গুলির বিষয় নিয়ে আমি যেখানে যেখানে চিঠি করতে হয় করেছি এছাড়া যেখানে যেখানে টেলিফোন করতে হয় আমি তার করেছি। বিধায়ক সৌমেন রায় আরো বলেন যেখানে যেখানে আমি কথা বলেছি তারা তাকে আশ্বস্ত করেছেন বিষয়টি যাতে দ্রুত করা যায় সে ব্যাপারে। এছাড়া তিনি বলেন করোনার প্রকোপ একটু হালকা হলেই তিনি নিজে দিল্লি যাবেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে এ ব্যাপারে কথাবার্তা বলবেন সামনাসামনি। তিনি বলেন রাধিকাপুর এক্সপোর্ট জোন নিয়ে ব্যবসায়ী  থেকে সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের ইচ্ছা চাহিদা। কারন এই এক্সপোর্ট জোন চালু হলে শুধুমাত্র এখানকার মানুষই উপকার হবে তা নয় ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশ ই উপকৃত হবে। এবং কালিয়াগঞ্জ সহ উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের মানচিত্রটাই বদলে যাবে। তাই এটা একটা ভাল কাজ তাই এটা করবার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। এটা নিয়েও আমি চিঠি করেছি। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে তার   সাথে বাংলাদেশের জাহাজ মন্ত্রী র সাথে কথা হয়েছে। তিনি তাঁকে অনুরোধ করেছেন যাতে এ ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হয় ভারতের তরফে। সৌমেন বাবু বলেন এ ব্যাপারে বাংলাদেশের জাহাজ মন্ত্রী কে তিনি বলেন তিনি তাদের তরফ এ ভারত সরকারের কাছে একটি চিঠি পাঠাতে বলেন। বিধায়ক বলেন বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে তাদের হাই ওয়ের কাজ অনেক টা সম্পূর্ণ করেছে রাধিকাপুর এর ওপারে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত। সৌমেন বাবু বলেন ব্যক্তিগতভাবে তিনি এই প্রকল্পের ব্যাপারে একশ শতাংশ আশাবাদী। তিনি বলেন এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। উনিও তাকে কথা দিয়েছেন আমরা দুইজনে মিলে একসাথে উদ্যোগী হয়ে এই এক্সপোর্ট জোন করার ব্যাপারে চেষ্টা করবেন। কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক সৌমেন রায় বলেন, কালিয়াগঞ্জ বাসি যেভাবে তাকে দুই হাত তুলে আশীর্বাদ দিয়েছেন নিশ্চয়ই আমি কালিয়াগঞ্জ বাসীর জন্য জানিনা রাজ্য সরকারের আমরা নেই তবুও কতটা কি করতে পারব তবে দুই তিনটি প্রকল আমি ভেবে রেখেছি। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার। আর আমি ভারতীয় জনতা পার্টির একজন বিধায়ক। স্বভাবত কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের সঙ্গে সরাসরি আমার কোন সম্পর্ক নেই। ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গের একটা বিধানসভার বিধায়ক আমি। সেই হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে আমি আমার বিধানসভা এলাকার উন্নয়নে দাবি বা আবদার রাখতেই পারি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সাংসদদের মাধ্যমে সারা ভারতবর্ষের উন্নয়ন করে। আমিও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বা আমাদের গার্জেন এর কাছে আমার আবেদন আমি রাখতেই পারি। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ করতে গেলে রাজ্য সরকার কোথাও বাধা দেবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। তিনি বলেন রাজ্য সরকার নিশ্চয়ই চাইবেন কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে রাজ্যের  যদি কোন জায়গার উন্নয়ন হয় সে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কোথাও বাধা দেবেন বলে তিনি মনে করেন না। কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক বলেন কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের যে দুর্দশা তা তিনি নির্বাচনের আগেও শুনেছেন এরপর আমি জেতার পরেও খোঁজ নিয়েছি।জানতে পেরেছি সেখানে পর্যাপ্ত নেই বেড। এক্সরে মেশিন খারাপ হয়ে রয়েছে সাত-আট মাস ধরে। তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের বেড আড়াইশো বেডের হয়েছে ঠিক কিন্তু বাস্তবায়িত হয়নি এখনো পর্যন্ত। তাই এবার বিধানসভায় গিয়ে আমি এই বিষয়ে তুলে ধরবো। যাতে আড়াইশো বেডের হাসপাতাল দ্রুত তার সাথে রূপান্তরিত হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বলবেন। যাতে দ্রুত তার সাথে এই কাজটি সম্পন্ন হয়। সামনে পৌরসভা নির্বাচন আসছে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিজেপি কতটা কনফিডেন্স এবার তারা কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা দখল করতে চলছে ? এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে বিধায়ক বলেন তিনি এ ব্যাপারে একশ শতাংশ নিশ্চিত এবারের পৌরভোটে বিজেপি সতেরো টি ওয়ার্ডে সতেরো শূন্য গোল এ জয়লাভ করবে। কালিয়াগঞ্জ এর যা উন্নয়ন হয়েছে তার তৃণমূলের বোর্ড এর আমলে হয়েছে। এক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে কেন মানুষ ভোট দিবে ?  এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন সব সময় যে রাজ্য সরকারকে দোষ দেবেন আপনি তা ঠিক নয়। রাজ্য সরকার হয়তো চাইল আপনার মাধ্যমে সে উন্নয়ন এখানে করবে। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় আপনি অলস আপনি কাজের মানুষ নন। সে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার চাইলেও সেই এলাকার উন্নয়ন কখনোই সম্ভব হবে না। সৌমেন বাবু মনে করেন তার বিশ্বাস একটা সরকার যেমন একটা মা এবং পিতা কখনোই তার সন্তানের খারাপ চায়না। তাই রাজ্য সরকার ও রাজ্যের কোন বিধানসভা এলাকার মানুষের খারাপ চাননা। তারা নিশ্চয়ই চাইছে উন্নয়ন হোক সর্বতোভাবে। কিন্তু স্থানীয়ভাবে যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদের কাজ করবার সদিচ্ছা নেই তাই আজকে কালিয়াগঞ্জ এর গ্রামাঞ্চল থেকে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা অউন্নয়নে ভরে গেছে। তিনি বলেন একটু বৃষ্টি হলেই কালিয়াগঞ্জ শহরে জল জমে যায়। ড্রেনেজ এর কোন ব্যবস্থা নেই ঠিকঠাকভাবে। তাই কালিয়াগঞ্জ কে দেখে মনেই হয় না একটা পৌরসভা। তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ একটি শান্তি প্রিয় এলাকা। এখানকার মানুষজন খুব সুন্দর। অশান্তি এখানকার মানুষ পছন্দ করেনা। তাই বিগত দিনে বিধানসভার ভোট যেভাবে এখানে সাধারণ মানুষরা শান্তিতে ভোট দিতে পেরেছেন আগামী দিনের পৌরসভা নির্বাচনেও এখানকার মানুষ শান্তিতে ভোট দিবে এ ব্যাপারে তিনি যথেষ্ট আশাবাদী। সৌমেন বাবু এদিন বলেন বিজেপি কর্মীরা সব সময় মাঠে-ময়দানে থেকে কাজ করে চলছে। তাই আগামী দিনে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা বিজেপির দখলে যাচ্ছে এ নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। করোনাকালে আপনাকে দেখা যাচ্ছে সব সময় অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে এই ধরনের মানসিকতা র অনুপ্রেরণা কিভাবে পেলেন আপনি ? এই প্রশ্নের উত্তরে কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক বলেন মানুষের কাছে থাকাটা তার বাবার কাছ থেকে তিনি পেয়েছেন অনুপ্রেরণা। মানুষের কষ্ট দুর্দশা দেখলে আমার কষ্ট হয়।  ক্ষুধার্ত মানুষ যাদের লকডাউনের মধ্যে খুব খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছিল তাদের কথা শুনে আমি থাকতে পারি নি তাই আমি আমার নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করে তাদের পাশে গিয়ে থাকার চেষ্টা করেছি। এইভাবে ঘুরতে ঘুরতে বহু জায়গায় দেখেছি জঙ্গলের মধ্যে জরাজীর্ণ অবস্থায় মানুষকে বসবাস  করতে  এমনও দেখেছি।  তাই সেই সময় এই সমস্ত মানুষকে দেখে আমি আর থাকতে পারিনি। নিঃসন্তান দম্পতিকে দেখে আমার বিবেকের দংশন হয়েছে তাই তার থাকবার জন্য আমি যতটুকু পেরেছি আমি ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তিনি বলেন এটা বড় কিছু নয় এটা আমার দায়িত্ব এবং কর্তব্য বলেই আমি করেছি। এর পাশাপাশি সৌমেন বাবু বলেন আলিপুরদুয়ার ফালাকাটা এই সমস্ত এলাকায় আমার বাসস্থান। সেখানকার সমস্ত রকম গরিব মানুষদের সাথে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। দীর্ঘদিন সেখান থেকেই আমার সবকিছু করা। আলিপুরদুয়ার আমার ছাত্র অবস্থা থেকেই সম্পর্ক। যখন সেখানে গিয়ে শুনলাম চা বাগানের মানুষদের দুর্দশার অবস্থা তখন আর আমি ঘরে বসে থাকতে পারিনি। বাবা মায়ের অসুস্থতার জন্য আমি গিয়েছিলাম। বাবাকে দেখতে গিয়েও আমি সেই ফাঁকে ছুটে গিয়ে  সেখানকার অসহায় দরিদ্র মানুষদের পাশে থেকেছি। সবশেষে বিধায়ককে প্রশ্ন করা হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনাকে নিয়ে গুঞ্জন আপনি কি তৃণমূলে যাচ্ছেন এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন নিম্নমানের প্রশ্নের কোন উত্তর হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *