করোনায় কলকাতায় কোম্পানির চাকরী হারিয়ে অলক কালিয়াগঞ্জ শহরে তালশাস বিক্রি করে জীবিকা।নির্বাহ করছে-
1 min readকরোনায় কলকাতায় কোম্পানির চাকরী হারিয়ে অলক কালিয়াগঞ্জ শহরে তালশাস বিক্রি করে জীবিকা।নির্বাহ করছে-
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,২৮জুন:একেই বলে নিয়তি।কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত সিলেবাস ব্যাগ কোম্পানীতে অনেক কষ্ট করে চাকরিপেয়ে দীর্ঘ দিন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে চাকরি করছিল।কিন্তূ করোনার প্রথম ঢেউ শুরু হতেই ব্যাগ ফ্যাক্টরির চাকরিটি চলে যায় সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ হবার কারনে।অলক সরকার প্রতিদিন কালিয়াগঞ্জ শহরের মহেন্দ্রগঞ্জ বাজার এলাকায় তালেরসাস বিক্রি করে কোন রকমে সংসার চালাচ্ছে।অলক সরকার বলেন তার বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের নন্দন গ্রামে।সেখানে প্রচুর তাল গাছ আছে।
সেখান থেকে প্রতিদিন সাত থেকে আটশো ছোট ছোট তাল পেরে কালিয়াগঞ্জে নিয়ে আসি।অলক সরকার বলেন একটি তালে তিনটি করে সাশ থাকে।দাম দশ টাকা। দশ টাকার একটি তাল সাস বিক্রি করলে ছয় টাকা।লাভ থেকে যায়।সারাদিনে কতগুলো তাল সাস বিক্রি হয়। এক প্রশ্নের উত্তরে অলক সরকার বলেন যে হারে গরম পড়েছে তাতে প্রতিদিন ছয় থেকে সাতশো তাল সাশ বিক্রি হয়।
গরম যদি এই রকম চলতে থাকে তাহলে ব্যবসা ভালই চলবে।প্রতিদিন দিনের শেষে সব কিছু বাদ দিয়ে চারশো টাকা নিট মুনাফা হবার ফলে বাড়ির মা বাবা ভাই বোনদের নিয়ে কোন রকমে সংসার চালিয়ে নিচ্ছি।অলক সরকার ক্ষোভের সঙ্গে বলেন করোনার জন্য আমাদের সরকার স্কুল কলেজ বন্ধ করে।কিন্তূ নির্বাচন বন্ধ করেনা।করোনা এখনো আছে কিন্তূ নির্বাচনের দাবি ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে।
সব কিছু চললেও বিগত দুই বছরের উপর ধরে স্কুল কলেজ বন্ধ।এই বন্ধের কারণেই আমাদের কারখানার মালিক তার ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিলেও সরকার থেকে ফ্যাক্টরি খোলার ব্যাপারে কোন উদ্দ্যোগ নেই বলে দুঃখ করেন।অলক সরকার বলেন তালের সাশের ব্যবসা কদিন করতে পারবো? এর পর কি ভাবে সংসার চালাবো বলতে পারেন? সরকার আমাদের জন্য কোন একটা ব্যবস্থা নিক।না হলে নাখেয়ে মরতে হবে বলে অলক সরকার জানান।