January 11, 2025

আমার সোনার হরিণ চাই তোরা যে যা বলিস ভাই-

1 min read

আমার সোনার হরিণ চাই তোরা যে যা বলিস ভাই-

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,২৮জুন: তোরা আমাকে যা খুশি তাই বলতে পারিস,আমার তাতে কিছু যায় আসেনা,সমাজ সেবায় যে কারনে আমি এসেছি আমাকে সেই লক্ষে পৌঁছাতে হবেই।রাজনীতি করতে এসে বা সমাজ সেবা করতে এসে যদি আমি আমার ঘর গুছিয়ে নাই নিতে পারি তাহলে অমন সমাজ সেবা করার আমার কি প্রয়োজন বলুনতো?আমাদের দলকে কালিয়াগঞ্জের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে কি হয়েছে আমি কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় জিতে এসে কোন পদ না পেলেও ঝরেতো বগ মেরে পাঁচ জনের একজন হতে পেরেছি।এটাই বা কম কিসের?এই ক্ষমতা আমার থাকলেই আমি এলাকার মানুষের বিরোধীতাকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় আমার সোনার হরিণ আমাকে নিতেই হবে।কারন কাদের সরকার আছে সেটা দেখতে হবে।আমাদের সরকার থাকবে আর আমার জমির পাশে অন্য মানুষ দোকান কিনে ব্যবসা করবে

এটা কোন ভাবেই একজন প্রসাশক হিসাবে আমি মেনে নিতে পারবোনা।কারন প্রশাষকের পার্টি অফিসের পাশে কোন দোকান বিক্রি হলে সেই দোকান বা জমি সে ছাড়া কারো ক্রয় করবার ক্ষমতা থাকতে পারেনা তাদের সরকারের আমলে।এটা বুঝতে হবে।রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভ্যানে করে কে চপ ক্যাটলেট বিক্রি করে করে সংসার।চালায় আমার সেটা দেখার দায়িত্ব নয়।কারন আমি খুব ভালো করেই জানি আগামী পৌর নির্বাচনে আমার পক্ষে তৃণমূলের হয়ে জেতা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।এর কারণ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ যেমন জানে তেমনি আমিও খুব ভালো করেই জানি।আমি কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রসাশক মন্ডলীর একজন সদস্য হয়ে সমাজ সেবার পরিবর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে যে ভাবে এলাকার মানুষের সাথে অহেতুক ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়ছি ভালো ব্যবহারের পরিবর্তে একটার পর একটা দৃশ্যের অবতারণা করছি তাতে যে আসন্ন পৌর ভোটের বাজারে আমার সুনাম আগের মত বা তার ধারে কাছে বর্তমানে নেই তা এলাকার মানুষের সাথে অন্যভাবে খোঁজ নিলেই বোঝা যেতে পারে শুধু মাত্র আমার ভেতরে আসা প্রশাষকের পদ পাবার অহংকারে কারনে। আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা এই অবনতি আমার কেন হল?কেনই বা একটা জায়গা জোর করে নেবার জন্য একজন চুনোপুঠি প্রসাশক কয়েক দিনের জন্য হয়ে অন্যায় ভাবে কালিয়াগঞ্জ থানার সাহায্যে আমার আশা মেটানোর জন্য বৈঠক ডাকছি।এসব ঠিক হচ্ছেনা জেনেও আমি যেন এসব।কি করছি আমি।মিজেও জানিনা।কিন্তূ কিছু না জানলেও একটা জিনিষ খুব ভালো করে জানি পৌর নির্বাচন আসবে আবার বিধান সভার মত ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে গো হারা হেরেও যাবো।কিন্তূ তাতে কি লাভ হবে?তার চেয়ে এই কয়টা দিনের ক্ষমতার আস্ফালনে যদি দোকানটা জোর করে অবৈধভাবে হাতিয়ে নিতে পারি তাহলে সেটাই হবে আমার সমাজ সেবার বড় সাফল্য এবং তৃণমূল করার জন্য বড় পুরস্কার তাই নয় কি? যদিও তৃণমূলের অনেক সদস্যই বলতে শুরু করে দিয়েছেন “ওর কত জমি দরকার লাগে রে”।সাথে সাথে শুনিয়ে দেন দুই বিঘা জমির কবিতার অংশবিশেষ।তাই তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই আমার এই রাজনৈতিক জীবনে।জানা যায় কি তৃণমূল দল বা কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা প্রশাসক মন্ডলীর সদস্যরা মুখে কিছু প্রকাশ না করলেও দলের বিরুদ্ধে যাওয়া কোন কাজকে তারা কোন ভাবেই সমর্থন  করেনা।তা ছাড়া সামনেই আবার পৌর নির্বাচন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *