গ্রামীন হাটগুলিতে করোনা সংক্রমন রোধে সচেতনতায় নেমে পড়লো গ্রাম পঞ্চায়েত
1 min readগ্রামীন হাটগুলিতে করোনা সংক্রমন রোধে সচেতনতায় নেমে পড়লো গ্রাম পঞ্চায়েত
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১৫ মে:উত্তর দিনাজপুর জেলায় করোনা সংক্রমনের প্রভাব ক্রমাগত লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাবার কারনে কালিয়াগঞ্জের ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মকর্তারা করোনা সংক্রমনে রোধে ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের হাটে আসা মানুষদের সচেতন করতে নেমে পড়লো। জানা যায় উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা সাশক অরবিন্দ কুমার মিনার নির্দেশে এবং কালিয়াগঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক প্রসূন ধারার তৎপরতায় ব্লকের প্রতিটি হাটে এই সচেতনতা করবার কর্মসূচি চলবে বলে জানা যায়।বৃহস্পতিবার কালিয়াগঞ্জ ৭নম্বর ভান্ডার অঞ্চলে পঞ্চায়েতের আয়ুশ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ডাঃ চিন্ময় দেবগুপ্তের নেতৃত্বে ভান্ডার অঞ্চলের বাঘন-বটতলী হাটে এই সচেতনতামূলক প্রচার শুরু হয়।
আয়ুশ চিকিৎসক ডাঃ চিন্ময় দেবগুপ্ত বলেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার সাথে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকের সাথে কালিয়াগঞ্জ ব্লকে ও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তা এক কথায় আতঙ্কের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।আমাদের সবার এখন একটাই প্রধান কাজ কিভাবে আমরা এর থেকে সাধারণ মানুষদের সচেতন করে রক্ষা করবো।ডাঃ চিন্ময় দেবগুপ্ত বলেন বিভিন্ন হাট বাজরে এই সচেতনতা শিবিরে।তার সাথে সহযোগিতা করেছেন ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী।নিখিল সাহা,নির্মল নন্দী এবং শুভ রায়।ডাঃ চিন্ময় দেবগুপ্ত বলেন এই প্রাণঘাতীB অতি মহামারী করোনা থেকে আমাদের কি ভাবে সতর্ক থাকতে হবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত ভাবে হাটে আসা মানুষদের সামনে করোনা রুখতে আমাদের কি কি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে তিনি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি বলেপ্রত্যেক কে মাস্ক অবশ্যই পড়তে হবে।সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে,স্যানেটাইজার দিয়ে মাঝে মধ্যেই হাত পরিষ্কার রাখতে হবে।বাজারের যেকোন খাবার জিনিস থেকে লোভ সম্বরন করতে হবে।অকারণে বাড়ির বাইরে যাওয়া বন্ধ করতে হবে নিজের ও পরিবারের স্বার্থের কথা ভেবে। সর্দিজ্বর,জ্বর,গলা ব্যাথা অনুভব করলেই নিকটবর্তী হাসপাতালে অবশ্যই যেতে হবে।এ ছাড়াও ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রতিদিন ছুটির দিন বাদ দিয়ে সকাল ১১ থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত আয়ুশ চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা থাকে,সেখানেও কোন রকম অসুবিধা দেখা দিলে অবশ্যই যেতে হবে বলে জানান।