সংবিধানের ক্ষমতা প্রয়োগে বাধ্য করবেন না, হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের
1 min readসংবিধানের ক্ষমতা প্রয়োগে বাধ্য করবেন না, হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের
ফের রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সংঘাত প্রকাশ্যে এল। শনিবার নন্দীগ্রামের হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের পর রাজ্যপালের হুঁশিয়ারি, ‘সংবিধানের ক্ষমতা প্রয়োগে বাধ্য করবেন না।’ আবার রাজ্যপালকে পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। কুণাল বলেন, ‘অবসাদগ্রস্ত বৃদ্ধ হুমকি দিচ্ছেন।’বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে রাজ্যে অবিরাম রাজনৈতিক হিংসা চলছে। শপথ গ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিংসা বন্ধে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ হয়নি। অবশেষে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করার কথা ঘোষণা করেন। যদিও রাজ্যপালের এই সফর নিয়ে তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছে। শুক্রবার রাজ্যপাল কোচবিহার মাথাভাঙা, দিনহাটা ও সিতাই এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
রাজনৈতিক হিংসায় উত্তরবঙ্গের অনেক ঘরছাড়া মানুষ অসমে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি অসমের রানপাগলি শিবিরেও গিয়েছিলেন। সেখানে অত্যাচারিত ঘর ছাড়া মানুষের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন।শনিবার রাজ্যপাল পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক হিংসা কবলিত নন্দীগ্রাম পরিদর্শনে যান। হেলিপ্যাডে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
তারপর রাজ্যপাল অটোয় চড়ে নন্দীগ্রামের কেন্দমারি ও শ্যামসুন্দর চক এলাকা পরিদর্শন করেন। ঘরছাড়া আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে রাজ্যপাল কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় মদতে এই হিংসা বন্ধ হোক। সংবিধানের ক্ষমতা প্রয়োগে বাধ্য করবেন না। ভোট-পরবর্তী হিংসায় বহু মানুষ ঘরছাড়া। শীতলকুচি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তত্পরতা দেখা গিয়েছে।
নন্দীগ্রামে অত্যাচারিতদের জন্য কী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী? দয়া করে ঘুমিয়ে থাকবেন না।’যদিও রাজ্যপালের বিবৃতির পর এই আসরে নেমেছে তৃণমূলও। তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদে থেকেও রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন। রাজ্যে বিজেপির পরাজয়ের পর থেকে তিনি হতাশায় ভুগছেন। হতাশাগ্রস্থ বৃদ্ধ এখন হুমকি দিচ্ছেন। ওনার উচিত সাংবিধানিক পদ থেকে পদত্যাগ করে ফিরে যাওয়া।’