পরিবর্তনের পরিবর্তন আনতে জনতা জনার্দন গেরুয়া ঝড় তুলেছে বাংলায়, দাবি প্রলহাদ সিংহ প্যাটেলের
1 min readপরিবর্তনের পরিবর্তন আনতে জনতা জনার্দন গেরুয়া ঝড় তুলেছে বাংলায়, দাবি প্রলহাদ সিংহ প্যাটেলের
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১৬এপ্রিল:বাংলার মানুনষ দশ বছরের মমতা ব্যানার্জীর কু শাসনে পিছিয়ে গেছে,তাই পরিবর্তনের ঝড় তুলেছে সমগ্র উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের মানুষ জোট বেঁধে।দিদির সাজানো ভাঙা পায়ের সব খেলা শেষ।শুক্রবার উত্তর দিনানজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ বিধান সভার (ত প) সংরক্ষিত কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী সৌমেন রায়ের সমর্থনে প্রচারে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই কথা বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী প্রলহাদ সিং প্যাটেল।তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিদির কাছে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশ কারীরা,
জয়া বচন,যশবনত সিংহ,তেজস্বী যাদব বহিরাগত নন।আমরা ভারত সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এলে পর আমরা নাকি বহিরাগত?আসলে বহিরাগত শব্দের মানেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানেন না।মন্ত্রী প্রলহাদ প্যাটেল বলেন আসলে উনি সব বুঝতে পারছেন, সব খবর যাচ্ছে উনি আর কয়দিন নবান্নে আছেন।তাই মাথাটা উনার গেছে।কোচবিহারের সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী নীতিশ প্রামানিক বলেন বিজেপি ক্ষমতায় আসছেই।সমগ্র বাংলার মানুষ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন ধরনের নাটক এখনো দেখছে।যদিও তার নাটক আগামী ২৯শে এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।তারপর তিনি আর নাটক করতে পারছেন না।নীতিশ বাবু বলেন আমরা নয় রাজ্যের জনতা জনার্দন উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের শিল্পায়নের শ্বার্থে,বেকারদের কাজের শ্বার্থে,দরিদ্র মানুষদের মাথা উঁচু করে বাঁচার শ্বার্থে মমতা
দিদির সরকারকে আর নবান্নে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেনা।এই সরকারের পরিবর্তন আনছেন রাজ্যের বীতশ্রদ্ধ মানুষজন।তাই কালিয়াগঞ্জের মানুষের কাছে আবেদন করেন তারাও তালে তাল মিলিয়ে কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন রায়কে বিপুল ভোটে জয়ী করে মোদির হাত শক্ত করবার আহ্বান করেন।তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন ২রা মে যেদিন ভোট গণনা হবে সেদিন দেখতে পারবে
উত্তরবঙ্গের ৫৪ টি আসনের মধ্যে দিদির ঝুলিতে কয়টা যায়? শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ মন্ত্রী প্রলহাদ প্যাটেল এবং সাংসদ নীতিশ প্রামানিক হ্যালিক্যাপ্টারে এসে রানিংবুলেট ক্লাবের ফুটবল মাঠে নামে।সেখান থেকে হুডখোলা গাড়িতে প্রার্থী সৌমেন রায়কে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদ রোডশোতে বেরিয়ে কালিয়াগঞ্জ শহরের হাসপাতাল পাড়া, শিমুলতলা,শেঠকলোনি,ধনকোলরোড,পঞ্চানন মোড়,সুকান্ত মোড়,বিবেকানন্দ মোড় হয়ে পুনরায় রানিংবুলেটের ফুটবল মাঠে রোডশোটি এসে শেষ হয়।রোডশোয়ের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় প্রচুর সংখক বাইকের সাথে কয়েকশো ঢাকি। রাস্তার দুই ধারে অসংখ্য মানুষ মন্ত্রী ও সাংসদকে দেখতে অপেক্ষা করেছিলেন দীর্ঘক্ষণ থেকে।