January 13, 2025

বড়ো ভাঙ্গন মালদায়, তৃণমূল দাপুটে নেতা সেখ ইয়াসিন সহ ১৫০ জন জনপ্রতিনিধি বিজেপিতে,সংখ‍্যালঘু ভোটে এগোলো বিজেপি

1 min read

বড়ো ভাঙ্গন মালদায়, তৃণমূল দাপুটে নেতা সেখ ইয়াসিন সহ ১৫০ জন জনপ্রতিনিধি বিজেপিতে,সংখ‍্যালঘু ভোটে এগোলো বিজেপি

মালদার হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা বিজেপিতে।রাতারাতি মালদার গেরুয়া শিবিরে চমক,ধ্বস নামল ঘাসফুল শিবিরে।ভোটের মুখে এমন ঘটনায় সরগরম রাজনৈতিক মহল।বিজেপি সূত্রে খবর,মালদহের রতুয়া বিধানসভার দাপুটে নেতা তথা মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সেখ ইয়াসিন পদ্মফুলে নাম লিখিয়েছেন।শুধু তাই নয়,কলকাতায় বিজেপির সদর দপ্তরে নিজের অনুগামী সহ ১৫০ জন জনপ্রতিনিধি নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছে।বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার সদর দপ্তরে বিজেপির রাজ‍্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়,বিজেপির রাজ‍্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর হাত ধরে যোগদান করেন ইয়াসিন।

তার সাথে রতুয়া বিধানসভার ১৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান,রতুয়া-১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ সদস‍্যরা সহ প্রায় ১৫০ জন জনপ্রতিনিধি বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন।এমনটাই জানিয়েছে বিজেপির রাজ‍্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।তবে সূত্র মারফত খবর,মালতিপুর বিধানসভার দাপুটে তৃণমূল নেতা ইমদাদুল হকও সেখানে বিজেপিতে যোগদান করেছে।এদিনের এই হেভিওয়েট নেতা-জনপ্রতিনিধিদের তৃণমূল ত‍্যাগে হতভম্ব হয় জেলার সংখ‍্যালঘু সম্প্রদায়।কারন বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল,এই কথা শাসকদলের নেতাদের মুখেই শুনেছেন তারা।বিজেপি সরকার সংখ‍্যালঘুদের উপর অত‍্যাচার চালাচ্ছে,এমন বক্তব‍্য বিভিন্ন শাসক নেতাদের মুখে শোনা যেত।আজ সংখ‍্যালঘু নেতারাই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।তবে বিজেপির রাজ‍্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাফ জানিয়ে দিলেন,সংখ‍্যালঘুদের বিজেপির ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখা হচ্ছিল।সংখ‍্যালঘুদের পিছিয়ে রাখা হচ্ছে বাংলায়।মালদা,মুর্শিদাবাদের সংখ‍্যালঘুদের কর্মসংস্থান নেই।তাই কম বয়সী ছেলেরা ভিনরাজ‍্যে কাজ করতে যাচ্ছে।কেউ কেউ আবার সপরিবারে গ্রাম ছেড়ে বাইরে থাকছে।সরকার জেলায় কর্মসংস্থান দিতে ব‍্যর্থ।তাই বিজেপির দিকে এগিয়ে আসছেন সংখ‍্যালঘুরা।ভারতীয় জনতী পার্টি বাংলায় সরকার গঠন করে সংখ‍্যালঘুদের পথের দিশা দেখাবে,তাদের অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরিয়ে আনবে।মালদায় সংখ‍্যালঘুদের হিড়িক বিজেপিতে,এমন ঘটনায় যেন অস্বস্তি বিরোধীদের মধ‍্যেও। সেখ ইয়াসিন অবশ‍্য অভিযোগ করে বলেছেন,তৃণমুল দলটা একনায়কতন্ত্র ও পরিবার কেন্দ্রীক।এখানে যোগ‍্যদের ঠাই নেই।নিঃশ্বাস বন্ধ হচছিল শাসকদলে থেকে।তাই বিজেপিতে নাম লিখালাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *