রাজ্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর চ্যালেঞ্জ, একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন
1 min readরাজ্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর চ্যালেঞ্জ, একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন
দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি রাজ্যে এসে বলে গিয়েছিলেন , ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন হবে ঐতিহাসিক। সেই কথার অভ্যাস পাওয়া যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনার রাজ্যে নির্বাচন পরিচালনার প্রস্তুতির বহর দেখে। এর আগেই রাজ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ এসে রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে গেছেন। তার পর রাজ্যে সিভিক পুলিশ দিয়ে ভোট করা যাবে না বলে কমিশন নির্দেশ দেয়। এই দাবি ছিল রাজ্যের বিরোধীদের।কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে বিরোধীরা স্বাগত জানিয়েছে। রাজ্যে অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং হিংসামুক্ত নির্বাচন করানোটাই এখন কমিশনের সবচেয়ে কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, অতীত ঘটলে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গে প্রায় সব নির্বাচনেই রক্তপাত, ভোট লুঠ, প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিলে বাধা দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। তাই ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে (assembly election) যাতে এই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না হয় সেই দিকে তাকিয়েই কমিশশন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কমিশন চাইছে ভোটাররা যাতে শান্তিতে ও অবাধে নিজেদের ভোট দানের অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। তাই রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা এখন নির্বাচন কমিশনেরকাছে বড় পরীক্ষা। তাই রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে রাজ্যের ১০০ শতাংশ বুথকেই স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে ধরে নিয়ে এগোতে চাইছে কমিশন।কমিশন সূত্রে জানা গেছে ,কমিশনার তরফে রাজ্যের সমস্ত জেলাগুলিকেই স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে ধরে নিয়ে ভোটার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আর ১০০% বুথ স্পর্শকাতর ধরে নিয়েই নিরাপত্তার ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনার তরফে। কমিশনের সিদ্ধান্ত রাজ্যে আয়াজ হওয়া নির্বাচনে কতটা সন্ত্রাস কোথায় হয়েছে সেটা দেখে চিহ্নিত করতে হবে স্পর্শকাতর বা অতি স্পর্শকাতর এবং উত্তেজনাপ্রবণ বুথগুলিকে। ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যে সমস্ত বুথে অশান্তি হয়েছে সেই বুথগুলিকে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে হবে।এ ছাড়াও গত প্রায় ৬ মাসে রাজ্যের যে সব অঞ্চলে রাজনৈতিক সংঘর্ষ বেশি হয়েছে, তেমন এলাকাগুলিকে প্রথমে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করবে কমিশন । তারপর ওই সব উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে কতগুলো বুথ অতি স্পর্শকাতর, সেটাও বাছাই করে নিতে হবে । বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি আগের চাইতে ভালো হলেও এখনও পর্যন্ত কমিশন ঠিক করে রেখেছে করোনা বিধি মেনেই এবার রাজ্যে এবার বিধানসভা নির্বাচন হবে। আর তাই করোনার সংক্রমণের হাত থেকে ভোটারদের নিরাপদে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে এবার অন্তত ৩০ শতাংশ বুথ বাড়াচ্ছে কমিশন। অঙ্কের হিসেবে এই সংখ্যাটা হল ২২ হাজার ৮৮৭, এই পরিমান বুথ এবার বাড়তে চলেছে রাজ্যে। ফলে মোট বুথের সংখ্যা দাঁড়াবে ১ লক্ষ ১ হাজার ৭৯০টি। কমিশন সূত্রে জানা গেছে দোল, হোলি, এবং বাংলা নববর্ষে ভোটের তারিখ রাখা হবে না। জেলা প্রশসনকেও এই বার্তা কমিশন জানিয়ে দিয়েছে। কমিশন সূত্রে আরও জানা গেছে , এবার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই।রাজ্য পুলিশকে তুলনামূলকভাবে কম ব্যবহার করা হবে ভোটের কাজে। ভোটের কাজে ব্যবহার করা হবে না গ্রীন বা সিভিক পুলিশদের। শীঘ্রই ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে যাবে। তাই বোঝাই যাচ্ছে এবারের নির্বাচন হবে সাম্প্রতিক সময়ের ভোটের মধ্যে সবচেয়ে কঠোর ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরা টোপে।