চতুর্মুখী লড়াই এবার নাকি ? কংগ্রেস ও বাম কর্মীরা হতাশ কেন দেখুন একবার
1 min read
চতুর্মুখী লড়াই অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে
এবার ।হতাশ হয়ে পড়েছেন এ ঘটনায় কংগ্রেস ও
বাম কর্মীদের একাংশ । কারণ বর্তমানে দেশ ও রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জেলায়
তৃণমূল, বিজেপি বিরোধী ভোটকে এক জায়গায় আনার দাবি রয়েছে কংগ্রেস ও বামেদের একটা বড়
অংশে। কিন্তু কংগ্রেস ও সিপিএম দু’দলই এই আসনে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করে দেওয়ায়
দু’দলেরই কর্মীমহল খানিকটা হাতাশ ও বিভ্রান্তিতে পড়েছে। কংগ্রেস এখানে দীপা
দাশমুন্সিকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে কাজকর্ম শুরু করেছে। কিন্তু শনিবার রাজ্য
বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়ে গিয়েছেন, এখানে সিপিএম প্রার্থী দিচ্ছে।
এবার ।হতাশ হয়ে পড়েছেন এ ঘটনায় কংগ্রেস ও
বাম কর্মীদের একাংশ । কারণ বর্তমানে দেশ ও রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জেলায়
তৃণমূল, বিজেপি বিরোধী ভোটকে এক জায়গায় আনার দাবি রয়েছে কংগ্রেস ও বামেদের একটা বড়
অংশে। কিন্তু কংগ্রেস ও সিপিএম দু’দলই এই আসনে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করে দেওয়ায়
দু’দলেরই কর্মীমহল খানিকটা হাতাশ ও বিভ্রান্তিতে পড়েছে। কংগ্রেস এখানে দীপা
দাশমুন্সিকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে কাজকর্ম শুরু করেছে। কিন্তু শনিবার রাজ্য
বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়ে গিয়েছেন, এখানে সিপিএম প্রার্থী দিচ্ছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই ঘোষণার পরেই এই আসনে কংগ্রেস–সিপিএমের সমঝোতার সম্ভবনা নস্যাৎ হয়ে গেল
বলেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। এতে কংগ্রেস শিবির অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েছে। আসনটি
গতবার সিপিএম পেলেও তার আগে দীর্ঘবছর ধরে এটি কংগ্রেসের
দখলেই ছিল। এবার তারা এই আসনে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বলেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। এতে কংগ্রেস শিবির অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েছে। আসনটি
গতবার সিপিএম পেলেও তার আগে দীর্ঘবছর ধরে এটি কংগ্রেসের
দখলেই ছিল। এবার তারা এই আসনে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, আসন সমঝোতার নীতি, ফরমুলা থাকে। কংগ্রেস সেই নীতি লঙ্ঘন করলে
কী করার আছে। এমনটা হলে বিজেপি ও তৃণমূল সুবিধা পেতে পারে। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, রায়গঞ্জ আসনে আমাদের প্রার্থী থাকছে। চর্তুমুখী লড়াই হলে আমাদের ভালো হবে। এখন
বিজেপি ও তৃণমূলে ভাঙন ধরছে। বিজেপি’র জেলা সভাপতি নির্মল দাম বলেন,
কংগ্রেস–সিপিএমের জোট মানুষ মানবে না ওরা বুঝতে
পারছে। জোট হলে পুরনো কংগ্রেসিরা মানতে না পেরে
আমাদের ভোট দেবেন। জোট না হলে তৃণমূলের অত্যাচার থেকে বাঁচতে আমাদের ভোট দেবেন। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি পূর্ণেন্দু দে বলেন, অঙ্কের হিসেবে কংগ্রেস, সিপিএমের ভোট একজায়গায় হলে বিজেপি’কে রুখতে সুবিধা হতো। কিন্তু অভিজ্ঞতা বলে কিছু কংগ্রেসি সিপিএমকে ভোট দেন
না। তৃণমূলকে রুখতে তাঁরা বিজেপি’কে ভোট দিয়ে দেন। এখানে যার যার ভোট সেই
সেই দল রক্ষা করতে পারলে আমাদেরই লাভ হবে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ আসনে কংগ্রেস–সিপিএম জোট হবে কি না সেনিয়ে জল্পনা
চলছে। কংগ্রেস জানিয়েছে দীপা প্রার্থী হচ্ছেন। এদিকে
বর্তমান এমপি সিপিএমের মহম্মদ সেলিমও এখানে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কংগ্রেস ও
সিপিএম প্রার্থী দেওয়ায় অনড় অবস্থান নেওয়ায় চর্তুমুখী লড়াই হচ্ছে তা একপ্রকার
স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেসের দাবি, চারটি পুরসভায় তাদের ভালো ভোটব্যাঙ্ক ছিল। কয়েকটিতে বোর্ডও ছিল। দলবদলে
সেগুলি হাতছাড়া হয়েছে। কিছু পঞ্চায়েত,
পঞ্চায়েত সমিতিও দখলে ছিল। জেলায় এখনও
সংগঠন রয়েছে। জেলায় প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মতো নেতা ছিলেন। সেই প্রভাব এখনও আছে। বামেদের দাবি, বহু পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি তাদের দখলে ছিল। সংসদ সদস্য তাদেরই। নিচুতলার কর্মীমহল বলছে, এমন পরিস্থিতিতে বিজেপি’কে রুখতে কংগ্রেস, সিপিএমের ভোট একবাক্সে পড়া জরুরি ছিল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});