তপন চক্রবর্তী–উত্তর দিনাজপুর-দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে নির্বাচন এসেছে সবার ঘরে।ভোটের ঢাকে কাঠি পড়তেই কংগ্রেস-বাম জোটের প্রার্থী মঃ সেলিম মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ১নম্বর অনন্তপুর অঞ্চলের সাদিপুর গ্রামের মানুষদের কাছে গিয়ে বললেন আমি কিন্তু এবার আপনাদের কাছে এসেছি আপনাদের আশীর্বাদ চাইতে।আপনারা দেখছেন দিল্লিতে মোদি আর আমাদের রাজ্যে দিদির রাজত্ব কিভাবে চলছে।দিদি আর দাদা দুজনে মিলে গত পাঁচ বছর ধরে সারদা নারদার চোরদের ধরতে আজ পর্যন্ত কোন কাজ করেনি।সাধারণ মানুষদের অর্থ ফেরত না দিয়ে শুধু মানুষের আইওয়াশ করে যাচ্ছেন মোদিজী।
আসলে দিদি মোদীজীর সম্পর্কে যতই গালমন্দ করুক তৃণমূলের কেও যাতে কোন ভাবেই ধরা না পড়ে তার ব্যবস্থা করে রেখেছে।না হলে সাধারণ মানুষের রক্ত জল করা জমানো অর্থ ফেরত দিতে এত সময় কেন লাগবে?মোদিজী সরকার সব দিক দিয়েই ব্যার্থ।কোথায় গেল ২কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি?কোথায় আপনার পাস বইতে ১৫,লক্ষ করে টাকা?আসলে এই দুটো সরকারের একজন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটার সর্বনাশ জরে ফেলেছে,তেমনি অন্য জন গোটা দেশের সর্বনাশ করেছে। আপনারা বামেদের উপর অভিমান করে এই রাজ্য থেকে বামেদের সরিয়ে ডা নেদের এনেছেন।কি লাভ হয়েছে বলতে পারেন?লাভ হয়েছে শিক্ষক থেকে সিভিক পুলিশ সব ক্ষেত্রেই টাকা দিয়ে চাকরি।টাকা দিয়ে চাকরি কি আপনার ঘরের ছেলের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব?কোন দিনও নয়।গরীব মানুসেরা সামান্য ভাতা পাচ্ছেনা।অথচ প্রতিদিন দৈনিক পত্রিকায় লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।শিক্ষিত ছেলেদের জন্য দুই হাজার টাকার চাকরি পৃথিবীর কোন রাজ্যে আছে বলতে পারেন?তাই বামেদের উপরআপনারা অভিমান করে এই রাজ্যে বামেদের সরিয়ে কোন নীতিহীন দলকে এনেছেন এখন মর্মে মর্মে এই রাজ্যের মানুষ বুঝতে পেরেছে।আর সেই কারনেইতো ব্রিগেড মাঠে এই সেদিন মানুষের ঢল নেমেছিল।
যা দেখে শাসক দলকে বলতে হয়েছে কি করে এত বাম সমর্থিত মানুষ এই রাজ্যে এখনো আছে?বামেরা ছিল ,বামেরা আছে ,বামেরা সারা জীবন আপনাদের সাথেই থাকবে।মঃ সেলিম বলেন মানুষই ভুল করে আবার সেই ভুল শুধরে নিতে পারে।ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে এই দেশটাকে বর্তমান মোদি সরকার কোথায় নিয়ে যাচ্ছে।যার পরিনতি ভয়াবহ।এই সরকার মানুষের চিন্তা ভাবনাকে ভোট যুদ্ধে নিয়ে যাচ্ছে।দেশের জোয়ান ছেলেরা প্রতিদিন দেশের জন্য প্রাণ দিচ্ছে আর আমাদের সরকার তাদের সন্মান জানিয়ে প্রাণহীন দেহ বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করে দিচ্ছে।আপনারা নিজেদের ভালো নিজেরা নিশ্চয় বুঝে সিধান্ত নেবেন। আপনারা আবার আমাকে জয়ী করবেন আমার বিশ্বাস।আমার সাধ্যমত যত টুকু করার আমি করেছি।ভবিষ্যতে সুযোগ দিলে আবার আপনাদের জন্য কাজ করবো।প্ৰথম দিনের এই সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই এম নেতা ভারতেন্দ্র চৌধরী, পাটোয়ারী সহ সিপিআই এম এর স্থানীয় নেতা।মঃ সেলিম সবাইকে নিয়ে মুড়ি খেয়ে সেখান থেকে অন্য আর একটি বৈঠকে যাবার উদ্দেশ্যে রওনা হন।