December 22, 2024

এবার ভোটে দিদিভাই না মোদি ভাই ?আজকে উত্তর দিনাজপুরের যুব সমাজ কি ভাবছে ?উত্তরের খোঁজে ভারতবাংলাদেশ সীমান্তে

1 min read

তন্ময়  চক্রবত্তী ঃ- এবার দিদিভাই না মোদি ভাই ?  আজকের যুব সমাজ কি ভাবছে ? এই উত্তরের খোঁজে আজ আমি গিয়েছিলাম উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের ভারতবাংলাদেশ সীমান্তের মকর হাট গ্রামে।  সেখানে গিয়ে দেখা গেলো একদল উঠতি বয়সের যুব সমাজকে একসাথে তারা আড্ডা মারছে বিএসএফ ক্যাম্পের পাশে বর্ডার রোড ধরে ধরে যেতে যেতে থমকে গেলাম সেখানে কারণ আজকে আমার উদ্দেশ্য ছিল লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে এই ধরনের সমস্ত যুব সমাজের কাছে একটি প্রশ্ন ছোঁড়া ।

 যে আজকের দিনে যুব সমাজের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য দিদিভাই না মোদি ভাই ?প্রথমেই উত্তর দিতে যুবকরা একটু ইতস্তত করলেও পরবর্তীতে তারা একে একে তাদের নিজেদের বক্তব্য জানান।  এদের মধ্যে একজন বিএড ট্রেনিং নিচ্ছে এবার যার নাম অনিল বর্মন তিনি বলেন তার বাবা একজন সাধারণ কৃষক মাত্র অনেক আশা নিয়ে তার মা বাবা কষ্ট করে তাকে পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছে মাস্টার ডিগ্রী সম্পূর্ণ করে এখন একটা চাকরির আশায় বিএড ট্রেনিং দিছি ।  কিন্তু চাকরির বাজার যা তাতে হয়তো বা আমার মত গরীব ঘরের সন্তানদের চাকরি  জুটবে না কারণ তিনি বলেন সে অত্যন্ত গরীব ঘরের সন্তান তার পক্ষে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি নেওয়া সম্ভব নয় তাও করে রাখছি ট্রেনিং টা , যদি ভাগ্যের চাকা কোনদিন ঘুরে যায়। 

 অনিল বাবু বলেন,  তবে এই বাজারেও অনেকে টাকা ছাড়াও চাকরি করছে যোগ্যতার মাধ্যমে তবে নেহাতই সেই সংখ্যাটা অবশ্য এখন কমতির দিকে বন্ধুদের  সামনে সে  ঠাট্টা করে বলেন,  এখনকার দিনে নেতা একবার হতে পারলে অনেক বেশি লাভ তাই অনেকে নেতা হওয়ার জন্য দৌড়ায় তিনি বলেন 
এবার যারাই কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসুক না কেন পিছিয়ে পড়া উত্তর দিনাজপুর জেলার জন্য তাদের  বড় বড় কল কারখানা স্থাপন করতে হবে আর  সেদিকে তাদের নজর দিতে হবে

কারণ উত্তর দিনাজপুর জেলায় এখনো অব্দি বড় কোন কল কারখানা গড়ে ওঠেনি ফলে অনেক বেকার যুবক চাকরি না পাওয়ায় হতাশ হয়ে নিজের পরিবার পরিজন ছেড়ে ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে কাজের সন্ধানে বেকার যুবকদের এই প্রবণতা একমাত্র আটকাতে পারে সরকারের নতুন কর্মসংস্থান নীতির মাধ্যমে যেখানে বাইরের শিল্পপতি কে স্বাগত জানিয়ে পিছিয়ে পড়া উত্তর দিনাজপুর জেলায় নতুন করে যাতে নতুন শিল্প গড়ে উঠতে পারে তার মাধ্যমে তবেই বেকার সমস্যা সমাধান হবে নচেৎ যে কার সেই থাকবে জেলার বেকার যুবসমাজ প্রতিবারই ভোটের সময় সব দলের নেতাদের দেখা যায় বেকার যুব সমাজের ভোট টানতে নানান রকম প্রতিশ্রুতি দিতে কিন্তু পাঁচ বছর পর হিসাব করলে দেখা যায় বেকার যুব সমাজের খাতায় প্রায় শূন্য থেকে যায়

 এদিকে অনিল বাবুর  মত অপর এক যুবক বিএ পাস সদ্য করা 
পল্লব দাস জানান রাজনৈতিক দলের নেতারা যতটা না বেকার যুবকদের 
কথা ভাবে তার চেয়ে নিজেদের স্বার্থ নিয়েই বেশি ভাবতে ভালোবাসেন না হলে এখনো অব্দি উত্তর দিনাজপুর জেলায় তেমন কোন শিল্প গড়ে উঠল না কেন ? এই জেলায় তো অনেক পরিকাঠমো রয়েছে শিল্প কলকারখানা গড়ে ওঠার মত।  রয়েছে নিজস্ব সম্পদ তবুও পিছিয়ে পড়া জেলা উত্তর দিনাজপুর জেলার তকমা  ঘুচলো না অর্থাৎ
এখনো অব্দি উত্তর দিনাজপুর জেলায় তেমন কোন শিল্প গড়ে উঠল না


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

অথচ সব রাজনৈতিক দলগুলি যদি এককাট্টা ভাবে আজকের
এই যুব সমাজের কথা চিন্তা করতো তাহলে হয়তো এরকম কোন সমস্যা থাকতো না অচিরেই তা সমাধান
হয়ে যেত
পল্লব
বাবু জানান এই জেলায় রয়েছে অনেক কল কারখানা গড়ে ওঠার মত সম্ভাবনাময়
 যেমন ইসলামপুর মহকুমা জুড়ে বিঘার পর  বিঘা জমিতে আনারসের চাষ হয় । 


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});



আর সেই আনারস দিয়ে একদিকে যেমন জ্যাম  ও জেলি আচার তৈরি কারখানা গড়ে উঠতে
পারত
 তেমনি আনারসের পাতা দিয়ে সুতো
তৈরি করে সেই সুতো দিয়ে আনারস
শাড়ী  তৈরি  হতে পারত।   এর কারখানা
অনায়াসেই গড়ে উঠতে পারত ইসলামপু
ড়ে।  কিন্তু আজও সেটা হয়নি এছাড়া বিঘার পর বিঘা  জমিতে চা বাগান গড়ে উঠলেও সেই
চা বাগান কে কেন্দ্র করে তেমন কোনো নেই বড় চা বাগানের কারখানা এখনো
অব্দি।  


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


 এছাড়া রায়গঞ্জ মহকুমা জুড়ে
বিঘার পর
বিঘা   জমিতে
ভুট্টা এবং আখের চাষ হয় অথচ এই
আখ  থেকে একটি চিনি তৈরির কারখানা
গড়ে উঠতে পারতো কিন্তু সেটি
আজও  হয়নি এছাড়া উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে প্রচুর ঐতিহাসিক
স্থান রয়েছে সেগুলি কে কেন্দ্র করে একটি পর্যটন
হাব তৈরি করা যেত তাহলে সেই পর্যটন কেন্দ্র গুলি
কে কেন্দ্র করে অনুসারী শিল্প সেখানে অনায়াসেই গড়ে উঠত আর যেখানে বেকার যুবক-যুবতীরা
তাদের কর্মসংস্থান এর অভাব দূর করতে পারতো
 কিন্তু
সেটাও আজও অধরা পরিকল্পনামাফিক বেকার যুব সমাজের জন্য সব রাজনৈতিক দলগুলি
একটাই শ্লোগান হওয়া উচিত ছিল
জেলার যুব সমাজকে আর
কাজের  জন্য ভিন রাজ্যে যেতে হবে না ।   জেলায় থেকে তারা কাজ পাবে আর তাদের জন্য
চাই নতুন কলকারখানা আর নতুন
নতুন  চাকরি  সুযোগ । তবে প্রকৃত যুবসমাজের উন্নয়ন সম্ভব
হবে
 আর এতে ভিন রাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা
কমে আসবে ধীরে ধীরে
 এই জেলা বেকার যুবক যুবতীদের মধ্যে আসবে ভোট আসবে ভোট যাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের
চেয়ার দখল করার খেলায় এই ভাবেই ভোটের সময় বেকার যুবসমাজকে বছরের পর বছর
 নিজেদের   প্রয়োজনে ব্যবহার করে আসবে আর ভোট  চলে গেলে আবার  এখানকার বেকার যুবকদের ভিন রাজ্যে
যাওয়ার প্রবণতাতা  বেড়ে যাবে
বাড়বে হিংসা তখন আর কিছুই বলার থাকবে না রাজনৈতিক  দলগুলির
 এদিন
এমন করেই কয়েকজন যুবক নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন
এর পাশাপাশি তারা সবাই একত্রে বললেন মোদি ভাই ও
দিদি ভাই সবাই হাসিখুশি থাকুক
আমরাও
চাই
 তবে আমাদের মতো বেকার যুব সমাজের
মুখে একটু হাসি ফিরিয়ে দিন এই লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যুব সমাজের
পক্ষে  এটাই আমাদের করুন আর্জি  রাজনৈতিক
 নেতাদের
 প্রতি


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *