নেশামুক্ত জীবনে ফেরার প্রতিজ্ঞা করতে মন্দারমণির সমুদ্রতটে ভিড় জমিয়েছেন কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, গুয়াহাটি, দার্জিলিং সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা
1 min readমন্দারমণি (বর্তমানের কথা) :– মন্দারমণির সমুদ্রতটে ভিড় জমিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কয়েকশো মানুষ নেশামুক্ত জীবনে ফেরার প্রতিজ্ঞা করতে । তাঁরা সকলেই হেরোইন, চরস, কোকেনের মতো নানা নিষিদ্ধ নেশায় আসক্ত । মন্দারমণির ১৮টি হোটেলে ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন পেশার এই সব মানুষ চারদিন নিজেদের মধ্যে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। এনিয়ে আশপাশের মানুষের মধ্যেও কৌতূহল ছড়িয়েছে। মন্দারমণির একটি হোটেলের ম্যানেজার দীপককুমার রানা বলেন, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯০০জন ড্রাগ আসক্ত মানুষ মন্দারমণিতে এসেছেন। তাঁরা এখানে নেশা ছাড়ার প্রতিজ্ঞা করতে এসেছেন। এখন মন্দারমণিতে হোটেল পাওয়া দুষ্কর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ধরনের মারণ–নেশায় আসক্ত মানুষ যারা সুস্থ জীবনে ফিরতে চান, তাঁরা একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন। সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য কোনও টাকা দিতে হয় না। এই সব মানুষ নির্দিষ্ট সময়ে নিজেদের মধ্যে কখনও স্কাইপে, কখনও ফোনে আলোচনা করেন। কে কীভাবে নেশাগ্রস্ত জীবনে ঢুকলেন, কারা কতদিন নেশা ছেড়ে আছেন, তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। নেশায় আচ্ছন্ন যুবক ও যুবতীদের এই সংগঠনের সদস্যরা নেশাগ্রস্ত জীবন থেকে বের হয়ে আসার উৎসাহ দেন। পরস্পর বন্ধু হয়ে একে অপরের হাত ধরে নেশামুক্ত জীবনের দিকে এগিয়ে যেতে গত ৩১ তারিখ মন্দারমণিতে ৯০০জন ড্রাগ আসক্ত মানুষ জড়ো হয়েছেন। যার যেমন ক্ষমতা, তিনি তেমন হোটেলে এসে উঠেছেন। সংগঠনের তরফে জয়দীপ নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমাদের দলে শুধু কলকাতা নয়, দিল্লি, মুম্বই, গুয়াহাটি, দার্জিলিং সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মতো কয়েকজন বিদেশিও রয়েছেন। তাঁদের কেউ যেমন রিকশ চালক, তেমন কেউ ওষুধ কোম্পানির মালিক, কেউ চিকিৎসক, আবার কেউ সরকারি কর্মচারী। ফলে সকলের পরিচয় আমরা প্রত্যেকেই গোপন রাখি। নেশামুক্ত জীবনের শপথ নিতে সকলে এখানে আমরা জড়ো হয়েছি।