নিরাপত্তার ফাঁকে হেমতাবাদের মাঠে এক সের দুধে এক ফোঁটা চোনা
1 min readজয়ন্ত বোস, বর্তমানের কথা। প্রচুর জনসমাগমের মাঝে উত্তর দিনাজপুর জেলা সফরে হেমতাবাদের থানা ময়দানে সরকারি সাহায্য প্রদান মঞ্চে বিশ্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জন প্লাবনে থানা ময়দান পরিপূর্ণতায় উপচে পরা অবস্থায়, এরই মাঝে শুরু হয়ে যায় সরকারি অনুষ্ঠানের পর্ব বেলা ১২টা থেকে । পশ্চিম বঙ্গ সরকারের শিল্পীভাতা প্রাপক দুই বাউল সংগীত শিল্পী মূল অনুষ্ঠান মঞ্চের পাশের মঞ্চে বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করছিলেন সরকারি সভায় উপস্থিত সকলকে মনোরঞ্জন করতে পশ্চিম বঙ্গ সরকারের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পকে নিয়ে গানের কথায়। সরকারি সভায় সরকারি প্রকল্পকে নিয়ে গানের কলির মাঝে উক্ত শিল্পীদের দ্বারা তৃনমূল কংগ্রেসের নামে গানের কলি দিয়ে সংগীত পরিবেশন সকল সরকারি আধিকারিকদের , সরকারি সভাকে এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর সম্মান কে ম্লান করে দিয়েছে। সভাস্থলে মুখ্যমন্ত্রীর নাম সহ সরকারি সভার পোস্টার দেখেও অনেকে হকচকিয়ে যান ঐ গান শুনে যে এই সভা কি তৃনমূল কংগ্রেসের সভা ? মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি সভায় কঠিন নিরাপত্তা বলয়ে মোড়া অনুস্ঠান পরিচালনা দায়িত্বের ফাঁক গলে কিভাবে রাজনৈতিক দলের নামে সংগীত পরিবেশিত হলো এই প্রশ্ন নিয়ে কানাঘুষায় অনেক সরকারি আধিকারিকদের। তাদের কথায় এইভাবে সরকারি অনুস্ঠানকে কালিমালিপ্ত করার কারন কি ।
সঠিক বেলা ১:১০মিনিটে মুখ্যমন্ত্রী সভাস্থলে পৌঁছান এবং মঞ্চে সরকারি উপভোকতাদের সরকারি সাহায্য প্রদান করেন । জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসে, ট্রেকারে করে মানুষজন সকাল থেকেই আসতে শুরু করে হেমতাবাদ ময়দানে উত্তর দিনাজপুর জেলার সরকারি সভায় মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে ও বক্তব্য শুনতে । সরকারি সভা সত্তেও তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্বরা দলীয় ফ্লাগ লাগিয়ে গাড়িতে করে দলীয় কর্মীদের জমায়েত করান সভাস্থলে। অবশেষে সরকারি বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। সামাজিক সুরক্ষায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার তাতপর্য ,সরকারের প্রচেষ্টা,সরকারের সহযোগিতা সহ পশ্চিম বঙ্গ সরকারের ৬বছরের এই জেলার উন্নয়নের খতিয়ান, সদ্য রায়গঞ্জে মেডিক্যাল কলেজের জন্য ২০০কোটি টাকা বরাদ্দ সহ বিজেপি নেতৃত্ব কেন্দ্রিয় সরকারের পশ্চিম বঙ্গের মানুষের প্রতি বঞ্চনার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি পশ্চিম বঙ্গ সরকারের আর্থিক অসংগতি থাকা সত্তেও একের পর এক উন্নয়নের কথা তূলে ধরে বক্তব্য শেষ করার প্রাগ মূহূর্তে আচমকাই এক যুবতী মঞ্চে উঠে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের কাছে লুটিয়ে পরে এবং এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পরেন ।
পরে জানা যায় সরকারি সাহায্যের আশায় ঐভাবে যুবতীটি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যায় নিরাপত্তার বলয় টপকে। প্রশ্ন উঠেছে এহেন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়েও । সব মিলিয়ে নিরাপত্তার ফাঁকে একদিক
ে যেমন সরকারি সভায় রাজনৈতিক দলের নামের কলিতে সংগীত পরিবেশনে সরকারি সভাকে ম্লান করে দেওয়া অপরদিকে নিরাপত্তার ফাঁক গলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আচমকাই যুবতীর পৌঁছে যাওয়ায় নিরাপত্তার মলিনতা এই দুয়ের মিশ্রনে আজ হেমতাবাদের মাঠে এক সের দুধে এক ফোঁটা চোনা পরে যাওয়া ।
ে যেমন সরকারি সভায় রাজনৈতিক দলের নামের কলিতে সংগীত পরিবেশনে সরকারি সভাকে ম্লান করে দেওয়া অপরদিকে নিরাপত্তার ফাঁক গলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আচমকাই যুবতীর পৌঁছে যাওয়ায় নিরাপত্তার মলিনতা এই দুয়ের মিশ্রনে আজ হেমতাবাদের মাঠে এক সের দুধে এক ফোঁটা চোনা পরে যাওয়া ।