October 26, 2024

পচা আলুর গন্ধ ভরে উঠেছে কালিয়াগঞ্জ শহরের নেতাজি স্পোটিং ক্লাবের শিশু উদ্যান

1 min read
পিয়া গুপ্তা  বর্তমানের কথা এখানে আমরা কোথায খেলবো??ছোটো ছোটো শিশু মনে এত বছর ধরে এমনি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল ।ভেঙে পড়েছে খেলার দোলনা। বাগান জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে খাবারের প্লাস্টিকের প্যাকেট। চারপাশে নোংরা আবর্জনার স্তূপ ।কখনো পচা পেযাজ ,কখনো পচা আলুর গন্ধ  ভরে উঠেছে কালিয়াগঞ্জ শহরের নেতাজি স্পোটিং ক্লাবের শিশু উদ্যান ।আজ কয়েক বছর ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থায় পড়ে রযেছিল কালিয়াগঞ্জ শহরের 13 নং ওয়ার্ডে অবস্থিত শিশু উদ্যানটি ।2001 সালে সি পি আই সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্তের আর্থিক সহায়তায় এই শিশু উদ্যানটি গড়ে উঠেছিল।সেই সময় শিশু উদ্যান টি দ্বারোদ্ঘাটন করেন তত্কালীন অসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রীকুমার মুখার্জি ।আজ থেকে 17 বছর আগে সাংসদের  এলাকা উন্নয়ন তহবিলের কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে 13 নং ওর্যাডে অবস্থিত এই শিশু উদ্যান গড়ে তোলা হয়েছিল । 2001 সালে  করা হয়েছিল শিশু উদ্যানটি। শিশুদের খেলার জন্য দোলনা, ঘোরানো সিঁড়ি, ঝরনা, ফুলের গাছ  এই সবের কারণে এলাকার খুদেদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছিল শিশু উদ্যানটি। কিন্তু নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংস্কারের অভাবে এখন শিশু উদ্যানটির হাল শোচনীয় হয়ে উঠেছিল। বর্তমানে এই নেতাজি  পার্ক সংলগ্ন ওই শিশু উদ্যান এখন ঢেকে রয়েছে আগাছা আর ঝোপে। বাগানের সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে খাবারের বাতিল প্লাস্টিক প্যাকেট। শিশু উদ্যানের পাশে রয়েছে আলুর গদি যার ফলে মাঝে মধ্যে পচা আলু ও পেযাজের নোংরা খোসা পড়ে থাকতে ও দেখা যেতো ওই   পার্কে ।

 শিশু উদ্যানের এমন বেহাল দশা      ছবি ঃ- শঙ্কর গুপ্তা

শুধু তাই না খেলার সব কযটা দোলনা আজ  ভেঙে পড়ে আছে।শিশু উদ্যানের এমন বেহাল দশার কারণে শিশুদের খেলার সুযোগ কমেছে বলে বাসিন্দাদের এক দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই নেতাজি স্পোটিং শিশু উদ্যানে শহরের বহু এলাকা থেকে খুদেরা নিয়মিত খেলতে আসত। কিন্তু কয়েক বছর ধরে এই শিশু উদ্যান বেহাল। ফলে শিশুদের নিয়ে অভিভাবকদের আনাগোনাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ’ সাত বছরের মেয়ে রিযা কে  সঙ্গে নিয়ে এক সময়  প্রতিদিন বিকেলে পার্কে যেতেন সঞ্জয বাবু । তাঁর গলাতেও আক্ষেপের সুর। বলেন, ‘‘আসলে চারদিকে খেলার জায়গা কমে যাচ্ছে তো। তার মধ্যে এই এলাকায় একটিমাত্র  পার্ক যা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ! ছোটদের জন্যও বার্তাটা ভাল নয়।’’  কয়েক বছর আগে চালু হওয়া শিশু উদ্যানে চেয়ার, দোলনা, গাছ পালা যাই ছিল তা আজ শেষ । ফলে   পার্কের ভিতরে কখনো দুধের  বাজার বসে কখনো বা মিটিং মিছিল করা হয।এর ফলে বাচ্চাদের তেমন আর দেখা যেত না পার্ক ।শিশু উদ্যানের অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়ে পৌরপতি  বলেন, ‘‘শিশু উদ্যানগুলির জলদি রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।এতদিন নেতাজি স্পোটিংশিশু উদ্যানটি  ক্লাবের আওতায় থাকায় তা রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হয়ে উঠছিল না।তাই সম্প্রতি শিশুদের কথা মাথায় রেখে ক্লাব ক্লাব কর্তৃপক্ষ কে আবেদন জানানো হয় ক্লাব টিকে পৌরসভার আওতায় দেওয়ার তাতে তারা রাজী ও হযে যায।তাই জলদি ক্লাবের রক্ষণা বেক্ষণের কাজ শুরু হবে।শিশু  উদ্যানটি পুনরায় সাজিয়ে তোলার জন্য অর্থ বরাদ্দ করে ঠিকাদার সংস্থা নিয়োগ করা হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’ ।।পাশাপাশি ন
তুন নতুন খেলার সামগ্রী ও নানান ফুল গাছ লাগিয়ে সৌন্দর্যাযন বৃদ্ধি করা হবে।তার পাশাপাশি মিউজিক্যাল আলোর ঝর্নার ও ব্যাবস্থা করা হবে বলে জানান পৌরপতি।পৌরপতির এই উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ।তাদর বক্তব্য ছয মাস হলো ক্ষমতায় আসা তার মধ্যেই তিনি কালিয়াগঞ্জ শহরকে যেভাবে ঝা চকচকেকরে নতুন রূপে সজ্জিত করে চলেছেন তাতে সত্যি খুশি সাধারণ মানুষ। তবে আবার  দল বেঁধে খেলা হবে, এই খুশিতেই দিন গুনছে খুদেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *