মাধ্যমিক পরীক্ষার্থি এক ছাত্রীর মাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রাযগঞ্জে।
1 min readবর্তমান কথা,রায়গঞ্জ মায়ের মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে আর পরীক্ষা দিতে যেতে পারলো না মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ববিতা দাস। বছর ৩৫ এর ববিতার মা পদ্মরানী দাস কে হঠাত্ গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় রাযগঞ্জের এক নির্জন এলাকা থেকে। উল্লিখিত ববিতা ও তার মা পদ্মারানী রাযগঞ্জে লোহুজগ্রামে একসাথে থাকতেন।এক বছরের বেশী সময় আগে হঠাত্ ববিতার বাবা নিখোঁজ হয়ে যায় ।তবে থেকে মা ও মেয়ে এক সাথে একাই থাকতেন।মাঝে মাঝে পারিবারিক প্রতিবেশীদের অনেক লাঞ্চনা সহ্য করতে হত পদ্মরানী দেবীকে।
সোমবার এই রকমই এক অশান্তি নিয়ে সম্পর্কে কাকু স্বপন দাস নামের এক প্রতিবেশী অনেক রাত অবধি ঘরে বসে মায়ের সাথে কথা বলছিল। বিষয়টা অপছন্দ হওয়ায় জেগেই ছিল ববিতা। এরপর রাতে লোডশেডিং হয়ে যাওয়ার পরে ঘুমিয়ে পড়ে ববিতা। গভীর রাতে ঘুম ভাংগলে মাকে আর বিছানায় পায়নি ববিতা। সকালে মায়ের সন্ধানে এলাকায় খোজ খবরও করে ববিতা কিন্তু মাকে না পেয়ে পরীক্ষা দেবার উদ্দ্যেশ্যে যায় সে।
পরীক্ষা জন্য যাওয়ার পথেই ববিতা খবর পায় মায়ের মৃতদেহ গলায় ফাস দেওয়া অবস্থায় বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরে একটু নির্জন এলাকায় ঝুলতে দেখা যাচ্ছে। ববিতার অভিযোগ তার মাকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে কেউ। ঘটনার প্রকৃত তদন্তর জন্য দাবী করেছে সে। পাশাপাশি পদ্মরানী দেবীর মৃতদেহ যতটা নিচে মাটিতে হাটু লেগে ঝুলে ছিল, যত মাটি লেগেছিল পদ্মরানীর শরীরের নিচের অংশে তা দেখে এলাকা বাসীর অভিযোগ পদ্মরানীর মৃত্যুর পেছনে গভীর রহস্য আছে। ঘটনার খবর পেয়ে লোহুজগ্রামে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ। মৃতদেহ ময়না তদন্তের পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ববিতার অভিযোগ এর কাকু স্বপন দাস কে এলাকায় না পাওয়া যাওয়ায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশও প্রাথমিকভাবে এই মৃত্যুর পেছনে বড়সড় রহস্য খুজে পাচ্ছে বলেই পুলিশসুত্রে জানা গেছে