আশু ২০১৯: ইতিহাসের পুনরাবর্তন?
1 min read
প্রীতম সাঁতরাঃ
তাপমাত্রার উঠতি পারদের মত দেশ জুড়ে বইছে লোকসভা নির্বাচনের হাওয়া।
দিল্লীর রাজপথে ক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের আনাগোনা।
ব্ল্যাকবোর্ড থেকে রণাঙ্গনে গজিয়ে উঠছে একেকটা ব্লু-প্রিন্ট। ‘মোদী হটাও,
দেশ বাঁচাও’ বাস্তবায়নের টোটকা, সেই ‘জোট’।
তাপমাত্রার উঠতি পারদের মত দেশ জুড়ে বইছে লোকসভা নির্বাচনের হাওয়া।
দিল্লীর রাজপথে ক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের আনাগোনা।
ব্ল্যাকবোর্ড থেকে রণাঙ্গনে গজিয়ে উঠছে একেকটা ব্লু-প্রিন্ট। ‘মোদী হটাও,
দেশ বাঁচাও’ বাস্তবায়নের টোটকা, সেই ‘জোট’।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রাজ্য
রাজনীতি হোক বা সর্বভারতীয় রাজনীতি, তূণের শেষ অস্ত্রটার নাম বোধহয় জোট।
তালিকায় যেমন রয়েছে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স, তেমনই রয়েছে
বাম-কং জোটের নামও। এখানে ‘জোট’ শব্দটা ধ্রুবক রাশি। দলের নাম পরিবর্তনশীল।
বর্তমানে এক নয়া জোটের সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে; থার্ড ফ্রন্ট। বিজেপিকে মসনদ
চ্যুত করতে হাত ধরাধরি করতে ইচ্ছুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে চন্দ্রবাবু
নাইডু, চন্দ্রশেখর রাও সহ বিরোধী দলের একাংশ। দোলাচালে বিজেডি, শিবসেনা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাজপেয়ী জমানায় টিডিপি, বিজেডি বা শিবসেনার মত কিছু
আঞ্চলিক দলের সমর্থনেই কিন্তু ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। ২০১৪তে মোদী
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর একপ্রকার দলের ‘সিনিয়র সিটিজেন’ তকমা সেঁটে দেওয়া
হয়েছে তৎকালীন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের গায়ে। ‘আচ্ছে জমানায়’ ব্রাত্য
আডবাণীর মত পোরখাওয়া রাজনীতিবিদরা। বিজেপি বিরোধী হাওয়ায় ‘এক কোটি চাকরি’,
‘কৃষি বিকাশ’, ‘আচ্ছে দিন’, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই’-এর মত
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি যে ইন্ধন জুগিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। তবু ধরে
নিলাম বেকারত্ব, কৃষি সমস্যা বা দুর্নীতি আজকের সমস্যা নয়। কিন্তু চরম
হিন্দুত্ববাদীতা? সম্প্রতি ভারতের মানচিত্রে অন্যতম বড় মাথা ব্যাথার কারণ
হিন্দুত্ববাদীর বাড়বাড়ন্ত। আর যাই হোক মোদী জমানায় এ এক নতুন আমদানি।
কিন্তু সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের দেশে সংখ্যা গরিষ্ঠদের এই দাপাদাপি কেনই বা
বরদাস্ত করবে আম জনতা। বিরোধী দল তো কোন ছাড়। ১৯৯৮-৯৯য়ে বাজপেয়ীর নেতৃত্বে
যে কংগ্রেস বিরোধী জোট বা এনডিএ গঠন হয়েছিল, তখন তো এই ধর্ম নির্ভর রাজনীতি
এভাবে চাগাড় দিয়ে ওঠেনি। সেইসময়ও শিবসেনা বা টিডিপি ছিল এনডিএ-র
অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আরএসএসের মত দলও হোতা হওয়ার সাহস পায়নি বাজপেয়ীর সময়ে।
বদান্যতায় অবশ্যই তাঁর হিমশীতল মানসিকতা, নরমপন্থী ভাবমূর্তী। কিন্তু মোদী
জমানায় এই সমস্ত আঞ্চলিক দলগুলিই পদ্ম শিবিরের বিপক্ষে যাওয়ার মুখে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এর নেপথ্যে রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর উন্নাসিক বা
‘ডোন্ট কেয়ার মনোভাব’। বলা ভালো আঞ্চলিক দলগুলির সমর্থনে যেমন কংগ্রেস
বিরোধী এনডিএ গঠিত হয়েছিল, তেমনই গড়ে ওঠার সম্ভাবনা তৃতীয় ফ্রন্টের। আরও
একটি ক্ষেত্রে বেশ মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে ১৯৯৮-৯৯ এবং ২০১৯-এর মধ্যে।
রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো, ২০১৯ লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ নাকি এগিয়ে আসতে পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৪-য়েও কিন্তু এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল নির্বাচন।
পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছিল এনডিএ সরকারকে।
রাজনীতি হোক বা সর্বভারতীয় রাজনীতি, তূণের শেষ অস্ত্রটার নাম বোধহয় জোট।
তালিকায় যেমন রয়েছে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স, তেমনই রয়েছে
বাম-কং জোটের নামও। এখানে ‘জোট’ শব্দটা ধ্রুবক রাশি। দলের নাম পরিবর্তনশীল।
বর্তমানে এক নয়া জোটের সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে; থার্ড ফ্রন্ট। বিজেপিকে মসনদ
চ্যুত করতে হাত ধরাধরি করতে ইচ্ছুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে চন্দ্রবাবু
নাইডু, চন্দ্রশেখর রাও সহ বিরোধী দলের একাংশ। দোলাচালে বিজেডি, শিবসেনা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাজপেয়ী জমানায় টিডিপি, বিজেডি বা শিবসেনার মত কিছু
আঞ্চলিক দলের সমর্থনেই কিন্তু ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। ২০১৪তে মোদী
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর একপ্রকার দলের ‘সিনিয়র সিটিজেন’ তকমা সেঁটে দেওয়া
হয়েছে তৎকালীন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের গায়ে। ‘আচ্ছে জমানায়’ ব্রাত্য
আডবাণীর মত পোরখাওয়া রাজনীতিবিদরা। বিজেপি বিরোধী হাওয়ায় ‘এক কোটি চাকরি’,
‘কৃষি বিকাশ’, ‘আচ্ছে দিন’, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই’-এর মত
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি যে ইন্ধন জুগিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। তবু ধরে
নিলাম বেকারত্ব, কৃষি সমস্যা বা দুর্নীতি আজকের সমস্যা নয়। কিন্তু চরম
হিন্দুত্ববাদীতা? সম্প্রতি ভারতের মানচিত্রে অন্যতম বড় মাথা ব্যাথার কারণ
হিন্দুত্ববাদীর বাড়বাড়ন্ত। আর যাই হোক মোদী জমানায় এ এক নতুন আমদানি।
কিন্তু সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের দেশে সংখ্যা গরিষ্ঠদের এই দাপাদাপি কেনই বা
বরদাস্ত করবে আম জনতা। বিরোধী দল তো কোন ছাড়। ১৯৯৮-৯৯য়ে বাজপেয়ীর নেতৃত্বে
যে কংগ্রেস বিরোধী জোট বা এনডিএ গঠন হয়েছিল, তখন তো এই ধর্ম নির্ভর রাজনীতি
এভাবে চাগাড় দিয়ে ওঠেনি। সেইসময়ও শিবসেনা বা টিডিপি ছিল এনডিএ-র
অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আরএসএসের মত দলও হোতা হওয়ার সাহস পায়নি বাজপেয়ীর সময়ে।
বদান্যতায় অবশ্যই তাঁর হিমশীতল মানসিকতা, নরমপন্থী ভাবমূর্তী। কিন্তু মোদী
জমানায় এই সমস্ত আঞ্চলিক দলগুলিই পদ্ম শিবিরের বিপক্ষে যাওয়ার মুখে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এর নেপথ্যে রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর উন্নাসিক বা
‘ডোন্ট কেয়ার মনোভাব’। বলা ভালো আঞ্চলিক দলগুলির সমর্থনে যেমন কংগ্রেস
বিরোধী এনডিএ গঠিত হয়েছিল, তেমনই গড়ে ওঠার সম্ভাবনা তৃতীয় ফ্রন্টের। আরও
একটি ক্ষেত্রে বেশ মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে ১৯৯৮-৯৯ এবং ২০১৯-এর মধ্যে।
রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো, ২০১৯ লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ নাকি এগিয়ে আসতে পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৪-য়েও কিন্তু এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল নির্বাচন।
পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছিল এনডিএ সরকারকে।