বিশ্বজিৎ মন্ডল, মালদা : আম বাগানে কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার।খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পরিবারের।পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।প্রেম ঘটিত কারণে এই বলে অভিযোগ পরিবারের।শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচল থানার পুলিশ বাঘপাড়া এলাকার একটি আমবাগান থেকে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে চাঁচল থানার পুলিশ।খুন সন্দেহে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত যুবকের নাম জাহেরুল ইসলাম(২৫)।যুবকের চাঁচল থানার চন্দ্রোপাড়া অঞ্চলের কানাইপুর দুর্গাপুর গ্রামে বাড়ি।গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন জহেরুল।পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি মিশনে অস্থায়ী শিক্ষকও ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার বাড়ির কাউকে কিছু না বলে শিবপুর গ্রামে পিসির বাড়ি চলে যায় জহেরুল। রাতে সে ঘরে না ফেরায় বাড়ির লোকেরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরের দিন সকালে সে নিজেই ফোন করে জানায়, সে পিসির বাড়িতে আছে। সেদিনই সে বাড়ি চলে আসবে।কিন্তু ঘরে ফেরেনি। পরিবারের তরফ থেকে পিসিকে ফোন করা হলে তিনি জানান, জহরুল বাড়ি যাবে বলে শুক্রবার সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।তবে শুক্রবার রাতে বাড়ি না ফেরায় শনিবার জহেরুলের পরিবার থানায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
তখনই জানতে পারেন গ্রাম থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে একটি আমবাগানে জহেরুলের দেহ ঝুলছে। তারপরই ঘটনাস্থানে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। দেখেন, গলায় ওড়না লাগানো অবস্থায় ঝুলছে জহেরুলের দেহ।ওড়নাটি কার, তা জানা যায়নি। পরিবারে লোকেদের অনুমান, এই ঘটনায় প্রেমের বিষয় রয়েছে এবং তাঁকে খুন করা হয়েছে। জহেরুলের পরিবারের সন্দেহ ত্রিকোণ প্রেমের ঘটনাও ঘটতে পারে। জহেরুলের সঙ্গে কারও কোনওদিন ঝামেলা হয়নি বলে তাঁর পরিবারের লোকেদের মত। তাই তাঁরা নিশ্চিত, বাইরে কোথাও শ্বাসরোধ করে খুন করার পর জহেরুলকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার পরিবার।রবিবার দেহ মৈনাতন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এই ঘটনায় একটি খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে না। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে।