পারিবারিক কলহে মা-ভাই মিলে পুড়িয়ে মারলো স্ত্রীকে
1 min read
বিশ্বজিৎ মন্ডল, মালদা : বিবাহের পরের দিন থেকেই শুরু অশান্তি।অবশেষে গৃহবধূকে পুড়িয়ে মেরেই হলো শেষ।পারিবারিক কলহে মা-ভাই মিলে পুড়িয়ে মারলো স্ত্রীকে।মা-ভাইয়ের কীর্তির কথা জানালেন খোদ মৃতার স্বামী।অভিযুক্ত মায়ের শাস্তির দাবি তুলেছে ছেলে।ঘটনায় শোকের ছায়া গৃহবধুর পরিবারে।ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংসীহারি থানার দৌলতপুর এলাকায়।ঘটনায় শাশুড়ি-তিন দেওর ,এক জা সহ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে গৃহবধুর পরিবার।মৃত গৃহবধুর নাম রজনী প্রসাদ(২৬)।বাবার বাড়ি মালদার হবিবপুর থানার বুলবুলচন্ডী এলাকায়।পরিবার সূত্রে জানাযায়, গত প্রায় ৫ বছর আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংসীহারি থানার দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা সন্তোষ প্রাসাদের সাথে বিবাহ হয় রজনীর।স্বামী সন্তোষ প্রসাদ প্রতিবন্ধী,ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি।বর্তমানের তাদের একটি তিন বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে।স্বামী সন্তোষ প্রসাদ জানান,”স্ত্রী বাড়ি যেতে বিয়ের পরের দিন থেকেই মা শুরু করে অশান্তি।
তারপর আমাদের আলাদা করে দেয় মা।স্ত্রীর সমস্ত গয়না ছিনিয়ে নেয় মা।বাড়িতে আবার সালিশি করে আমাদের ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়।কিন্তু মা আবার শুরু করে অশান্তি।শেষে প্রায় ৮ মাস সসূর্বাড়িতেই থাকতে হয় আমাদের।পরে বাড়ি গেলে মা-ভাই আমাকে ও স্ত্রীকে মারধর করে।তবুও মা ভাইদের সব অত্যাচার সহ্য করে স্ত্রী নিয়ে থাকতে হচ্ছিলো।প্রায় রোজই আমার স্ত্রীর ওপর অত্যাচার চালাতো মা।সেই মতো শুক্রবার দুপুরে অত্যাচার শুরু হয়।কাজের জন্য বাড়ির বাইরে গেছিলাম,সেই সময় স্ত্রীকে মারধর করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় মা-ভাই।
জানতে পেরে ছুটে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করি।পরের দিন মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।রবিবার ভোররাতে মৃত্যু হয় স্ত্রীর।টাকা গয়না এগুলো চাই শুধু মায়ের।মায়ের এই লোভ আমার সংসার শেষ করে দিলো। ঘটনায় মা ও ভায়ের উচিত শাস্তি হোক এটাই চাই।গৃহবধুর মা সীতা প্রসাদ জানান,”মৃত্যুর আগে মেয়ে আমায় বলে, আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিলো শাশুড়ি-দেওর-জা।ঘটনায় শাশুড়ি লিলাদেবী প্রসাদ,যা রিতা প্রসাদ সহ তিন দেওরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে গৃহবধুর পরিবার।স্ত্রীর মৃত্যুতে ভেঙেছে প্রতিবন্ধী স্বামী সহ পরিবার।