তপন চক্রবর্তী--বাঙালি মানেই বারো মাসের তেরো পার্বণ।আর তেরো পার্বনের একটি পার্বন হলো অক্ষয় তৃতীয়া ।
বুধবার উত্তরদিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরের প্রধান ব্যবসা কেন্দ্র মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারের আমরা ক জন ব্যবসায়ীদের উদ্যগে ব্যবসায়ী মহল অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করলো বাংলার ব্যবসায়ীদের প্রাচীন কৃষ্টির উৎসব অক্ষয় তৃতীয়া।
এদিন সকাল থেকে মগেন্দ্রগঞ্জে বেশ কিছু বস্ত্র ব্যবসায়ীদের সাথে স্টেশনারি দোকান ও আসবাব পত্রের ব্যবসায়ীরা এই দিনটিকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও দোকানকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করবার সাথে সাথে রাস্তায় যেভাবে আলোর রোশনাযে সাজিয়ে তুলেছিল যা দেখে মনে হতেই পারে এ যেন বাঙালীর কোন শ্রেষ্ঠ উৎসব শুরু হয়েছে।মহেন্দ্রগঞ্জ আমরা ক জন ব্যবসায়ীদের কয়েকজন রতন মোদক, উজ্জ্বল সাহা,প্রদীপ কুমার ঘোষ ও স্বপন সাহা জানান তারা প্রতিবছর কয়েকজন ব্যবসায়ীরা মিলে অক্ষয় তৃতীয়া উৎসব অত্যন্ত আনন্দের মধ্য দিয়ে পালন করে থাকে।তারা এই প্রতিবেদককে জানান প্রতিবছর এই দিনটির জন্য তারা অপেক্ষা করে থাকে।আমরা অক্ষয় তৃতীয়া মানে এই উৎসবকে হাল খাতা উৎসব মনে করিনা।আমরা এই উৎসবকে প্রানের আনন্দ উৎসব মনে করে থাকি।আমাদের দোকানের যারা লক্ষী তদের পদার্পণে আমাদের ব্যবসায়ীদের দোকান যেন মিলন মেলার রূপ নেয়।
অক্ষয় তৃতীয়াতে এটাইতো আমাদের সবচেয়ে বড় পাওনা।এদিন কালিয়াগঞ্জের বয়রা কালিবাডি মন্দিরে বহু ভক্তরা পূজো দিতে আসেন।হিন্দু মতে শুভ অক্ষয় তৃতীয়ার পবিত্র দিনে যে কোনো শুভ কাজ অক্ষয় হয়ে থাকে। এই শাস্ত্র মতে এই দিনই ভাগিরথ স্বর্গ থেকে গঙ্গাকে মর্তে এনেছিলেন। এই দিনে হাজার হাজার পুনার্থীরা গঙ্গা স্নান করে পূর্ন সঞ্চয় করেন ।অক্ষয় তৃতীয়াকে ঘিরে যেন অনেক দোকানেই ধনতেরাসের আয়োজন করা হয় ৷
মহেন্দ্রগঞ্জের ব্যবসায়ী কান্তি সাহা জানান বাংলা নববর্ষ এবং অক্ষয় তৃতীয়া তুলনায় কাছাকাছি হওয়ায় এবার পয়লা বৈশাখ থেকে অক্ষয় তৃতীয়া পর্যন্ত টানা তারা নানা ধরনের স্কিমের ব্যবস্থা করেছে৷অর্থাৎ তাঁরাও চেয়েছেন এই সময়টাকে ব্যবসার জন্য কাজে লাগাতে ৷ ব্যবসায়ী কান্তি সাহা জানান অনেক শুভ কাজ করার জন্য এই দিনটিকে তারা বেছে নেন৷তা ছাড়া পয়লা বৈশাখের পাশাপাশি অনেকেই হালখাতার অনুষ্ঠান করে থাকেন অক্ষয় তৃতীয়া দিনেই।কান্তি বাবু জানান এবারে তারা বাংলা নববর্ষতে যদিও বা নতুন খাতার উদ্বোধন করেছিলেন।এই পবিত্র দিনটিতে কোন শুভকার্য সম্পন্ন হলে অনন্তকাল তা অক্ষয় থাকে। মূলত এপ্রিলের শেষে বা মে মাসের প্রথমে এই শুভ তিথি পালন করে থাকে। এদিন অক্ষয় তৃতীয়া কে ঘিরে বহু মানুষকে রত্ন বা জিনিসপত্র কিনতে দোকানে ভীড় জমাতে দেখা যায় ।