বিশ্বের দরবারের উত্তর দিনাজপুরের নগরী
1 min readকিন্তু গ্রামটি আজ কাপেট নগরী নামেই খ্যাত
হয়ে গেছে বিশ্বের দরবারে।এর কারন একটাই গ্রামের সন্ধ্যা,শেফালী,মামুনিদের নিপুন হাতে
তৈরী করা রংবেরং এর কাপেট আজ আর শুধু
মাত্র তাদের গ্রামেই সিমাবদ্ধ নয় তাদের তৈরী কাপেট বিভিন্ন প্রান্তের ড্রইং রুমে।
বিশ্বের দরবারের উত্তর দিনাজপুরের নগরী ছবি ঃ- শঙ্কর গুপ্তা |
সন্ধা দুপুর তাই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষদের একটাই চিন্তা এখন অখ্যাত তাদের
গ্রামের খ্যাতি তাদের ধরে রাখতেই হবে ।এই মালগাও গ্রামের এমন কোন বাড়ি নেই যেখানে কোন কাপেট বুনেন না কেউ । একটা সময় এই
মুসলিম অধ্যূসিত উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের যে মালগাও গ্রামের মানুষ
তাদের গ্রামে কোন কাজ না থাকার জন্য চলে যেতেন জীবিকার সন্ধানে ভিন রাজ্যে আজ সেই
গ্রামের মানুষেরা আর যান না ভীন রাজ্যে জীবিকার সন্ধ্যানে।
বিশ্বের দরবারের উত্তর দিনাজপুরের নগরী ছবি ঃ- শঙ্কর গুপ্তা |
গ্রামবাসীরা নিজেরাই উদ্দ্যেগ নিয়ে গ্রামের ই সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দিয়েছেন স্বাগতম কাপেট নগরী,।
মাত্র ই সব বাড়িতেই আওয়াজ ই জানিয়ে দেয় গ্রামের মানুষেরা কেমন ব্যাস্ত।বহু দূর
দুরান্ত থেকে যখন মানুষ উত্তর দিনাজপুর জেলায় আসেন তখন তাদের সব কাজের মাঝে তারা
ভোলেন না যেমন মেহেনিগঞ্জের তুলাইপাঞ্জি চাল নিতে তেমন কাপেট নগরীতে গিয়ে নিজের
পছন্দে একটি কাপেট নিতে ও ।
বিশ্বের দরবারের উত্তর দিনাজপুরের নগরী ছবি ঃ- শঙ্কর গুপ্তা |
তাহের। যার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আজ ছোট এই মালগাও গ্রাম কাপেট নগরীতে পরিনিত
হয়েছে। নাম ছড়িয়েছে বিশ্বের দরবারে ।হাসি ফুটছে গ্রামের প্রতিটি পরিবারের। এক
সাক্ষাৎ কারে আবু তাহের জানান, আজ ঠিক ১৫ বছর আগে উত্তর প্রদেশে
ঘুড়তে গিয়েছিলেন তিনি।
বিশ্বের দরবারের উত্তর দিনাজপুরের নগরী ছবি ঃ- শঙ্কর গুপ্তা |
প্রচুর মহিলারা স্বনিভর গোষ্টী গড়ে তারা নিজেদের জীবিকার পথ বেছে নিয়েছেন।
বিশ্বের দরবারের উত্তর দিনাজপুরের নগরী ছবি ঃ- শঙ্কর গুপ্তা |
তিনি ভাবলেন যদি সেখানে কয়েকদিন থেকে সেই কাজ শিখে গিয়ে গ্রাম বাসীদের দিয়ে সেই
কাজটা গ্রামেই করতে পারেন তাহলে গ্রামের প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন।
বিশ্বের দরবারের উত্তর দিনাজপুরের নগরী ছবি ঃ- শঙ্কর গুপ্তা |
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
গ্রামেই তার বাড়িতে প্রথম কাপেট তৈরি করা শুরু করেন। এরপর একে একে তিনি নিজেই
উদ্দ্যেগ নিয়ে গ্রামবাসীদের ডেকে এনে তার বাড়িতে
এই কাপেট বোনার কাজ টা শিখিয়ে দেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিশ্বের দরবারের উত্তর দিনাজপুরের নগরী ছবি ঃ- শঙ্কর গুপ্তা |
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এরপর
একে একে গ্রামের মানুষেরা নিজেরাই তাদের বাড়িতে বসে এই কাজটা করতে থাকে। আজ সেই ছোট
গ্রামের প্রতিটি পরিবার এর মানুষদের কাপেটের কাজটা নিজেদের রুটি রুজির হাতিয়ার হয়ে
দাড়িয়েছে।আর কেউ এই গ্রাম থেকে যাচ্ছে না ভিন রাজ্যে কাজ করতে।জানা যায় আজ থেকে ১০
বছর আগেও গ্রামে দুই থেকে তিনটি বাড়িতে কাপেট বোনার কাজ হত কিন্তু আজ গ্রামের
দুইশ ওর বেশী বাড়িতে দিনে ও রাতেও কারপেট বোনার কাজ হয়। শুধু তাই নয় এখন অবুতাহের
গ্রামের এই সমস্ত শিল্পীদের যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে আধুনিক মানের কাপেট তৈরী প্রশিক্ষন
ও দিছেন ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তার উদ্দ্যেগে এই কাপেট শিল্পের উপড় গড়ে উঠেছে একটি ক্লাস্টার প্রকল্প।
এদিকে রাজ্যে সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার ও এই গ্রামের শিল্পীদের এহেন উদ্দ্যেগে
উৎসাহিত হয়ে এগিয়েএসছে বিভিন্ন ভাবে ।তাদের আথিক দিক দিয়েও সহযোগিতা সরকার করছে।শুধু তাই নয় এখানকার তৈরী কাপেট যাতে
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের সাথে আন্তজাতিক
বাজারে সমাদিত হয় তার জন্য বিশেষ ব্যাবস্থাও নিচ্ছেন প্রায় সই। জানা যায় এখান থেকে
কাপেট প্রতিনিয়ত আরব আমিরশাহি, লন্ডন, জাপান, জার্মান, আমেরিকা, ফ্রান্স ও যাচ্ছে । জানা
যায় একেকটি কাপেট এর মূল্য একেকরকম। ৫০০ টাকা থেকে ৩০.০০০ টাকা মূল্যের লোভনীয়
কাপেট তৈরী এই গ্রামের শিল্পীদের হাতেই। যা একবার দেখলেই প্রতিটি মানুষের ক্রয়
করবার ইচ্ছা হবেই।