উত্তর দিনাজপুর জেলার ২৪টি ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিতে শাসক তৃণমূল ঘোড়া কেনা বেচার মাঠে
1 min read
-তপন চক্রবর্তী-উত্তর দিনাজপুর–সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ত্রিস্তরিয় গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুর জেলার ৯৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে শাসক
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তৃণমূল কংগ্রেস একক ভাবে নানান কৌশলে ৫৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে পেরেছে।অপর দিকে এবারের গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুর জেলায় শুন্য থেকে যেখানে যেখানে মানুষ তার নিজস্ব ভোটটি দিতে পেরেছে সেই সব এলাকায় এক লাফে একক ভাবে ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিতে গেরুয়াবাহিনীরা একক ভাবে সাফল্য পায়।বাদবাকি ২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের অবস্থা ত্রিশঙ্কু হয়ে যায়।এই ২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এমন বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে যেখানে গ্রাম পঞ্চায়েত গুলি বিজেপির পক্ষেই যাবার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে দাঁড়িয়েছে।।
কিন্তু শাসক তৃণমূলের বক্তব্য তারা বিরোধী শুন্য পঞ্চায়েত করতে চায়। তাই বাঁকি ২৪ টি ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতের একটিও যাতে বিজেপির ঝুলিতে না যেতে পারে তার সব রকম রাস্তা বন্ধ করে কাজ করতে হবে।সেই কারণে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের ইতিমধ্যেই শাসক দলের পুলিশের মাধ্যমে নানাভাবে কেস কাবাড়ি দেওয়া শুরু করে তাদের শাসক তৃণমূলে নাম লিখানোর জোর চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে শাসক দলের নেতৃত্বরা। ঠিক দুদিন আগেই রাজ্যের পরিবহন মন্ত্ৰী শুভেন্দু অধিকারী আগামী শহীদ দিবস উপলক্ষে একটি পথ মিছিল রায়গঞ্জে করে গেলেও তার আসার আসল কারনই ছিল ত্রিশঙ্কু ২৪।বিশ্বস্ত সূত্রের খবর উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বদের পরিষ্কার করে নির্দেশ দিয়ে গেছেন ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েত সম্পর্কে।মৌখিক নির্দেশে বলা হয়েছে টাকা অথবা চাকুরী যেটাই দিতে হোক তা দিয়েই ত্রিশঙ্কুর ২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত তার চাই ই চাই।যে কারনেই বিরোধীদের জয়ী মেম্বারদের সুবিধা দিয়ে তাদের দলে টানার কারনেই গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের কোন নির্দেশ এখনো আসেনি।অবস্থা বুঝে ব্যবস্থ্য নেবার জন্যই ইচ্ছাকৃত ভাবেই দেরি করে হচ্ছ। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি নির্মল দাম জানান শাসক দল যেনতেন উপায়ে ২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করার সবরকম চেষ্টা করেও এবার পার পাবেনা।উত্তর দিনাজপুর জেলার মানুষ শাসক তৃণমূল দলের লোক ঠকানো উন্নয়নের হিসাব বুঝে গিয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা জানান এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্রের কথা মুখে কি করে বলেন বুঝতে অসুবিধা হয়।তিনি নিজেই তার দলের ক্যাপ্টেনদের বলেই দিচ্ছে সব গ্রাম পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদ যেমন করেই হোক দখল নিতে হবে তার মুখে যখন গনতন্ত্রের কথা শোনা যায় তখন ঘোরাও না হেসে পারেনা। যদিও বিজেপির এসব মন গড়া কথাকে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ।তিনি বলেন গণতন্ত্র এ রাজ্যে আছে বলেই অসীম ঘোষ কে জেলা পরিষদের প্রার্থী হয়েও হারতে হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});