October 25, 2024

অবশেষে ২০ বছর পর বেলুরমঠ রায়গঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রমকে অধিগ্রহণ করায় রায়গঞ্জে খুশির প্লাবন

1 min read

অবশেষে ২০ বছর পর বেলুরমঠ রায়গঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রমকে অধিগ্রহণ করায় রায়গঞ্জে খুশির প্লাবন

তপন চক্রবর্তী-কালিয়াগঞ্জ–(উত্তর দিনাজপুর)-– অবশেষে দীর্ঘ ২০ বছরের অনেক তদ্বির তদারকির ফলে স্বপ্ন সফল। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রমকে বেলুড় মঠ অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিল বেলুরমঠ।।এই খবর উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে শহরে আসার সাথে সাথে রায়গঞ্জ তথা উত্তর দিনাজপুর জেলার সর্বত্র খুশির হাওয়া।

দীর্ঘদিনের বাসনা পূর্ণ হওয়ায় খুশি আশ্রমের পরিচালক থেকে শিস্যরা। রায়গঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রমের সভাপতি তথা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় জানান, “১৯৪৮ সালের শুরুতে অবিভক্ত দিনাজপুর আশ্রমের শ্রীমৎ স্বামী গদাধরনন্দজী মহারাজ রায়গঞ্জে এসেছিলেন। সেই সময় মহারাজা জগদীশ নাথ রায় বাহাদুর গদাধরনন্দজী মহারাজকে রামকৃষ্ণ মঠ মিশন করবার জন্য জমি দান করেন। সেসময়ে আশ্রম পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠিত হয়। সেই বোর্ড স্থানীয় ভাবে এই আশ্রম পরিচালনা করত এবং স্বামী বিবেকানন্দ ভাবপ্রচার পরিষদের আদর্শেই পরিচালিত হতো।

”তিনি আরও জানান, “বিগত কুড়ি বছর ধরে বহুবার চেষ্টা করা হয়েছে যাতে বেলুড় মঠ এই আশ্রমটি অধিগ্রহণ করে। মালদা এবং জলপাইগুড়িতে বেলুরমঠ আশ্রম দুটিকে অধিগ্রহণ করলেও রায়গঞ্জের রামকৃষ্ণা আশ্রমকে অধিগ্রহন করা হয়নি। সেইকারনে উত্তর দিনাজপুরে বেলুড় মঠের শাখা খোলার জন্য রামকৃষ্ণ মিশনের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে বারবার আবেদন করা হয়েছিলো। দীর্ঘ দিন পরে হলেও সেই আবেদনে সারা দিয়েই লকডাউনের মধ্যেই জুন মাসেই বেলুড় মঠে সিদ্ধান্ত হয়েছে রায়গঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রমটি অধিগ্রহণ করবার। অধিগ্রহনের পর রায়গঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রমের নাম প্ররিবর্তন হয়ে নুতন নাম হবে রায়গঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন। খুব তাড়াতাড়ি বেলুড় মঠ থেকে সন্ন্যাসীরা এসে তাদের দায়িত্ব বুঝে নেবেন।” পাশাপাশি শুভেন্দুবাবু বলেন, আশ্রম সংলগ্ন স্কুলটি রামকৃষ্ণ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করলেও সেটি বর্তমানে রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। আশ্রমটি বেলুড় মঠ অধিগ্রহণ করায় রায়গঞ্জবাসী চাইছেন স্কুলটিকেও মঠের অধীনে নিয়ে আসা হোক। জেলার শিক্ষা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে রামকৃষ্ণা মিশন।তবে গোটা ব্যাপারে রাজ্য সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
আশ্রমের সম্পাদক প্রদীপ ঘোষ বলেন, রামকৃষ্ণ মিশনের মাধ্যমে এখানে যদি একটি আধ্যাত্মিক কেন্দ্র গড়ে উঠত তাহলে ভক্ত ও শিষ্যদের অনেক সুবিধা হবে। আধ্যাত্মিক কেন্দ্র গড়ে উঠলে মানুষ গড়ার যে স্বপ্ন স্বামীজি দেখতেন তা বাস্তবায়িত হবে। স্বামীজিরা এখানে থাকবেন। তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ত্রাণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে নজর রাখবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *