October 25, 2024

ত্রাণ বিলিতে নজির সৃষ্টি করতে চলেছে পতিরাম নাগরিক ও যুব সমাজ,২০শে জুন থেকে ৩০ শে জুন প্রতিদিন ৭০০ জন দুস্থদের “অন্ন গৃহ আপনার হেসেল”কমিউনিটি কিচেনের মাধ্যমে-

1 min read

ত্রাণ বিলিতে নজির সৃষ্টি করতে চলেছে পতিরাম নাগরিক ও যুব সমাজ,২০শে জুন থেকে ৩০ শে জুন প্রতিদিন ৭০০ জন দুস্থদের “অন্ন গৃহ আপনার হেসেল”কমিউনিটি কিচেনের মাধ্যমে-

তপনচক্রবর্তী-কালিয়াগঞ্জ(উত্তরদিনাজপুর)–করোনাভাইরাসের লকডাউনের জেরে ঘর বন্দি দুস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিলিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম নাগরিক ও যুব সমাজ জেলায় সম্ভবত নজির সৃষ্টি করতে চলেছে।যা এক কথায় অভাবনীয় বলা যায়।অভাবনীয়

এই কারনে গত ২৪ শে মার্চ লকডাউন শুরু হবার পর থেকে গৃহ বন্দি উপার্জনহীন দুস্থ্য মানুষ তথ্যাভিন রাজ্যে থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে প্রতিদিন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সংস্থার সদস্যরা। বাইরের কারো কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে নয়, সদস্যদের দেওয়া অর্থে।

প্রতিদিন যা সাহায্য দেওয়া হচ্ছে তা তাদের সদস্যদের প্রত্যেকের নিজেদের আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমেই।যা ভাবতে অবাক হবারই কথা।দক্ষিণ দিনাজুর জেলার পতিরাম নাগরিক ও যুব সমাজের কনভেনার বিশ্বজিৎ প্রামানিক বলেন করোনার কবলে পড়া দুস্থ্যদের সাহায্য এবারের কমিউনিটি কিচেন ৩০ নম্বরে চলছে।অর্থাৎ গত ২৪শে মার্চ থেকে গত ১৯শে জুন পর্যন্ত ২৯ বার দুস্থ্যদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ।

যার মধ্যে একটি পরিবারের সংসার চালাতে যে সমস্ত খাদ্যদ্রব্য প্রয়োজন তার সবকিছুই দেওয়া হয়েছে বলে বিশ্বজিৎ প্রামানিক জানান।পতিরাম নাগরিক ও যুবসমাজ সংস্থার কনভেনার বিশ্বজিৎ প্রামানিক বলেন গত ২০শেজুন থেকে যে ৭০০জন সাধারণ মানুষ ও পরিযায়ী শ্রমিকদের ৩০ শে জুন পর্যন্ত”অন্ন গৃহ আপনার হেসেলের” মাধ্যমে কমিউনিটি কিচেনে রান্না করা খাবার দেওয়া হবে ।তিনি বলেন যাদের রান্না করা খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হবে

সেই সমস্ত দুস্থদের প্ৰকৃত সার্ভে করে তাদের প্রত্যেককে কমিউনিটি কিচেন কার্ড দেওয়া হয়েছে।পতিরাম নাগরিক ও যুব সমাজ সংস্থার অপর কর্নধার সন্দীপ দাস বলেন গত ২০-৩০শে জুন পর্যন্ত প্রতিদিন ৭০০ জন দুস্থদের রান্না করা খাবার দেবার জন্য মোট ব্যায় হবে এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা।সন্দীপ দাস বলেন খাবারের মেনুতে কোন দিন পনির থাকছে,কোন দিন ডাল সব্জি,আবার কোনদিন ডিম ভাত থাকছে।সন্দীপ বাবু বলেন তাদের সংস্থার মাধ্যমে পথ কুকুরদের প্রায় প্রতিদিন খাবার দেওয়া হয়েছে এবং এখনো চলছে।শুধু তাই নয় বিগত ৮৬ দিন ধরে পতিরাম এলাকার সমস্ত ভবঘুড়েদের খাবার ব্যবস্থ্যা নিয়মিত চলছে।।সন্দীপ বাবু বলেন সরকার থেকে যদিও বলা হচ্ছে যাদের রেশন কার্ড নেই তাদের রেশনে চাল দেওয়া হবে।তাদের জন্য আলাদা ভাবে কুপন দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।কিন্তু কার্য ক্ষেত্রে অনেকেই রেশন পায়নি এবং এখনো পাচ্ছেনা।সেই সমস্ত মানুষদেরও তাদেরকে দেখতে হচ্ছে বলে জানান।তিনি বলেন পতিরাম নাগরিক ও যুবসমাজের সদস্যরা দিনরাত এক করে বিপন্ন মানুষদের সেবা করে চলেছে যা এক কথায় অভাবনীয়।তিনি বলেন করোনা ভাইরাসের জের আর কতদিন চলবে কেও বলতে পারবেনা। তবে করোনার প্রভাব যতদিন থাকবে আমাদের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম নাগরিক ও যুব সমাজ জেলার ভিন রাজ্য থেকে আসা দুস্থ পরিযায়ী শ্রমিক ও প্ৰকৃত দুস্থদের সেবায় সব সময় পাশে থাকবে বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *