October 25, 2024

কতদিন লাগবে? মহামারী করোনা শেষ হতে।

1 min read

কতদিন লাগবে? মহামারী করোনা শেষ হতে।

ইতালি, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই করোনায় বিপর্যস্ত। শুক্রবার বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৬০ হাজারের কাছাকাছি।এদিকে একদিনে ৯ ঘণ্টার পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতি মিনিটে ৫০ জন আক্রান্ত ও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।প্রাণঘাতী এই করোনা নিয়ে সবার এখন একটাই প্রশ্ন- করোনা শেষ হতে কতদিন লাগবে? আর মানুষ কবে নাগাদ তাদের স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনে ফিরতে পারবে?ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ১২ সপ্তাহের মধ্যে করোনার ঢেউ উল্টোপথে ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম হবে ব্রিটেন।

এর মধ্যে মোটে দেড় সপ্তাহ পার হয়েছে এখন পর্যন্ত।তবে তিনমাসের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসবে। তবে করোনার সংক্রমণ পুরোপুরি শেষ হতে কয়েক বছর পর্যন্ত লাগতে পারে।তবে এখন করোনা থেকে বেরিয়ে আসার কৌশল কী হবে? সে বিষয়ে এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিষয়ক অধ্যাপক মার্ক উলহাউজ বলেন, বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর কোন দেশেরই কৌশল নেই। এই কৌশল ঠিক করা বড় ধরনের বৈজ্ঞানিক এবং সামাজিক চ্যালেঞ্জ।তবে তিনি তিনটি উপায়ের কথা জানিয়েছেন। ১. টিকা দেয়া। ২. বহু মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের ফলে তাদের মধ্যে এনিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে। ৩. স্থায়ীভাবে মানুষ এবং সমাজের আচার-আচরণে পরিবর্তন নিয়ে আসা।তবে টিকা আসতে সময় লাগবে ১২ থেকে ১৮ মাস। এই টিকা গ্রহণ করলে করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে আসলেও তারা অসুস্থ হবে না। যত বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দেয়া যাবে ততই ভালো। যদি মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশকে টিকা দেয়া হয়, তাহলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে না।ইতিমধ্যে আমেরিকায় এক ব্যক্তির দেহে পরীক্ষামূলক-ভাবে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হয়েছে। তবে এই টিকা সফল হবে কিনা কিংবা বিশ্বজুড়ে এই টিকা দেয়া যাবে কি না সে নিশ্চয়তা নেই।
করোনা সংক্রমণ মোকাবেলার জন্য জন্য ব্রিটেন আক্রান্তের সংখ্যা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। যেন হাসপাতালগুলো রোগীতে পরিপূর্ণ না হয়ে যায়।ব্রিটেনের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালান্সি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কখন কোন পর্যায়ে যাবে সেটি নিয়ে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা দেয়া সম্ভব নয়।লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক নিল ফার্গুসন বলেন, আমরা সংক্রমণের মাত্রা কমিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। যেন মানুষ কম আক্রান্ত হয়।তিনি বলেন, যদি দুই বছরের বেশি সময় যাবত এটা করতে পারি তাহলে দেশের একটি বড় অংশ ধীরে ধীরে আক্রান্ত হবে। এর ফলে স্বাভাবিক নিয়মে রোগ প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।এদিকে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস এপ্রিল মাসের শেষ দিকে নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন চীনের শ্বাসতন্ত্রের রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জুং নানশান।বুধবার চীনের শেনজেন টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জুং নানশান বলেন, করোনা প্রতিরোধে বিশ্বের দেশগুলো যেভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে তাতে আমার মনে হচ্ছে এ মাসের শেষদিকে মহামারিটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।তবে আগামী বসন্তে আরও একটি ভাইরাস দেখা দেবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *