কালিয়াগঞ্জ ব্লকের চাষিরা আমন ধানের চাষের জন্য প্রস্তুতি নিতে ব্যাস্ত,ব্লকে মোট আমন ধানের লক্ষমাত্রা ১৯হাজার হেক্টর
1 min readকালিয়াগঞ্জ ব্লকের চাষিরা আমন ধানের চাষের জন্য প্রস্তুতি নিতে ব্যাস্ত,ব্লকে মোট আমন ধানের লক্ষমাত্রা ১৯হাজার হেক্টর
তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ-(উত্তর দিনাজপুর)–প্রবাদ বচনে বলা হয়ে থাকে “চাল চিড়া,চিনি গুড় এই নিয়েই দিনাজপুর”।হ্যা,এর থেকেই বোঝা যায় সাবেক পশ্চিম দিনাজপুর দ্বিখন্ডিত হয়ে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নামকরণ হয়েছিল ১৯৯২সালে।
আসলে দুই দিনাজপুর জেলার আসল ফসল বলতেই ধরে নিতে হবে ধান আর পাট।বর্ষা উত্তর দিনাজপুর জেলায় করা নাড়তে শুরু করে দিয়েছে।ইতিমধ্যেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি শুরুও হয়ে গেছে।কালিয়াগঞ্জ ব্লকের চাষিরা লকডাউন চলা কালীন আনুমানিক তিন মাস ঘর বন্দি হয়ে ছিল।সম্প্রতি কৃষকদের জমি রোপনের কাজে ছাড় পাওয়ায় কৃষকরা সময় নষ্ট না করে
ইতিমধ্যেই মাঠ তৈরির কাজে চরম ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে বলে জানা যায়।এক প্রশ্নের উত্তরে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সহকারি কৃষি অধিকর্তা গোপাল ঘোষ বলেন কালিয়াগঞ্জ ব্লকের কৃষকরাও যেমন আমন ধানের চাষের জন্য প্রস্তুত।
তেমনি এই আমন ধানের চাষ সুষ্ঠ ভাবে যাতে কৃষকরা করতে পারে তার জন্য কালিয়াগঞ্জ ব্লকের কৃষি দপ্তরও একদম তৈরি কৃষকদের সব রকম সরকারি সাহায্য দিতে। ব্লক সহকারী কৃষি অধিকর্তা গোপাল ঘোষ জানান কালিয়াগঞ্জ ব্লকে এবার সরকারিভাবে আমন ধান চাষের লক্ষ মাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১৮৫০–১৯০০ হাজার হেক্টর জমিতে।আমাদের কৃষি দপ্তর থেকে সম্পূর্ণ
বিনা মূল্যে উন্নত মানের ধানের শোধন করা বীজ যেমন চাষিদের দেওয়া হবে।ঠিক তেমন ভাবেই ধানী জমিতে চাষের অনুখাদ্যও সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চাষিদের দেওয়া হবে।সহ-কৃষি অধিকর্তা গোপাল ঘোষ বলেন কালিয়াগঞ্জ ব্লকের কৃষকদের চাষ আবাদ করতে কোন রকম অসুবিধা যাতে না না হয় তার জন্য আমাদের কালিয়াগঞ্জের কৃষি দপ্তরের সমস্ত কৃষি আধিকারিকরা নিয়মিত ভাবে কৃষকদের সাথে যোগাযোগ রেখে সবসময়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছে ।
কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বোচা ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের দিলালপুরের ক্ষুদ্র কৃষক গণেশ রবিদাস বলেন কৃষি কাজ করেই আমাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে হয়।তাই আমন ধানের চাষের সময় চলে এসেছে।এবার চাষের জন্য আমরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি।এবার জলের কোন অভাব হবেনা
বলেই মনে হচ্ছে।লকডাউন চলায় আমাদের কৃষকদের কোমর ভেঙে গেছে।এবার যদি ভালো করে চাষ আবাদ করতে পারি তাহলে কোন ভাবে বেঁচে যাবো। অপর এক চাষি জবাইদুর রহমান বলেন লকডাউনের জেরে এখনো আমাদের অবস্থ্যা শোচনীয়।আল্লার ভরসায় আছি। এখন দেখা যাক তিনি কি করেন।মারেন না বাঁচান।