বিদেশি মৌমাছি চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে কালিয়াগঞ্জ এর মহিলারা
1 min readবিদেশি মৌমাছি চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে কালিয়াগঞ্জ এর মহিলারা
পিয়া চক্রবর্তী.….করোনা আতঙ্কের মাঝে বিদেশি মৌমাছি চাষ করে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরে স্বয়ম্বর গোষ্ঠীর মহিলারা তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। মহিলাদের চাষ করা মধু এখন যাচ্ছে যাচ্ছে ভিন জেলায়। করণা আতঙ্কের জেরে যখন সমগ্র বিশ্বে ত্রাহি ত্রাহি রব।
অদৃশ্যমান এই শত্রুর হাত থেকে যখন সরকার করেছে লকডাউন। কর্মহীন হয়ে যখন মানুষ বাড়িতেই গৃহবন্দী হয়ে রয়েছেন।তখন কালিয়াগঞ্জ এর ১২ নং ওয়ার্ডের স্বয়ম্বর গোষ্ঠীর মহিলারা নিজেদের বাড়িতে বিদেশি মৌমাছি চাষ করে
স্বনির্ভর হয়ে উঠেছে।সর্বপ্রথম কালিয়াগঞ্জ স্বনির্ভর হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা তথা কুশমন্ডি হাইস্কুলের শিক্ষক দিলীপ দাস তার জীবনে অবসরের পর শুরু করেছিলেন মৌমাছি-চাষ।এখন তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এই হাসপাতাল পাড়ার ১২ জন মহিলারা এই পেশা বেছে নিয়ে সচ্ছলতার মুখ দেখছে। তাদের কে দেখা যায় সংসারের কাজ সামলে নিজেদের আপন মনে কাজ করতে নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে।
জানা যায় কালিয়াগঞ্জ এর হাসপাতাল পাড়ার স্বয়ম্বর গোষ্ঠীর মহিলারা একজন দুইজন নয় এরা একত্রে ১২ জন এক সঙ্গে এই কাজ করে আসছে খুব আনন্দের সাথে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে অর্থনৈতিক ভাবে অনেকটাই পিছিয়ে গ্রাম গঞ্জের নারীরা। পরিবারের পুরুষদের হাতে পয়সা থাকলেও নারীদের হাতে থাকে না অনেক সময়।
সব সময় মেয়েদের হাত পাততে হয় পুরুষদের কাছে।আবার কখনো সংসারের হাল ধরতে নারীর উপার্জন ও অনেক সময় নৌকার হাল এর মত কাজ করে।সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে মৌমাছি পালন
কে বেছে নিয়েছেন কালিয়াগঞ্জ এর হাসপাতাল পাড়ার মহিলারা।এমণ কিছু মহিলারা হলেন রেখা দাস চক্রবর্তী গুডলি পাল দেবজানি দেবনাথ ও সোনালী মোদক ।তারা সকলেই বলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে আজ তারা
সবাই মিলে যেভাবে মৌমাছি পালন করে দুটো পয়সা রোজগার করতে পারছে তাতে তারা ভীষণ খুশি।তারা জানান মধু আমাদের নিত্যদিনের একটি সঙ্গী । জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সবটাতেই লাগে ।
এরই মধ্যে আবার কেন্দ্রীয় সরকার মধু চাষীদের উৎসাহ দিতে সম্প্রতি পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করায় তারা ভীষণ উৎসাহিত হয়েছে। তারা আশা প্রকাশ করেন যে
আগামী দিনে তারাও আর্থিকভাবে সাহায্য পাবে। ফলে তারা মধু চাষ কে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।মহিলারা জানান তারা
আজকে যে ভাবে মধু চাষ করছে তার মূল কান্ডারী কুসুমন্ডি হাই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দিলীপ দাস। তার অনুপ্রেরণা ছাড়া আজ তারা এই কাজ করতেই পারতেন না