October 25, 2024

মাছ, মাংস , ডিম এর পাশাপাশি মুড়ি চানাচুর এবং পাউরুটি ও চা পেয়ে ভীষণ খুশি কালিয়াগঞ্জ এর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা।

1 min read

মাছ, মাংস , ডিম এর পাশাপাশি মুড়ি চানাচুর এবং পাউরুটি ও চা পেয়ে ভীষণ খুশি কালিয়াগঞ্জ এর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা।

তনময় চক্রবর্তী কখনো ডিমের ঝোল, কখনো বা আবার মাংস ,কখনো  মাছ বা আবার কখনো সোয়াবিন এর তরকারি। এরপরেও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজির তরকারি।তারপরেও রয়েছে সকালের টিফিন কখনো পাউরুটি চা কখনো বা আবার মুড়ি চানাচুর সঙ্গে একটা পিঁয়াজ লঙ্কা।

 এটাই মেনু কালিয়াগঞ্জ এর শেরগ্রামের একটি  কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। যা পেয়ে  প্রচন্ড খুশি পরিযায়ী শ্রমিকরা।সৌজন্যে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার মানবিক উদ্যোগ। আজ  সেখানে  সরোজমিনে খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যায় শ্রমিকদের উৎসাহের সাথে বলতে। এদের মধ্যে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে  থাকা রাজু রাউৎ, নরনীয়া, লাখপতি মাঝিরা বলেন,  আমরা এখানে ভালো আছি।

খুব সুন্দর খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে  এখানে একদম বাড়ির মত। আমাদের কোন অভিযোগ নেই। আমরা  প্রচন্ড খুশি।করোনাভাইরাস এর দাপটে দিশেহারা সমগ্র বিশ্ব। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে সব সময় করোনা যোদ্ধারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দিকে দিকে  প্রতিনিয়ত। নেয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা। ভিন রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকার তৈরি করছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার । যেখানে এই সমস্ত ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের থাকতে হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি নিয়মে  ১৪  দিন।

এমন একটি  কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে কালিয়াগঞ্জ এর শেরগ্রামে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার তত্ত্বাবধানে কালিয়াগঞ্জ কলেজ অফ এডুকেশন বিএড কলেজে। যেখানে এখন প্রায় ৫৪ জন পরিযায়ী শ্রমিকরা রয়েছে।

 এদের মধ্যে কেউ এসেছে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে কেউবা দিল্লি কেউবা মহারাষ্ট্র থেকে। এরা প্রত্যেকেই ভিন রাজ্যে কাজ করতো। করোনাভাইরাস  এর দরুন লকডাউন হয়ে যাওয়ায় তারা সেখানেই ছিলেন  ভিন রাজ্যে ।

এরপর আস্তে আস্তে ফিরে আসে যে যার নিজের রাজ্যে, নিজের বাড়িতে।  কিন্তু বাড়িতে ঢোকার আগে সরকারি নিয়মে তাদের আগে থাকতে হচ্ছে সরকারিভাবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার  এ ।

শের গ্রামে অবস্থিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টার  যেটি  রয়েছে তার সম্পূর্ণভাবে দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার।  যাদের  দায়িত্ব  তাদের খাওয়া দাওয়া থেকে আরম্ভ করে সেই সমস্ত শ্রমিকরা সরকারি বিধি নিষেধ গুলো ঠিকঠাক ভাবে মানছেন কিনা সেটা দেখার।  তাই যেদিন থেকে এখানে এই  কোয়ারেন্টাইন সেন্টার  হয়েছে   সেদিন থেকেই কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার  করোনা যোদ্ধারা বিশেষভাবে নজরদারি করছেন যেন কোন শ্রমিকের দেখভালের দিক থেকে কোনরকম ত্রুটি না হয়।তাই  পৌর সভার উদ্যোগে যেমন এই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের খাওয়া-দাওয়া তে বৈচিত্র আনা হয়েছে তেমনই কোন পরিযায়ী শ্রমিক যাতে এখানে সরকারি বিধি নিষেধ গুলো ভাঙতে না পারেন কিংবা সঠিকভাবে সেগুলো মানেন সেদিকেও কঠোরভাবে নজরদারি রাখা হচ্ছে।এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা  আজ তাই ভীষণ খুশি কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা পরিষেবা নিয়ে। তারা সকলেই বলেন তারা যেভাবে রয়েছেন যেভাবে খাওয়া-দাওয়া করছেন তা বাড়ির মতই। তাদের কোন অভিযোগ নেই। তারা এও বলেন তাদের সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী যে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি গুলো মেনে চলার নির্দেশ তাদের দিয়েছে তারা সকলে তা মেনে চলছেন অক্ষরে অক্ষরে। এদিকে এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার দেখভালের জন্য যিনি রয়েছেন সর্বক্ষণের জন্য সেই কলিন দেব শর্মা জানালেন,এখানে যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা রয়েছে তাদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার দিকে তারা সর্বক্ষণ খেয়াল রাখছেন। শুধু তাই নয় তারা এ কটা দিন যাতে ভালোভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে পারে সেদিকে তিনি নজর রেখে চলছেন প্রতিনিয়ত।কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাষক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, তারা সবসময় এই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য চিন্তা ভাবনা করেন।তাই তাদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থাকাকালীন, তার জন্য তারা সবসময় ভালো পরিষেবা দিয়ে আসছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *