October 25, 2024

উত্তর দিনাজপুর জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজন কৃষিভিত্তিক শিল্প

1 min read

উত্তর দিনাজপুর জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজন কৃষিভিত্তিক শিল্প

তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ-উত্তর দিনাজপুর–সরকারি অনুদান দিয়ে কিছুদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষুধা মেটানো যেতেই পারে।কিন্তূ কতদিন সরকারের কোষাগার থেকে এই সমস্ত শ্রমিকদের জন্য ব্যয় করা সম্ভব?পরিযায়ী শ্রমিকরা অতি সহজেই ভিন রাজ্যে যাবার কোন চিন্তা ভাবনা করবেনা এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

এই মুহূর্তে আমাদের জেলায় যারা শ্রমিকের কাজ করে তারাই ঠিকমত একশো দিনের কাজ পায়না।একশো দিনের কাজের নাম হলেও কোন শ্রমিক বলতে পারবেনা তারা একশো দিনের মধ্যে মাসে কতদিন কাজ পায়।তার মধ্যে কয়েক লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্য থেকে চলে আসার

 

ফলে আমাদের উত্তর দিনাজপুর জেলায় কোন কাজ পেতে পারে?পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্য থেকে চলে আসার ফলে একদিকে যেমন করোনার বিস্তার বাড়ছেবই কমচেনা অপর দিকে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র উঠে যাবার পর এদের আসল চেহারা প্রকাশ পাবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে

করছে।তাই উত্তর দিনাজপুর জেলায় এখন থেকেই সরকারের চিন্তা ভাবনা করা উচিৎ এই সব পরিযায়ী শ্রমিকদের পুনর্বাসনের কথা মাথায় রাখা।উত্তর দিনাজপুর জেলার বিশিষ্ট ছোট বড় শিল্পপতি তথা বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক বৈঠক করা

উচিৎ বলেই বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন।তাদের অনেককেই বলতে শোনা গেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা কৃষি প্রধান এলাকা।জেলার উৎপাদিত কৃষিপণ্যকে সামনে রেখে জেলায় কৃষি ভিত্তিক শিল্প গড়ার সময় এসে গেছে।যা রাজ্য সরকারের অনেক আগে থেকেই চিন্তা ভাবনা করবার প্রয়োজন ছিল।

জেলার কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে উত্তর দিনাজপুর জেলার ধানজাত উৎপাদিত পণ্যকে ভিত্তি করে যেমন শিল্প করবার অনেক সুযোগ ছিল এবং আছে,তেমনি পাটজাত পণ্যকে ভিত্তি করে পাটজাত সামগ্রী কে নিয়েও কৃষি ভিত্তিক শিল্প করবার সুযোগ আগেও ছিল এখনো আছে।কিন্তূ কি

রাজ্য সরকার অথবা কেন্দ্রীয় সরকার জেলায় জেলায় শিল্প গরবার জন্য আগেও তাদের ভাবনা ছিলনা যেমন।এখনো তাদের কোন ভাবনা নেই বলেই সবাই মনে করছেন।শুধু কৃষি ভিত্তিক শিল্পের কথাই বা কেন বলবো?

উত্তর দিনাজপুর জেলার শুধু মাত্র কালিয়াগঞ্জ ব্লকেই তিন ধরনের কুটির শিল্পের বিরাট সম্ভাবনা আগেও ছিল এখনো বিশাল সম্ভাবনা পরে থাকলেও রাজ্য সরকারের কোন উদ্দ্যোগ দেখা যায়নি আগেও,এখনো এই এলাকার কার্পেট শিল্প,টেরাকোটা শিল্প এবং ধকরা শিল্প নিয়ে কোন উদ্যোগ দেখা যায়না।অথচ এই তিনটি শিল্পের পরিকাঠামো তৈরি করে এই শিল্পের বিস্তার ঘটানোর জন্য এই জেলার দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিতে পারলে জেলার প্রচুর বেকার যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটতে পারে।যা জেলা প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ওয়াকিবহাল।

আছে তা সবাই জানে।আসলে ক্ষুদ্র শিল্প বলে সরকার মাঝে মধ্যেই অনেক কিছু ঘোষণা করলেও তা কাগজ পত্রেই সীমাবদ্ধ থাকে বলে নাম প্রকাশে অনিছুক বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য থেকেই জানা যায়।কিন্তু আগে যেমন তেমন করে পাশ কাটিয়ে গেলেও এখন কিন্তু শীরে সংক্রান্তি।তাই উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের উচিৎ এই মুহূর্তে যে ভাবে তীব্র বেকার সমস্যা সৃষ্টি হতে দেখা যাচ্ছে সেই সমস্যার সমাধান একমাত্র হতে পারে উত্তর দিনাজপুর জেলায় কৃষি ভিত্তিক শিল্প ও ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্প গুলিকে অবিলম্বে সরকারি ভাবে এগিয়ে এসে তার খোলনালচের পরিবর্তন ঘটিয়ে প্ৰকৃত বেকার সমস্যা সমাধানের পথ দেখানোই সবচেয়ে বড় কাজ হবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।অভিজ্ঞ মহল মনে করেন আমাদের জেলায় প্রাকৃতিক যে সম্পদ আছে সেগুলোর যদি পরিকল্পনা করে ব্যাপক হারে বেকার যুবক যুবতী দের জন্য প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে পারে সেখান থেকে স্বনির্ভর হবার প্রশিক্ষণ নিয়ে সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সেই সমস্ত বেকার যুবক যুবতীর নিজেরাই এই কুটির শিল্প গুলির বিস্তার ঘটাতে পারে।সরকার এই কয়েক বছরে গ্রাম বাংলার মানুষদের জন্য নানান পরিকলনা নিলেও গ্রাম বাংলার বেকারদের জন্য আবার স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি করে বেকার সমস্যার সমাধানে অবিলম্বে কাজ শুরু করুক।তাহলে আমাদের জেলার শ্রমিকরা জেলায় কর্মসংস্থানের সুযোগ পেলে তারা ভিন রাজ্যে যাওয়া থেকে অনেকেই বিরত থাকবে।উত্তর দিনাজপুর জেলায় অনেকবার স্থানীয়ভাবে শিল্প স্থাপনের জন্য উত্তর দিনাজপুর জেলা শাসকের দপ্তরে এবং জেলা পরিষদের দপ্তরে শিল্প পতিদের নিয়ে বেশ কয়েকবার নানান পরিকল্পনা নেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত বাস্তবে তা কিছুই হয়নি।শুধু কাগজপত্রে অনেক শিল্প উত্তর দিনাজপুর জেলায় স্থান করে নিয়ে আছে এটা ঠিকই।অভিজ্ঞ মহল মনে করে এই মুহূর্তে জেলা প্রশাসনকে জেলায় ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপনের জন্য জেলার সর্বত্র শিল্পের খোঁজে বেরিয়ে পড়তে হবে।জেলার ইসলামপুরের পঞ্জি পাড়ায় দীর্ঘ দিন ধরে শুনে আসছি সেখানে নাকি চামড়া শিল্পের জন্য একটি বিশাল জায়গা সরকার থেকে নিয়ে রেখেছে।কিন্তূ বামফ্রন্ট সরকারের আমল থেকে আজ পর্যন্ত কোন কাজ এগোয় নি।শুধু মাত্র বাউন্ডারি করে রাখলেই শিল্প তৈরি হয়না।দীর্ঘ কুড়ি বছর পেরিয়ে গেলেও কোন কারনে সেখানে আজ পর্যন্ত একটি চামড়া শিল্প স্থাপন করা সম্ভব হলোনা? আসলে কি প্রশাসন কি স্থানীয় ব্যক্তিদের প্রত্যেকেই যেন নিজের নিজের এলাকার উন্নয়নের কোন জোরালো দাবি থেকে সরে এসেছে।এই মুহূর্তে আবার নিজ নিজ এলাকায় কুটির শিল্প স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে চাপ সৃষ্টি করতে হবে।আসলে না কাঁদলে যেমন মা শিশুকে দুধ দিতে চয়না তেমনি জেলা প্রশাসনকে এলাকার উন্নয়নের কথা সেভাবে বলতে শোনা যায়না বা আন্দোলন করতেও দেখা যায়না সেভাবে।জেলায় মন্ত্রী নেতা আমাদের থাকলেও তারা জেলার উন্নয়নে শিল্পের যে বিরাট ভূমিকা আছে সে ব্যাপারে তাদের নজর দেবার সময় নেই।জেলার মন্ত্রীর যদি সেই আগ্রহ থাকতে তাহলে জেলা প্রশাসনকে দিয়ে অনেক কাজ করিয়ে নেবার সুযোগ ছিল।কিন্তূ কে দেয় কার গোয়ালে ধোয়া? আসলে আমরা মন্ত্রী হব, বড় নেতা হব কিন্তু মানুষের জন্য আসল যে কাজ করার দরকার তার ধারে কাছে যাবেনা।যদি জেলার মন্ত্রীর কাজ করার ইচ্ছা থাকতো তাহলে ইসলামপুরের পাঁজিপাড়ার চামড়া শিল্পের কারখানা শুধু বাউন্ডারি পর্যন্ত হয়ে পড়ে থাকতো না।তাই সাধু সাবধান।পাঁচ বছরের কাজের হিসাব দেবার সময় আগতপ্রায়।তাই মন্ত্রী পদে থাকতে থাকতে দেখুন পাঁজিপাড়ার এই চামড়া শিল্পের কোন কিছু করে যেতে পারেন কি না?অন্যথায় ভয়াবহ দুর্যোগপূর্ন সিঁদুরে মেঘের আবহাওয়া ভবিষ্যতে অপেক্ষা করছে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *