October 25, 2024

প্রত্যন্ত গ্রামের খিদিরপুর মহিলা স্পোর্টস একাডেমির পূজা,শর্মিলা ও সুমি মহিলা ভলিবলের মানচিত্রে জায়গা করে নিল

1 min read

প্রত্যন্ত গ্রামের খিদিরপুর মহিলা স্পোর্টস একাডেমির পূজা,শর্মিলা ও সুমি মহিলা ভলিবলের মানচিত্রে জায়গা করে নিল

তপন চক্রবর্তী-কালিয়াগঞ্জ (উত্তর দিনাজপুর)–নামে প্রত্যন্ত গ্রাম হলেও খেলা ধুলার ক্ষেত্রে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর মহকুমার বুনিয়াদপুর শহরের পাশ্ববর্তি খিদিরপুর গ্রামের মেয়েরা আজ শুধু জেলা নয় ,জেলার গন্ডি পেরিয়ে রাজ্যে ভলিবলের মানচিত্রে ইতিমধ্যেই একটি স্থান করে নিতে পেরেছে।পূজা, শর্মিলা এবং সুমির বলে তাদেরকে যে ভাবে তাদের কোচ স্যার সুজিৎ সরকার আন্তরিক ও ভালোবাসার মাধ্যমে প্রতিদিন অনুশীলন করিয়ে থাকে তার ফলে তারা প্রতিনিয়ত উৎসাহিত হয়। যদিও খিদিরপুর গ্রামের একশো শতাংশ মানুষ চাষ বাস নিয়েই সব সময় ব্যস্ত থাকে।

তারা খেলাধুলার অতশত কিছু বোঝেনা। কিছু উৎসাহী যুবক সবসময় বিভিন্ন গ্রামে আগেও ছিল এখনও আছে। কৃষিপ্রধান গ্রামের মেয়েদের খেলাধুলার উন্নয়নে গ্রাম বাসীদের মধ্যে থাকা উৎসাহী যুবকরা প্রতিষ্ঠিত করেছিল

একটি ক্রীড়া সংস্থা।যার নাম খিদিরপুর মহিলা স্পোর্টস একাডেমী। ক্রীড়া সংস্থাটি গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালের ৩০শে অক্টোবর।খিদিরপুর মহিলা স্পোর্টস একাডেমির তৈরীর পেছনে এলাকার টিঙ্কু নাগের ভূমিকা ছিল এবং বর্তমানেও প্রশংসনীয়। মাত্র চার বছর আগে যে ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানটি একটি উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হয়ে ছিল সেই উদ্দেশ্য যে সফল হয়েছে তার প্রমান পূজা কর্মকার,শর্মিলা সরকার,এবং সুমি মাহাতো।

খিদিরপুর মহিলা স্পোর্টস একাডেমী এদের জন্য গর্ব অনুভব করে।গত সোমবার কথা হচ্ছিল খিদিরপুর মহিলা স্পোর্টস একাডেমীর ভলিবল কোচ সুজিৎ সরকারের সাথে।সুজিৎ বাবু জানান আমরা বিগত তিন বছরের মধ্যেই ২০১৯ সালে অনুর্ধ ১৪মেয়েদের ভলিবলে আমাদের পূজা কর্মকার,শর্মিলা সরকার এবং সুমি মাহাতো দক্ষিণ দিনাজপুর দলের হয়ে খেলে চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা পায়।যা আমাদের খিদিরপুর মহিলা স্পোর্টস একাডেমীর অন্যান্য মেয়েদের উৎসাহ উদ্দীপনা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছে।

তিনি বলেন আমরা গ্রামের মেয়েদের কাবাডি প্রশিক্ষণও শুরু করে দিয়েছি।ভলি কোচ সুজিত সরকার বলেন আমাদের এই খিদিরপুর মহিলা স্পোর্টস একাডেমীকে পর্দার আড়ালে থেকে যিনি সংস্থাটিকে পুত্রের মত সবসময় স্নেহ মমতা দিয়ে লালন পালন করে আসছেন তিনি হলেন গঙ্গারামপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক বিভূতি চক্রবর্তী।গ্রামের ছেলে মেয়েরা খেলা ধুলায় এগিয়ে গিয়ে রাজ্য বা জাতীয় স্তরে কিছু একটা করে দেখাক এটাই তার স্বপ্ন।সেই কারনে সবসময় বিভূতি চক্রবর্তী আমাদের বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ ও আর্থিক সাহায্য করে থাকেন। ভলি কোচ সুজিৎ সরকার বলেন তাদের খিদিরপুর মহিলা স্পোর্টস একাডেমিতে বর্তমানে খিদিরপুর সহ আশেপাশের গ্রামের মোট ৫০ জন মেয়েরা এই একাডেমীর মাধ্যমে ভলিবল ছাড়াও এথেলেটিক্স ও ফুটবল অনুশীলন করে থাকে।খিদিরপুর মহিলা স্পোর্টস একাডেমীর প্রাণ পুরুষ বুনিয়াদপুরের বিভূতি চক্রবর্তীকে খিদিরপুর মহিলা স্পোর্টস একাডেমী সম্পর্কে কিছু জানতে চাইলে তিনি বলেন শহরের মতই গ্রামের ছেলে মেয়েরাও এখন খেলাধুলার ব্যাপারে অনেকটাই আগ্রহী।এই সমস্ত ছেলে মেয়েরা যদি একটু অনুশীলনের সুযোগ পায় তাহলে ওরাও কিছু করে দেখাতে পারে।কিন্তু সেই সুযোগ গ্রামে খুব কম আছে।অজ গ্রামের মেয়েরা ইস্টবেঙ্গলের মত একটি ফুটবল দলের সিনিয়ার মহিলা গ্রূপের ক্যাপ্টেন এবং গোল কিপার হতে পারে তা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছে কুশ মন্ডির সরলার মত অজ গ্রামের সুনীতা এবং বুলি।তাই গ্রাম ও শহর বলে কোন ব্যাপার নয়।মূল কথা ভালো অনুশীলন ও আন্তরিকতা।আমরা চাই প্রতিভার বিকাশ ঘটে এই সমস্ত ছেলে মেয়েরা দেশের মুখ উজ্জ্বল করে জীবনটাকে উপভোগ করুক আর আমাদের স্বপ্নকে স্বার্থক করে তুলুক।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *