October 25, 2024

এই চরম দুর্যোগের দিনে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি কেড়ে নিয়েছে গরীব অসহায়দের মুখের হাসি।

1 min read

এই চরম দুর্যোগের দিনে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি কেড়ে নিয়েছে গরীব অসহায়দের মুখের হাসি।

কৃতিমান বিশ্বাস ,রায়গঞ্জ মহামারী করোনার ফলে সাধারণ মানুষের মনে নেমে এসেছে এক চরম অন্ধকার। মানুষের জীবনযাত্রা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। এই মরণ ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে মানুষের মুখের হাসি।মানুষ তার নিত্য দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছে এই মরণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে।

নিজেকে চার দেওয়ালের মধ্যে আবদ্ধ রেখে দিনরাত এক করে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে ভাইরাসের বিরুদ্ধে। বহু গরিব দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা আজ চলার পথে দিশাহীন। তাদের মাথায় আজ আকাশ ভেঙে পড়েছে। বহু গরীব অসহায় মানুষ আগামীদিনের অর্থ উপার্জনের কথা ভেবে চিন্তিত হয়ে পড়েছে। এই মহামারী কে ঘিরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছোট থেকে বড় সমগ্র ব্যবসায়ীরা। মানুষের মুখের অন্নে থাবা বসিয়েছে মরন ভাইরাস-হরণ করেছে বহু মানুষের মুখের অন্ন। মানুষের রঙিন জীবনকে করে তুলেছে রংহীন। সমগ্র বিশ্ব তথা দেশের মানুষ আজ নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে এই নিষ্ঠুর ভাইরাসের জন্য।


করোনার বিষধর ছোবল থেকে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে আজ দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা গৃহবন্দী।নানা প্রকার চিন্তা তাদেরকে গ্রাস করে চলেছে প্রতিনিয়ত। অন্যদিকে আগামী দিনে কিভাবে অর্থ উপার্জন করবে ও পরিবারের মানুষগুলির মুখে অন্নের গ্রাস তুলে দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটাবে একথা ভেবে ও তারা চিন্তিত। এই চরম দুর্যোগের দিনে যেখানে মানুষ প্রতিনিয়ত নিজের পেট চালানোর জন্য লড়াই করে চলেছে -ঠিক সেখানে এমন কিছু মানুষ আছে যারা নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থকে চরিতার্থ করতে আজ সেই গরীব অসহায় মানুষগুলোর কথা না ভেবে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে চলেছে। যেখানে সমগ্র বিশ্ব তথা দেশের মানুষ আজি নিষ্ঠুর মহামারীর কবলে পড়ে রয়েছে,যেখানে খেটে খাওয়া মানুষ আগামীদিনের অর্থ উপার্জনের উপায় ভেবে চিন্তিত, যেখানে হাজার হাজার মানুষ আজ খাদ্যাভাবে রয়েছে-সেখানে আজ এই চরম দুর্যোগের দিনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হরণ করেছে বহু মানুষের রাতের ঘুম। মানুষ হলো মানুষের চরম বন্ধু আজ এই চরম দুর্যোগের দিনে মানুষই পারে মানুষের পাশে এসে দাড়াতে। মানুষই পারে অসহায় দীন দরিদ্র মানুষগুলোর জন্য তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে। তারাই পারে অসহায় মানুষগুলির চিন্তাহরণ করতে। তাই মানবিকতার খাতিরে মানুষের প্রধান কর্তব্য হলো এই চরমতম বিপর্যয়ের দিনে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানো-এবং দরিদ্র মানুষদের মুখে অন্নের গ্রাস তুলে দেওয়া। আজ এই চরম দুর্যোগের দিনে সমগ্র মানব সভ্যতা যদি নিজের স্বার্থের কথা না ভেবে সকলের সকলের পাশে এসে দাঁড়ায়, সকলের অন্ধকারাচ্ছন্ন মনে আলোর সঞ্চালন করে- তাহলে নিশ্চয়ই একদিন এই ঝড়ের অবসান ঘটবে। বিপ্লবী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা সমগ্র মানব সভ্যতাকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। তিনি বলেছিলেন:-“ব্যথিত জনের লাগি
গানের আঘাতে হানিয়া দুয়ারে বল
ওঠো সবে জাগি”।

 

6 thoughts on “এই চরম দুর্যোগের দিনে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি কেড়ে নিয়েছে গরীব অসহায়দের মুখের হাসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *