অবশেষে মানুষের সাহায্যদানে সি আই টি ইউ অসংগঠিত শ্রমিকদের উদ্দ্যোগে শুরু হল জেলায়এই প্রথম হত দরিদ্রদের জন্য কমিউনিটি কিচেন-
1 min readঅবশেষে মানুষের সাহায্যদানে সি আই টি ইউ অসংগঠিত শ্রমিকদের উদ্দ্যোগে শুরু হল জেলায়এই প্রথম হত দরিদ্রদের জন্য কমিউনিটি কিচেন-
তপন চক্রবর্তী– কালিয়াগঞ্জ(উত্তর দিনাজপুর)- করোনা ভাইরাসের মারন রোগের কারণে লকডাউন ঘরবন্দি সাধারণ বিভিন্ন স্তরের কর্মঠ মানুষরা কাজ হারিয়ে ঘরবন্দি।তখন তাদের সাহায্যে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের শান্তিনগর শাখার সি আই টি ইউ শাখার অসংগঠিত শ্রমিকদের উদ্দ্যোগে জেলায় সম্ভবত এই প্রথম “কমিউনিটি কিচেন “চালুর মাধ্যমে অভিনব উদ্যোগ নিল জেলার সিপিআইএম প্রভাবিত সিটুর কর্মীরা। হতদরিদ্র মানুষের দুবেলা দুটো পেট পুরে যাতে খাবার পায় সেই উদ্দেশ্য নিয়ে।
এর আগে বেশ কয়েকবার খাদ্য বন্টন হয়েছে কিন্তু সমস্যার খুব একটা সমাধান করা যায় নি।ইসলামপুরশহরের প্রান্তিক অঞ্চল ১৩নং ওয়ার্ড একরকম প্রান্তিক মানুষদের বাসভূমি।এই সমস্ত অসংগঠিত মানুষেরা ইসলামপুর শহরকে সব সমযের জন্য সচল রাখতে কাজ করে যায় প্রতিদিন। এই অঞ্চলের মানুষগুলোর ভূমিকা অপরিসীম। এই অঞ্চলে বাস করে রিশকাওয়ালা,টোটোচালক,বাড়ির কাজের মাসী,দিদিরা, রংমিস্ত্রি, ঠেলাওয়ালা, ফুচকা বিক্রেতা,রাজমিস্ত্রী, নানা রকম কাজের সাথে যুক্ত শ্রমিক।
ফুটপাতে নানা সামগ্রী বিক্রির মানুষগুলোকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল শহরের প্রচুর শুভবুদ্ধির সম্পন্ন মানুষ তবুও সংকুলান হচ্ছিল না প্ৰকৃত সমস্যার সমাধান।ঠিক সেই সময় হতদরিদ্র মানুষের সাহারা হয়ে এগিয়ে এলো ইসলামপুরের অসংগঠিত শ্রমিকদের বেশ কয়েকজন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে।
তারা বিশাল গুরু দায়িত্ব নিয়ে কমিউনিটি কিচেন শুরু করার মত সিধান্ত নিল।এই কমিউনিটি কিচেনে রাঁধুনি থেকে শুরু করে আরো মানুষ শ্রেণি চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কমরেডরা এগিয়ে এসে হাত বাড়িয়ে দিলো সাহায্যের।নেমে পড়লো ক্ষুন্নিবৃত্তিতে মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল। দুহাত উজাড় করে দিলো। এগিয়ে আসলো পাশের বাড়ির কাকীমা দিদিরা। এগিয়ে আসলো সব্জি কাটতে। হাতে হাতে হাত বাড়িয়ে কাজ করে দিল। হৈ হৈ ব্যাপার। তবে শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ শুরু হটাৎ ডাক পরলো বিজ্ঞান মঞ্চের মাস্কের জন্য।
যারা তখনো মাস্ক ব্যবহার করে নি তাদের মুখে মাস্ক যথেষ্ট সাবানের যোগান দিয়ে আনুমানিক ৫০০ মানুষের রান্না শুরু হয়ে গেল।চলবে কয়েকদিন ধরেই।এই ঘটনায় হতদরিদ্র, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষরা বেজাই খুশি।তারা বলেন আমাদের মনের জ্বালা,মনের দুঃখ গরীব দরদী কমিউনিস্ট দলের মানুষ ছাড়া কে বুঝবে?রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার সিপিআইএম দলের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল সেখানে গিয়ে দেখতে পান তাদের দলের শাখা সহঠন সিটুর কর্মীরা যে ভাবে হতদরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে কমিউনিটি কিচেনে মানুষদের খাবার ব্যবস্থা করেছেন তা এক কথায় তিনি অভিভূত। তিনি বলেন মানুষের সাহায্য নিয়েই এই কাজ চালানো হবে গরিব মানুষদের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে।লকডাউন যতদিন চলবে কমিউনিটি কিচেন ততদিন চালানোর চেষ্টা উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রবীণ সিটু নেতা স্বপন গুহ নিয়োগী বলেন মানুষের এই দুঃসময়ে রেশনের চাল নিয়ে দুর্নীতি করে আমরা এর তীব্র ধীক্কার জানাই।মানুশকে সরকার কাজ দিতে পারেনা অথচ সরকার তাদের ঘরে গৃহবন্দি করে রেখেছে।অসংগঠিত প্রতিটি শ্রমিকদের একাউন্টে সরকার দশাজার করে টাকা ঢুকিয়ে দিক।কমিউনিটি কিচেনে উঅস্থিত হন সিপিআইএম আমাদের রাজ্যে টাকারতো কোন অভাব দেখছিনা?তবে কেন এই দুঃসময়ে তাদের হাতে নগদ টাকা দেওয়া হবেনা।রেশনের সাথে সংসার চালাতে টাকার প্রয়োজন হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরতো জানা দরকার। স্বপন বাবু বলেন এই রাজ্যে এই কদিন আগেও যদি ক্লাবগুলোকে একলক্ষ করে টাকা দিতে পারেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তাহলে দশ হাজার করে টাকা দেওয়া ওনার কাছে কোন ব্যাপারই নয়।কমিউনিটি কিচেনে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম এর মহিলা নেত্রী সুপ্রীতি ঘোষ।
I am much impressed knowing about the cmmunity kitchen at Islampur..Wish its smooth running till it is necessary.
Congratulations to people who came forward to its start as wellas all who are at the steering.
Duniyar Mojdur Ak Hao