সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে মালদার রেড জোন থেকে অসুস্থ শ্বাশুড়ি ও স্ত্রীকে সোজা কালিয়াগঞ্জের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িতে ঢুকিয়ে দিল পাড়ার মানুষদের প্রতিবাদ স্বত্বেও-
1 min readসরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে মালদার রেড জোন থেকে অসুস্থ শ্বাশুড়ি ও স্ত্রীকে সোজা কালিয়াগঞ্জের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িতে ঢুকিয়ে দিল পাড়ার মানুষদের প্রতিবাদ স্বত্বেও–
তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ–উত্তর দিনাজপুর–বজ্র আটুনি ফস্কা গেরোর মত ঘটনা ঘটলো কালিয়াগঞ্জে গত বৃহস্পতিবার।করোনাকে নিয়ে কত আইন কত কিছু।বাস্তবে তার কোন প্রয়োগ যে হয়না তার প্রমান কালিয়াগঞ্জ শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আতঙ্কিত বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কাজের কাজ লবঘন্টা।ঘটনায় জানা যায় কালিয়াগঞ্জ শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের জনৈক নিতাই মোহন্ত (বিজেপি)সমর্থক কয়েকদিন ধরেই চেষ্টা করছিল তার শ্বাশুড়ি যিনি বাংলাদেশ থেকে লকডাউন শুরুর কয়েকদিন আগে অসুস্থ অবস্থায় জামাইবাবা নিতাই মহান্তের বাড়িতে আসেন।
এর পর শ্বাশুড়ীকে নিয়ে তিনি মালদার এক নার্সিং হোমে রেখে তার চিকিৎসা শুরু করে।নিতাই মোহন্তের স্ত্রীকেও মালাদায় তার শ্বশুর বাড়িতে রেখে আসে।গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি এম্বুলেন্স করে নিতাই মোহন্ত তার শ্বাশুড়ি ও তার স্ত্রীকে মালদা রেড জোন থেকে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অত্যন্ত সন্তর্পনে সোজা তার বাড়িতে ঢুকিয়ে দেন।নিতাই মোহন্ত তার পরিবারের সতর্কতা হিসাবে তার ভাইদের তার নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে নিশ্চিত হন।এদিকে করোনার আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়েকালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌরপিতা, কালিয়াগঞ্জের বিডিও এবং কালিয়াগঞ্জ থানার আই সি কে এই খবরটি জানানো হয়।এলাকার মানুষদের বক্তব্য প্রথমত মালদার রেড জোন থেকে এই আতঙ্কের মধ্যে কি ভাবে মানুষ আসার পারমিশন পায়? নিতাই মোহন্ত তার আত্মীয়কে কোন রকম বাধা প্রাপ্ত না হয়ে কি ভাবে নিয়ে আসতে পারে?তাহলে কি বিজেপি হবার সুযোগে তার জন্য ছাড়? বাইরে থেকে কোন ব্যক্তি এলে তাদের কেন কোন টেস্ট করা হলোনা? কোয়ারেন্টমে তাদের পাঠানো হলোনা কেন?কেন তারা সোজা বাড়িতে ঢুকলেও তাদের স্থানীয় প্রশাসন থেকে কোন রকম খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি?কালিয়াগঞ্জ শহরে কোয়ান্টারিম ঘটা করে সরকারি অর্থ ব্যয় করে করা হয়েছে তবে কি শুধুই সরকারের অর্থ ঠিকাদারদের পাইয়ে দেবার কারণেই? এই প্রশ্ন এলাকার মানুষদের সবার। কালিয়াগঞ্জ শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের প্রশ্ন এতবড় একটি ঘটনায় সাধারণ মানুষ যখন চরম আতঙ্কের মধ্যে সেই সময় এলাকার কমিশনার মঞ্জুরী দত্ত দামকে দেখা গেলনা?এই প্রতিবেদক কমিশনার মঞ্জুরী দত্ত দামকে ফোন করে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমার সাথে এই ব্যাপারে কেও একবারের জন্যও যোগাযোগ করেনি।তিনি বলেন তিনি অনেক রাত্রে এই খবরটি জানতে পেরেছেন যখন সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।আমাকে পাড়ার লোকেরা একবারের জন্য ফোন করে জানাতে পারতো।যদিও এলাকার মানুষজন জানায় কমিশনার নিজে একবার আসতেই পারতেন এই বিপদের সময় পাড়ার মানুষদের সাহস যোগাতে।এদিকে কালিয়াগঞ্জ থানায় খবর গেলে থানা থেকে পুলিশের টাউন বাবু সুশান্ত বৈষ্ণবের নেতৃত্বে একটি পুলিশ বাহিনী নিতাই মোহন্তের বাড়ির সামনে গিয়ে নিতাই মোহন্তের সাথে কথা বলে তাকে জানিয়ে দেন২৮ দিন তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।ব্যাস এইটুকু বলেই করোনার টেস্ট এখানেই শেষ হয়ে যায়।কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পক্ষ থেকে সুপারভাইজার এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা এসে বাড়ির সামনে একটি পোস্টার লাগিয়ে দিয়েই তাদের দায়িত্ব পালন জরে চলে যায়।কালিয়াগঞ্জ বিডিওকে জানালেও তার দপ্তর থেকে কেউ আসেনি বলে জানা যায়।জানা যায় কালিয়াগঞ্জ শহরের মানুষ লগডাউনকে যেমন কোন ভাবেই মানছে না ঠিক তেমনি করেই বাইরে যেখানে যার আত্মীয় স্বজন রয়েছে তারা নানা উপায়ে সরকারি নিয়ম কানুনের কোন রকম তোয়াক্কা না করেই আইন নিজের হাতে নিয়ে যে যেমন পারছে তাদের আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে আসছে।।অথচ করোনা আইন নাকি ভীষন করা।প্রশাসন নাকি এ ব্যাপারে ভীষন তৎপর।এই কি প্রশাসনিক তৎপরতার চেহারা?আসলে বজ্র আটুনি ফস্কা গেরোর মত কঠিন আইনের মধ্যে আমরা লকডাউনে নাম কে ওয়াস্তে দিন যাপন করে চলেছি ভগবানের ভরসায়।