December 27, 2024

কালিয়াগঞ্জ এর পৌর নাগরিকদের রিয়েল হিরো পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল

1 min read

কালিয়াগঞ্জ এর পৌর নাগরিকদের রিয়েল হিরো পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল

তন্ময় চক্রবর্তী বিশ্ব যখন ভয়াবহ মহামারী করোনাভাইরাস এর সংকটের কবলে। এর থেকে মুক্ত হতে যখন বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ নানান ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছে। পিছিয়ে নেই তখন ভারত বর্ষ। সারা ভারতে তাই বর্তমানে এখন চলছে লক ডাউন। এই লকডাউন এর কবলে পড়ে সবচেয়ে যাদের দুরবস্থা সেইসব গরিব মানুষদের।

যারা দিন আনে দিন খায়।তাই সর্বত্র এই সমস্ত মানুষদের পাশে এগিয়ে আসছে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও।

তেমনি উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর পৌর নাগরিকদের কাছে যেভাবে এগিয়ে আসছে এই মহা বিপদের দিনে স্বয়ং কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কালিয়াগঞ্জ এর প্রতিটি নাগরিকরা।

তাই আজকের দিনে কালিয়াগঞ্জ এর রিয়েল হিরো হয়ে গিয়েছেন স্বয়ং পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল। লকডাউন চলাকালীন শহরের অলিগলি থেকে আরম্ভ করে শহরের বিভিন্ন জায়গার মানুষরা কেমন আছে তা যেমন

তিনি প্রতিনিয়ত খোঁজখবররাখছেন তেমনি কোন মানুষ কোন সমস্যায় পড়লে তৎক্ষণাৎ তিনি সমাধান ও  করে দিচ্ছেন।

ইতিমধ্যে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে শহরের আট হাজার দরিদ্র মানুষদের মধ্যে  প্রথম দফায় ত্রাণ দেওয়া হয়েছিল।  ওয়ার্ড এর সুপারভাইজার দের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।  রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে প্রকৃত দরিদ্র মানুষ যাতে

এই ত্রাণ পায় তার জন্য পৌরসভার থেকে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।দ্বিতীয় দফায় লকডাউন হওয়ার পর পৌরসভার তরফ থেকে সেই ত্রাণের পরিমাণ আরো বাড়ানো হয়েছে বলে জানালেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল।তিনি বলেন  এবার ১২  হাজার মানুষকে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু ওয়ার্ড এ ইতিমধ্যে ত্রাণ দেওয়া হয়ে গেছে।

প্রতিটি ওয়ার্ডে সুপারভাইজারদের সার্ভে রিপোর্টের ভিত্তিতে এই ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে পৌরসভার কর্মীদের দিয়ে।এখানে কোন কাউন্সিলর কে স্লিপ ইস্যু করা হচ্ছে না কাউকে ত্রাণ দেওয়ার জন্য।পৌরপতি বলেন তিনি তার নিজের ওয়ার্ডেও নিজে কোন ত্রাণ দেননি।

ওয়ার্ডের মানুষরা যে ত্রাণ পেয়েছে বা পাচ্ছে তা পৌরসভার কর্মীদের থেকেই পাচ্ছে।এক্ষেত্রে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ড এই একই নিয়ম মানা হচ্ছে।তিনি বলেন কাউন্সিলরদের মাধ্যমে যদি ত্রান দেওয়া  হয় সে ক্ষেত্রে অনিয়মের একটা অভিযোগ আসতেই পারে, তাই নিরপেক্ষভাবে সঠিক তদন্ত করে  রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে এই ত্রান দেওয়া হচ্ছে শহরের সর্বত্র।

তিনি আরো বলেন এরপরেও যদি  কেউ  ত্রাণ না  পেয়ে থাকে তারা যদি পৌরসভার অফিসে এসে যোগাযোগ করে বা পৌর কর্তৃপক্ষ যদি জানতে পারে তাহলে সেই বাড়িতেও পৌরসভার থেকে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।এখানে স্লিপ দেওয়াটা বড় কথা নয় মানুষ যাতে ত্রাণ টা পায়  বিপদের সময় সেটাই পৌরসভা নজর রাখছে।

পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, শহরের বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই বহু মানুষ  ইতিমধ্যে পৌরসভার ত্রাণ পেয়ে গেছে।অনেক মানুষ রয়েছে নিম্নমধ্যবিত্ত তার আসলে মুখে কিছু  বলতে পারছেন না লজ্জার জন্য। কিন্তু তাদের পাশে ও দাঁড়িয়েছে পৌরসভা।  এমন ও অনেক মানুষের বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছে গিয়েছে পৌরসভার কর্মীদের দ্বারা।

তিনি বলেন এই লকডাউন এর সময় কোন মানুষ যাতে না খেয়ে থাকে  তার জন্যই পৌরসভার তরফ থেকে দল-মত নির্বিশেষে এই ত্রাণ বিলি করা হচ্ছে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। তিনি বলেন এর সাথে সাথে কেউ যাতে রাজনীতি করার চেষ্টা না করেন। বিশেষ করে এই সময়।

 

রাজনীতি করার অনেক সময় আছে। আর স্লিপ দেওয়াটা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়, মুখ্য উদ্দেশ্য হলো সবার কাছে ত্রাণ পৌঁছে যাওয়াটা। আর যেটা করে দেখাচ্ছে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা। পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল এদিন যে সমস্ত মানুষরা পৌরসভার এই ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি করছেন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা এই সমস্ত বিভ্রান্ত মুলক কথা ত্রাণ নিয়ে অভিযোগ করছে তারা পুরোপুরি রাজনীতির উদ্দেশ্যেই করছে তারা একটা সময় নিজেদের ভুল বুঝবে। তিনি বলেন যে যেটা ইচ্ছা করুক তাতে তাদের কোনো যায় আসে না।

এখানে একটাই লক্ষ্য মানবিকতায় আমাদের ধর্ম। সময় আসলেই যারা বিভিন্ন রকম অপপ্রচার করছে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে আর তখন তারা ভাববে আসলে কে ঠিক কি ভুল।এদিকে এই ত্রাণ  নিয়ে শহরের বিভিন্ন নাগরিকদের সাথে আমরা কথা বলেছিলাম তাদের মধ্যে অন্যতম বিনয় চক্রবর্তী জানালেন, আমাদের ত্রাণ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমরা ঠিকমতো ত্রাণ পেয়ে গেছি। কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা করোনা মোকাবেলায় যে উদ্যোগ নিয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করলেন তিনি। অপরদিকে শহরের অপর এক নাগরিক কান্তি চক্রবর্তী জানান, করনা মোকাবেলায় কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা যে ভূমিকা নিয়েছে তাতে তারা ভীষণ সন্তুষ্ট। এরকমভাবে বিপদের সময় আগের কোন পৌরপতি কে তারা পাশে পাননি। তাই আগামী দিনে তারা চান কার্তিক বাবু যাতে আবারো থাকেন এই পৌরসভার দায়িত্বে।তিনি বলেন অনেকে নাকি মন্তব্য করছেন ত্রাণ পাচ্ছেন না এটা ভুল কথা সকলেই ত্রাণ পেয়েছে । যারা এই ধরনের মন্তব্য করছে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করছে ঈর্ষান্বিত হয়ে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *