October 24, 2024

আসামে লকডাউনে আটকে পরা রায়গঞ্জের এক পরিবারের ফিরে আসতে চেয়ে করুন আবেদন বর্তমানের কথা নিউজ মিডিয়ায়।

1 min read

আসামে লকডাউনে আটকে পরা রায়গঞ্জের এক পরিবারের ফিরে আসতে চেয়ে করুন আবেদন বর্তমানের কথা নিউজ মিডিয়ায়।

জয়ন্ত বোস এবং তন্ময় চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ।বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ আতঙ্কের সাথে এক দূর্বিসহ জীবন পারিবারিক জীবনে মানুষ যে কঠিন পরিস্থিতির স্বীকার হচ্ছে তার এক করুন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজকের এই প্রতিবেদন। করোনার দৌলতে লকডাউন পাওনা আর এই পাওয়ার মাঝেই মানুষের হৃদয়ে করুন ব্যাথা যার বাহ্যিক প্রকাশ চোখে পরে না কিন্তু হৃদয়ের অনুভূতি, মানবিকতার চোখে ধরা পরে।

এমন পরিস্থিতিতে সকলেই সপরিবারে বাড়িতেই আছেন কিন্তু যে পরিবারের এক দুই জন সদস্য বাড়িতে এবং অর্ধেকের বেশি সদস্য অন্য কোথাও একমাসের বেশি পরস্পরের থেকে অনেক দূরে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছেন সেই পরিবারগুলোর মানুষের চোখে ঘুম নেই চরম হতাশা, দুশ্চিন্তায়। এমনই এক পরিবার উঃ দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের বীরনগর লাইন বাজারের নিকটে বাসুদেব সাহার পরিবার। পেশায় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বাসুদেব সাহার শ্বশুরবাড়ি আসাম রাজ্যে নঁওগা জেলার পানিগাও কাচালি তে, বড়বাজারের নিকটে এবং এই এলাকাটি নঁওগা সদর থানার অন্তর্গত।

বাসুদেব সাহার আসামে শ্বশুরবাড়ি তে মার্চ মাসে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাড়ির সদস্যরা আসামের নঁওগাতে উপস্থিত হয়। ২৫ মার্চ তাদের ফিরে আসার জন্য ট্রেনের টিকিট বুকিং করা ছিল। কে জানে এক অমোঘ কালো মেঘের আস্তরণে দুনিয়া ঢেকে যাবে। ২৩ মার্চ ঐ বিশ্ব জুড়ে হাড় কাঁপানো আতঙ্কের ছোবলে লকডাউন শুরু হতেই সব বন্ধ , চারিদিক স্তব্ধ, সকলের সাথে সকলের , পরিবারের বিচ্ছিন্ন সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগের যাতায়াত ব্যবস্থা লকডাউন। একদিন দুইদিন নয়, হয়ে গেল ৩৮ দিন। এমতাবস্থায় বাসুদেব সাহার স্ত্রী, ভাতৃবধূ, ভাইজি সহ ৬ জন সদস্য আর ফিরে আসতে পারলেন না, পারছেন না তাদের রায়গঞ্জের বাড়িতে, বাসুদেব সাহার কাছে‌।

৯০০ কিলোমিটারের একপ্রান্তে বাসুদেব সাহার অপর প্রান্তে তার পরিবারের সদস্যরা। উভয়ে দিকের সদস্যরা এক গভীর বেদনাদায়ক পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বর্তমানে। বাসুদেব সাহা বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেছেন পরিবারের সদস্যদের ফিরিয়ে আনার জন্যে কিন্তু শেষ পর্যন্ত দিনের শেষে মানসিক যন্ত্রনার বুকে ব্যাথা নিয়ে এক গভীর চিন্তায় শেষ রাত্রে বিছানায় কখন ঘুমিয়ে পরেছেন জানেন না। আর এইভাবেই প্রতিদিন বাসুদেব সাহার যেমন সকাল হচ্ছে রাত নামছে তেমনি আসামে তার পরিবারের সদস্যদের। এমনি পরিস্থিতিতে সংবাদ মাধ্যমের উপর এক আস্থা, বিশ্বাসে তিনি কালিয়াগঞ্জের বর্তমানের কথা নিউজ মিডিয়া হাউসের সহ সম্পাদক তন্ময় চক্রবর্তী এবং সাংবাদিক জয়ন্ত বোস কে একটি আবেদন পত্র দেন যেন তার পরিবারের সদস্যদের এই লকডাউন পরিস্থিতিতে আসাম থেকে রায়গঞ্জে ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করেন। এই বিনীত অনুরোধের পত্রটি পেয়ে নির্মলা মিশ্রের একটি বিখ্যাত গানের কলি মনে পরলো ” এমন একটি ঝিনুক খুঁজে পেলাম না, যাতে মুক্ত আছে,,,,,এমন কোনো মানুষ খুঁজে পেলাম না, যার মন আছে “।

ঠিক তাই, ঝিনুকের মধ্যেই তো মুক্তো পাওয়া যায় তবে সব ঝিনুকের মধ্যেই নয় তেমনি মন, মানসিকতা , মানবিকতা নিয়েই মানুষ কিন্তু সব মানুষেরা নয়। বর্তমানের কথা নিউজ মিডিয়া হাউজের মন, মানসিকতা, মানবিকতা আছে বলেই হাত বাড়িয়ে দেওয়া হলো আজকের প্রতিবেদনের দুই প্রতিবেদকের তরফ থেকে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে সোর্স মাধ্যমে ফোন করে করে পাওয়া গেল আসামের নঁওগা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ অশোক দত্ত কে এবং পাওয়া গেল পুলিশ প্রশাসনের ডিসি যাদব সৈকিয়া কে। সকলে জানে আসাম রাজ্যের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ভূপেন হাজারিকার বিখ্যাত সেই গান ” মানুষ মানুষের জন্যে জীবন জীবনের জন্যে, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না “। সত্যি বলতে কি পুলিশ যে এই গানের কলিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে সহানুভূতিশীল, মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারে একটি ভিন রাজ্যের পরিবারের জন্য, ভিন রাজ্যের সংবাদ মিডিয়ায় সাংবাদিক দের কথায় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ আসামের নঁওগা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ অশোক দত্তর সাথে টেলিফোনে কথা বলে। উনার কঠিন ব্যাস্ততার কাজের ফাঁকে বর্তমানের কথা নিউজ মিডিয়ার আজকের প্রতিবেদনের সাংবাদিক জয়ন্ত বোসের করা মোবাইল টেলিফোনের কল কে গুরুত্ব সহকারে সম্মান দিতে। এখন এই প্রতিবেদন লিখতে গিয়ে ঘড়ির কাঁটা রাত্রি ১১টা ১৬ মিঃ, এই সময়েও আসামের উক্ত থানার অফিসার ইনচার্জ তার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে সমস্ত রকম কথাবার্তা বলে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বাসুদেব সাহার পরিবারের আসামে পরে থাকা সদস্যদের রায়গঞ্জে ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনিক আপ্রান চেষ্টা করবেন বলে জানালেন। আমাদের বর্তমানের কথা নিউজ মিডিয়া থেকে আকুল আন্তরিক অনুরোধ রেখেছি অফিসার ইনচার্জের কাছে। তারপরেও বর্তমানের কথা নিউজ মিডিয়া থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলা শাসক এবং রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে নিউজের মাধ্যমে এই মানবিক বিষয়টি তুলে ধরা হলো। অতি গোপনীয়তার কারনে সকল মোবাইল নং গুলি গোপন রাখা হলো তবে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা দের প্রয়োজনে বাসুদেব সাহার পরিবারের স্বার্থে বর্তমানের কথা নিউজ মিডিয়া সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত। এই প্রতিবেদনে লকডাউন পরিস্থিতিতে রায়গঞ্জ শহরের বাসুদেব সাহার পরিবারের বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা সদস্যরা রায়গঞ্জের মাটিতে, বাসুদেব সাহার কাছে ফিরে আসতে পারে এই কামনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *