October 24, 2024

হিলি যাবার পথে পুলিশ প্রশাসন বালুরঘাটের সাংসদকে পথে আটকিয়ে দিলেন

1 min read

হিলি যাবার পথে পুলিশ প্রশাসন বালুরঘাটের সাংসদকে পথে আটকিয়ে দিলেন

তপন চক্রবর্তী-বালুরঘাট–দক্ষিণ দিনাজপুর–বৃহস্পতিবার সকালে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে হিলি যাবার পথে বালুরঘাটের মঙ্গলপুরে জেলার পুলিশ প্রশাসন আটকিয়ে দিলেন।সাংসদ সুকান্ত মজুমদার পুলিশ প্রশাসনকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে এবং এর কোন নির্দেশের অর্ডার অভ্যে কিনা তা জানতে চাইলে যদিও কোন লিখিত নির্দেশ দেখাতে পারেন নি।সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সেই মুহূর্তে রাজ্যপালকে এই ঘটনা

জানালে তিনি বলেন আমি পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলবো।তিনি কথা বলে সাংসদকে যাবার ব্যবস্থা করে দেবার কথা বললেও পুলিশ প্রশাসন রাজ্যপালের ফোনকে কোন গুরুত্ব দেননি বলে সাংসদ সুকান্ত বাবু জানান।সুকান্ত বাবু বলেন একজন সাংসদের গতিবিধি আটকিয়ে দিলেও তৃনমূলের ছোট,সেজ ও বড় নেতারা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সর্বত্র ইচ্ছামত ঘুরে বেরিয়ে ত্রাণ দেবার নাম করে যা খুশি তা করলেও সেসব করবার ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশ দিতে কোন বাধা নেই।তিনি বলেন তিনি হিলির ভারত-বাংলাদেশের তারকাটার ওপারে জনগন নানান অসুবিধার মধ্যে আছেন খবর পেয়ে সেখানেই যাচ্ছিলেন।

কিন্তু আমাকে যেতে দেওয়া হলনা।এর কারণ হিসেবে বলেন এই জেলার তৃণমূলের নেতারা গরিবের রেশন  নিয়ে যা করছে এসব যাতে সাংসদ দেখতে না পায় তার জন্যই পুলিশের উপর নির্দেশ আছে।এই রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা যে তলানিতে ঠেকে গেছে আজকের ঘটনা তার জলন্ত প্রমান।সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন তিনি তার সাংসদ এলাকা হিলিতে যাচ্ছিলেন

সেখানকার মানুষজন লকডাউন কতটা মানছে তা দেখতে।এখানে বাধা দেবার কোন কারন থাকতে পারে তা বুঝতে পারছেন না।তিনি বলেন রাজ্যের চিফ সেক্রেটারির অর্ডার পর্যন্ত এই রাজ্যের পুলিশ মানচেনা।আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি?তিনি বলেন নির্বাচনের সময় পুলুষ শাসক দলের হয়ে দালালি করে দেখেছি।কিন্তূ মানুষ খেতে পারছেনা এই সময়েও দেখুন পুলিশ দালালি করছে? তিনি বলেন আমাকে আটকানোর জন্য এত পুলিশ না দিয়ে যেখানে দুস্থরা ত্রাণ পাচ্ছে না সেখানে পুলিশ গেলে বরঞ্চ দুস্থ্য মানুষদের উপকার হত।

এব্যাপারে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল সভানেত্রী তথা রাজ্য সভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অর্পিতাদেবী বলেন আমি রাজ্য সভার সাংসদ হয়ে যদি সীমান্ত এলাকায় যাবার আমার কোন প্রয়োজন থাকে তাহলে আমি একসপ্তাহ আগেই পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে থাকি।হয়তো পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে আগাম কোন অনুমতি এ ক্ষেত্রে তিনি নেননি তাই হয়তোবা তিনাকে আটকিয়েছেন।আইন সবার জন্যই এক।আমরা সাংসদ হয়েছি বলে আমাদের ক9ন অনুমতি নিতে হবেনা এটা কোন ভাবেই ঠিক নয় বলে অর্পিতা ঘোষ জানান।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *