করোনার করুণায় ত্রাতার ভূমিকায় খুশি নাগরিকরা পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পালের উপর তেমনই বেজায় ক্ষুব্ধ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এর প্রতি
1 min readকরোনার করুণায় ত্রাতার ভূমিকায় খুশি নাগরিকরা পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পালের উপর, আবার তেমনই বেজায় ক্ষুব্ধ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এর প্রতি
তনময় চক্রবর্তী করোনার করুণায় লকডাউন সারাদেশ। প্রথমে জনতা কার্ফু তারপরে শুরু ২১ দিনের লকডাউন । এরপর শুরু তৃতীয় দফায় আবারো লকডাউন।এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সারা ভারত বর্ষ এখন থেকে দাঁড়িয়েছে চার দেওয়ালের মধ্যে। গৃহবন্দী সাধারণ মানুষ। কল কারখানা থেকে সাধারণ মানুষ দের রুটি-রুজির পথ সবকিছুই এখন বন্ধ।এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে খেটে খাওয়া দিনমজুর থেকে সাধারণ গরিব শ্রেণীর মানুষরা বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে। রোজগারের পথ বন্ধ সাধারণ মানুষদের। প্রশাসনের নির্দেশ মারন ভাইরাস থেকে একমাত্র বাঁচতে গেলে থাকতে হবে চার দেওয়ালের মধ্যে। অর্থাৎ বাড়ির ভিতরে। নিয়মিত সরকারি সমস্ত বিধি-নিষেধ ফলো করে সাধারন মানুষদের মানতে হবে প্রতিনিয়ত।
এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে বিভিন্ন জায়গায় খাদ্যের জন্য যখন হাহাকার নেমে পড়ে গিয়েছে।ঠিক সেই সময় পরিত্রাতার ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনকে এগিয়ে আসতে।অনেককে দেখা যাচ্ছে সেই সময় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে এগিয়ে আসতে। এমন সময় দেখা গেল কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পালকে গরিব মানুষদের পাশে খাদ্যের যোগান দিয়ে ত্রাতার ভূমিকায়। শহরের প্রতিটি গরিব মানুষ যাতে ঠিকঠাকভাবে পৌরসভার খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছেন কিনা তা যেমন পৌরসভার পৌরপতি দেখভাল করছেন । এর পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ডের মানুষ কেমন রয়েছেন তার খোঁজ-খবর রাখছেন প্রতিনিয়ত। এক্ষেত্রে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে পৌরপতি কে দেখা গেল একটা যোগ্য অভিভাবকের ভূমিকা পালন করতে । এছাড়াও ঠিকঠাকভাবে লকডাউন চলছে কিনা শহরে সেটারও তিনি তদবির তদারকি করছেন প্রতিনিয়ত। সাধারণ গরিব মানুষদের মধ্যে খাদ্যের যোগান থেকে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সবকিছুতেই কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল এর জুরি মেলা এখন ভার । যার ফলে খুশি শহরের নাগরিকরা। সকলেই একবাক্যে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পালের ভূয়শী প্রশংসা করে বলেন, বিপদের দিনে যে মানুষ পাশে থাকবে সেই মানুষই আসল বন্ধু। যা করে দেখালো বর্তমান পৌরপতি। যা কখনো আগের বোর্ডের পৌরপতি কে দেখা যায়নি করতে। পাশাপাশি ভিন্ন চিত্র ধরা পড়ল এই কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। যেখানে শহরের ব্যবসায়ীদের প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত মহেন্দ্রগঞ্জ রয়েছে। যেখানে সকালে বাজার বসে। অথচ স্থানীয় কাউন্সিলর মঞ্জুরি দত্ত দাম কে সাধারণ মানুষরা একদিনও দেখতে পেল না এই লক ডাউন এর মধ্যে বাজারের মধ্যে এসে সাধারণ মানুষদের সচেতন করতে বা ঠিকঠাক সাধারণ মানুষরা সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স বজায় রাখছে কিনা কিংবা মাক্স পড়ছে কিনা তার খেয়াল রাখতে । শুধু তাই নয় কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার এই ১৩ নম্বর ওয়ার্ড এ বহু গরিব মানুষের বসবাস। অথচ স্থানীয় কাউন্সিলর কে একদিন ও দেখা যায় নি সেই সমস্ত গরীব মানুষদের পাশে গিয়ে তাদের এই বিপদের দিনে পাশে দাড়িয়ে খোঁজ খবর নিতে। এখানেই প্রশ্ন সেই সমস্ত মানুষদের । তাহলে কমিশনার থেকে কি লাভ। যতটুকু সাহায্য পেয়েছে তারা সবটাই কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা র পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পালের উদ্যোগেই পেয়েছেন। অথচ কমিশনার কে একদিনও দেখা যায়নি তাদের পাশে এসে তাদের খোজখবর নিতে। অনেককে বলতে দেখা গেল আবার এখন লকডাউন চলছে । তাই হয়তো বের হচ্ছেন না বাড়ি থেকে। তবে মাঝে মাঝে ফেসবুকে দেখা যায় কমিশনার কে । সেখান থেকে ই মাঝে মাঝে উপদেশ দিচ্ছেন তিনি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের।করনা ভাইরাসের জেরে যখন সব জায়গায় রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে সকলে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন মানুষের জন্য ঠিক তখন এই ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনারকে দেখা যাচ্ছে এই সময় ও রাজনীতি করতে এমনটাই অভিযোগ করেছেন ওয়ার্ডের বহু বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কাউন্সিলারের হাত দিয়ে কোন সাহায্যই তারা পাননি এখনো। যা পেয়েছেন পৌরপতি মাধ্যমেই । সাধারণ ওয়ার্ড বাসীদের দাবি এখন যদি বিপদের দিনে কাউন্সিলার পাশে না থাকে তাহলে আর কবে থাকবে। শুধু কি ভোটের জন্যই রাজনীতি করেন তিনি । না হলে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের গরীব মানুষরা এতদিন তার মাধ্যম দিয়ে কোন সাহায্য পেলো না কেন । অনেক বাসিন্দাদের অভিযোগ এই সময় কাউন্সিলরকে দেখাই যায়না ওয়ার্ডে। আর কবে দেখা যাবে? তবে এই ১৩ নম্বর ওয়ার্ড এর বাসিন্দারা অবশ্য বলেন তারা খুশি যেমন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল এর উপর তেমন ই বেজায় খুদ্ধ এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের ওপর। এখন দেখার বিষয় আগামী দিনে কি হয়। সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাউন্সিলার কতটা মানুষের মন জয় করতে পারেন।তবে শুধু ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে র কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ নয় এমন কালিয়াগঞ্জ এর বহু ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তারা এই সময় অসহায় মানুষদের পাশে থাকছেন না। শুধু তাই নয় সিপিএম এর কাউন্সিলর কেউ দেখা যাচ্ছে না অসহায় মানুষদের পাশে গিয়ে নিজেদের উদ্যোগে ত্রাণ দিতে ও।