বর্তমান সমাজের বুক থেকে হারিয়ে যাওয়া যাত্রাপালাকে আজও মানুষ ভালোবাসে তার প্রমান মিললো চান্দলের যাত্রাপালায় হাজার হাজার মানুষের ঢল
1 min readবর্তমান সমাজের বুক থেকে হারিয়ে যাওয়া যাত্রাপালাকে আজও মানুষ ভালোবাসে তার প্রমান মিললো চান্দলের যাত্রাপালায় হাজার হাজার মানুষের ঢল
তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ-(উত্তর দিনাজপুর)–শহরের মানুষেরা লোকশিক্ষার গণমাধ্যম একসময়কার যাত্রাকে ভুলে যেতে বসলেও গ্রামে গঞ্জের শিক্ষিত,অর্ধশিক্ষিত ও দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের কাছে যাত্রা আজও কতটা জনপ্রিয় তা উত্তর দিনাজপুর জেলার চান্দলে
সম্প্রতি রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগিতায় এবং পশ্চিম বঙ্গ যাত্রা আকাদেমি ও উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের ব্যাবস্থাপনায়(জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর) তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রতিদিন যাত্রায় মানুষের যে ঢল নেমেছিল তা দেখলেই অনুমানকরা যায়।যাত্রা যে আজও কিছু মানুষকে বাদ দিয়ে অপরিহার্য তা পরিষ্কার।যাত্রা লোকশিক্ষার আজও যে অঙ্গ একথা বলা নিষ্প্রয়োজন।
শহরের কিছু অল্পশিক্ষিত মানুষের কাছে যাত্রা পালার কোন গুরুত্ব না থাকলেও গ্রামে গঞ্জে যাত্রার যথেষ্টই কদর আছে।রাজ্য সরকার তাই যাত্রাকে আবার আগের মতই ফিরিয়ে আনার যে চেষ্টা করে যাচ্ছে তা নিঃসন্দেহে অভিনন্দন যোগ্য উদ্দ্যোগ এ কথা বলা যেতেই পারে।আর সেই কারণেই সুস্থ সংষ্কৃতির বড় হাতিয়ার যাত্রাকে রাজ্য সরকার অনেকটাই গুরুত্ব দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে বলেই দৃঢ় বিশ্বাস।চান্দলের জেলা লোকসংস্কৃতি ও যাত্রা উৎসবে গত ৫ই জানুয়ারী কলকাতার জনপ্রিয় যাত্রা দল মুক্ত মঞ্জুরী অপেরার লবকুশীরা লোকসংস্কৃতির মঞ্চে যে পালাটি উপস্থাপনা করে সেই পালাটির নাম”রূপের রানী বাহামনি”।রূপের রানী বাহামনী যাত্রা পালাটি যে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে তা চান্দলের
হাজার হাজার দর্শকদের মনের কথা।সাধারণ মানুশের বক্তব্য জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্দ্যোগে এই ধরণের যাত্রা পালা মাঝে মধ্যে গ্রামে গঞ্জে নিয়ে এসে দেখানোর ব্যবস্থা করলে গ্রামের মানুষদের মনের খোরাক যেমন মিটবে তেমনি হারিয়ে যাওয়া সেই ঐতিহ্যবাহী যাত্রা আবার অক্সিজেন পেতে পারে নিসন্দেহে বলা যায়।[ তাই লোকশিক্ষার বাহন যাত্রাকে আবার আমাদের সবার সহযোগিতায় ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত সময়োপযোগী হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।উত্তর দিনাজপুর জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক রানা দেবদাস এক সাক্ষাৎকারে বলেন যাত্রাকে আমরাই ফিরিয়ে আনতে পারি আমাদের সুস্থ সংস্কৃতির প্রসার ও লোকশিক্ষার বাহন হিসাবে।আমরাই যাত্রাকে দূরে সরিয়ে রেখেছি আবার আমরাই পারি তাকে ভালোবেসে কাছে টেনে নিতে।শুধু প্রয়োজন আন্তরিকতার।