October 21, 2024

কালিয়াগঞ্জ শহরে ধর্ষণ কান্ডের নেপথ্যে আঁতুড়ঘর

1 min read

কালিয়াগঞ্জ শহরে ধর্ষণ কান্ডের নেপথ্যে আঁতুড়ঘর

তন্ময় চক্রবর্তী।অপরাধ জগতসহ অসামাজিক কার্যকলাপে গন ধর্ষণ নামক শব্দটি বর্ষবরণের রাতে এক কলঙ্কময় অধ্যায়ে কালিয়াগঞ্জ শহর জড়িয়ে গেল। কেন জড়ালো সেই আঁতুড়ঘরের সুলুক সন্ধানে এই প্রতিবেদন।

ঘটনাটি কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে হরিহরপুরে। তথ্য সন্ধানে খবরের অন্তর্নিহিত আলোচনার গভীর খাদ থেকে উঠে এসেছে একাধিক প্রশ্ন। তবে এই গন ধর্ষণ কান্ডের অভিযুক্ত দের বিরুদ্ধে কঠিনতম সাজার যেমন দাবী উঠেছে কিন্তু স্লোগানের ঝড় তেমনভাবে কালিয়াগঞ্জের বুকে আছড়ে পরতে দেখা যায় নি।

এই নিন্দনীয় জঘন্যতম অপরাধের আঁতুড়ঘর কোথায় তা নিয়ে শুরু হয়েছে এলাকায় গুঞ্জন। যে কোন মুহুর্তে এই গুঞ্জন সশব্দে আছড়ে পরতে পারে কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডে। গন ধর্ষণে নির্যাতিতা মহিলা জনৈক বছর ২৭ এর এক বিবাহিতা মহিলা যাকে এলাকার সকলেই অস্বাভাবিক আচরণগত মহিলা হিসাবেই চেনে। পিতৃহীন এই মহিলা তার মায়ের কাছেই থাকে। বর্তমানে নির্যাতিতা মহিলা মা,বোন,ভাই সহ ৫ নং ওয়ার্ডের ধনকোল পৌর অঞ্চলে বাস করে।হত দরিদ্র মহিলার মা লটারির টিকিট বিক্রি এবং কয়েকটি দোকানে কাজ করে যৎ সামান্য আয়ে কোন রকমে দিন কাটায় তাদের ভাঙ্গাচোরা ঘড়ে।

নির্যাতিতা মহিলা তিন ভাইবোন সকলেই সুস্থ স্বাভাবিক স্বভাবের না হওয়া সত্ত্বেও তাদের কে নিয়ে নির্যাতিতা মহিলার মা কষ্ট করেই জীবনযাপন করছেন। এই নিন্দনীয় জঘন্যতম অপরাধের নেপথ্যে প্রথম আলোচিত বিষয় নিয়ে যে গুঞ্জন তা হলো উক্ত অঞ্চলে পঞ্চানন মোড়ে একটি হোটেল যে হোটেলের মালিক লক্ষণ পাল। এই হোটেলে প্রতিদিন রমরমিয়ে চলে দেশী ও বিদেশী মদ বিক্রি এবং ঐ হোটেলেই মদের আসর। উক্ত অঞ্চলে কতিপয় পানের দোকানেও চলছে দীর্ঘদিন ধরে মদ বিক্রি ও মদের আসর সাথে অনলাইন মোবাইলে লাখ লাখ টাকার জুয়ার আসর। যে কোনো ক্রাইমের প্রাথমিক পিঠ স্থানের গুরুত্বপূর্ণ আতুড় ঘড়। নির্যাতিতা মহিলা প্রথম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েও স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে কিছুদিন আগে পুনরায় উক্ত এলাকার স্বপন নামে এক যুবকের সাথে রাতের অন্ধকারে কালীবাড়ি তে সিন্দুর পরে তার মায়ের কাছেই থাকে। একজন মা হয়ে কিভাবে তার অস্বাভাবিক আচরণের যুবতী মেয়েকে মদ বিক্রি করা হোটেলে রাত অবধি কাজের জন্য নিয়োগ করে এবং দীর্ঘদিন ধরে ঐ লক্ষণ পাল নামক ব্যাক্তির মদ বিক্রি সহ হোটেলে কাজ করতে পাঠান। তথ্য সংগ্রহে ঘটনার দিন নাকি প্রতিদিনের মতো রাত ১০ টা অবধি নির্যাতিতা মহিলা ঐ মদ বিক্রি সহ হোটেলে কাজ করেছে বিশেষ করে এই শীতের রাতে। মেয়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করে একজন মা কিভাবে মেয়েকে ছেড়ে বাড়িতে গিয়ে ওত রাতে ঘুমিয়ে পরলেন। তথ্য সংগ্রহে ঘটনার প্রকাশ ঐ নির্যাতিতা জনৈক মহিলা উপর গন ধর্ষনের পূর্বে নাকি এই ঘটনায় জড়িত আসামীরা লক্ষণ পালের মদ বিক্রি করা হোটেলে বসেই মদের আসর তৈরী করে মদ খেয়েছিল এবং ঐ সময়ে নির্যাতিতা মহিলা ঐ দোকানেও নাকি উপস্থিত ছিলেন এমনকি অপরাধিদের সাথেও নাকি মদ পান করেছিলেন। এই ঘটনায় উক্ত হোটেলের মালিক লক্ষণ পাল কেন সেই সময় এই নির্যাতিতা মহিলার আগাম নিরাপত্তা দিতে পারলেন না সেই বিষয়েও জনগনের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। ঐ সময়ে ওত রাতে নির্যাতিতা মহিলা কে কেন একা একা হোটেল থেকে হোটেল মালিক লক্ষণ পাল ছেড়ে দিলেন সেই বিষয়েও হাজারো প্রশ্ন এলাকার সচেতন মানুষের। সুত্রের প্রকাশ নাকি নির্যাতিতা মহিলার উপর গন ধর্ষনের পরেও তিনজনের মধ্যে দুইজন অপরাধি উক্ত হোটেলে এসে পুনরায় মদ পান করে এমনকি ঐ রাতে ধর্ষন কান্ডের সময় অপরাধিদের মধ্যে একজন নাকি ওত রাতে পুনরায় ঐ লক্ষণ পালের হোটেলে এসে মদ কিনে নিয়ে গিয়ে নির্যাতিতা মহিলাকে মদ পান করায়। হত দরিদ্র পরিবারের এই নির্যাতিতা মহিলা দীর্ঘদিন ধরে উক্ত লক্ষণ পালের অবৈধভাবে মদ বিক্রি সহ হোটেলে কাজ করতে করতে কি তার মদ পান করার প্রতি আসক্তি ছিল কিনা এই নিয়েও গুঞ্জন। তবে এই গন ধর্ষণ কান্ডে যেমন উক্ত অঞ্চলে অসামাজিক কার্যকলাপের রমরমা বৃদ্ধি তেমনি কি অর্থের লালসায় কাম উত্তেজনায় এই ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের সাথে জড়িয়ে পরা তা নিয়েও বিভিন্ন গুঞ্জন এলাকায়। তবে একজন মা যখন নিজের অস্বাভাবিক আচরণ চরিত্রের যুবতী মেয়ের ওত রাতে নিরাপত্তা দিতে পারেন না সেখানে এই অপরাধী হায়নারা সুযোগের সদ্ব্যবহার করে সমাজকে কলুষিত করে মহিলাদের উপর নির্মম অত্যাচার করতে দ্বিধা করছে না। প্রশাসনের সহযোগিতায় অপরাধীদের বিচার শুরু হোক, সাজা হোক তেমনি আঁতুড়ঘর গুলো সনাক্তকরণে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক সেই বিষয়ে সমাজের তথা উক্ত অঞ্চলের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন জনগন চাইছে। কালিয়াগঞ্জ পুলিশ প্রশাসন এবং পৌর প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে উক্ত অঞ্চলে বিভিন্ন দোকানে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ইতিমধ্যে এলাকার জনগণ খুবই প্রশংসা করেছেন কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশের কার্যকলাপ কে। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই গন ধর্ষনে জড়িত প্রাথমিক স্তরে ৩ জন অপরাধীদের মধ্যে ২ জন অপরাধীদের এরেস্ট করেছেন এবং অপরজন অপরাধীর সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। পলাতক অপরাধীর ধরা পরার অপেক্ষায় সকলে চেয়ে আছেন। তবে সকলের বিশ্বাস কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ প্রশাসনের উপর পলাতক অপরাধী ধরা পরবেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *