জাঁকিয়ে শীত পড়েছে কালিয়াগঞ্জ এ।শহরে রুম হিটার ও গিজারের বিক্রি ব্যাপক বেড়ে গিয়েছে
1 min readজাঁকিয়ে শীত পড়েছে কালিয়াগঞ্জ এ।শহরে রুম হিটার ও গিজারের বিক্রি ব্যাপক বেড়ে গিয়েছে
তনময় চক্রবর্তী।শীত জাঁকিয়ে পড়তে না পড়তেই উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরে রুম হিটার ও গিজারের বিক্রি ব্যাপক বেড়ে গিয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন শহরের ব্যবসায়ীরা।
গ্রামাঞ্চলে বাসিন্দারা শীত থেকে রক্ষা পেতে খড়, কাঠকুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে কোনওমতে শীত নিবারণ করলেও শহরের বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে রুম হিটার। এছাড়াও তৈরি খাবার গরম রাখতে হটপটের বিক্রিও বেশ ভালোই হচ্ছে।
শহরের সুকান্ত মোর, মহেন্দ্রগঞ্জ এ থাকা ইলেকট্রিক সামগ্রীর দোকানগুলিতে তাই সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত উপচে পড়া ভিড় নজরে আসছে। ব্যবসায়ীদের মুখে স্বভাবতই চওড়া হাসি।কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের এক আবহাওয়াবিদ বলেন, এবছর এখনও অবধি তাপমাত্রা নেমেছিল আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে। জেলার আজ তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি। তবে উত্তরের হাওয়ার কারণে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে ঠান্ডা আরও বাড়বে।
এই ঠান্ডার কামড়ের মোকাবিলা করতেই তাই শহরের বাসিন্দাদের ভরসা রুম হিটার। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ৭০০ থেকে শুরু ২০০০ টাকা দামের রুম হিটার বিক্রি হচ্ছে। ১০০০ টাকা দামের রুম হিটারগুলিই বেশি কিনছেন ক্রেতারা। এদিকে তার পাশাপাশি ৫০০০ থেকে ১০০০০ টাকা দামের গিজারও ব্যাপক পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে।কালিয়াগঞ্জ শহরের ইলেকট্রিক সামগ্রীর ব্যবসায়ী বলেন, রুম হিটারের বিক্রি বেড়ে গিয়েছে। দিনে ১০টির বেশি হিটারও বিক্রি হচ্ছে। গিজারের বিক্রিও বেশ বেড়েছে।রুম হিটার কিনতে আসা ক্রেতা দীপেশ দাশ বলেন, যা শীত পড়েছে তাতে লেপ, কম্বল মুড়ি দিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। কোনওভাবেই ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে রুম হিটার কিনতে এলাম। ১০০০ টাকার মধ্যে ভালো রুম হিটার পেয়েছি।আজ উত্তর দিনাজপুর জেলাজুড়ে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। উত্তরের হাওয়ার কারণে শীতের অনুভূতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কাপড়ের দোকানগুলিতে কম্বল ও লেপের বিক্রি যেমন বেড়েছে, তেমনি শীতের পোশাকও ব্যাপক পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দারা আগুন ধরিয়ে শীতের আমেজে আগুন পোহানোর আনন্দ উপভোগ করছেন। তবে শহরের বাসিন্দাদের সেই উপায় নেই। বাধ্য হয়ে মধ্যবিত্ত থেকে ধনী পরিবার সকলেই আরাম পাওয়ার উপায় হিসেবে রুম হিটারকে বেছে নিয়েছে।শুক্রবার ও শনিবার শহরের ইলেকট্রিক সামগ্রীর দোকানগুলিতে পা ফেলার জায়গা ছিল না। রুম হিটার, গিজার, হটপট সহ একাধিক সামগ্রীর বিক্রি ব্যাপক বেড়েছে। অনেকে দরদাম করে চলে যাচ্ছেন। তবে অনেকেই আবার সঙ্গে সঙ্গে কিনে বাড়িতেও নিয়ে যাচ্ছেন। আবার যাঁদের সেইরকম আর্থিক সামর্থ্য ও প্রয়োজন রয়েছে, তাঁরা একসঙ্গে একাধিক রুম হিটারও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। শহরের বেশ কিছু দোকান আবার মওকা বুঝে ক্রেতাদের আকর্ষণ করার জন্য নানারকম অফার দেওয়া শুরু করেছে। বেশি দামের রুম হিটার ও গিজারের ক্ষেত্রে ইএমআই-তে কেনার ব্যবস্থাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রুম হিটারগুলির দাম কম থাকায় ক্রেতাদের কাছে তার চাহিদা আরও বাড়ছে। আর সেই চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন কালিয়াগঞ্জ শহরের ব্যবসায়ীরা।