সুজিত রায়(বর্তমানের কথা) : নতুন আশায় বুক বেঁধে নব উদ্যমে আবারও শুরু ফসল রোপণের কাজ। মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘী ব্লকের আনাচে-কানাচে কৃষকদের মুখে এখন একটাই নাম ‘পেঁয়াজ’। এদিন সাগরদিঘীর ব্লকের বালিয়া গ্রামে পৌঁছে পাওয়া গেল তারই উত্তর। গ্রামের নবীন প্রজন্মের কৃষক সুরজিত দাস জানালেন, এবছর আমার প্রায় এক বিঘা জমিতে বেগুনের চাষ আছে, কিন্তু আশানুরূপ উৎপাদন পাচ্ছি না। বাধাকপি, ফুলকপিরও অবস্থা তথৈবচ। তাই আমরা প্রবল ঠাণ্ডার মধ্যেও পেঁয়াজ গাছের পরিচর্যা করছি। আশা করি এখান থেকে সামান্য হলেও অর্থ আসবে। সুরজিতের পাশাপাশি গ্রামের আরেক কৃষক স্বপন দাস বললেন, আমি এই শীতের কথা মাথায় রেখে প্রায় দুই বিঘা জমিতে নানান সবজির চাষ করেছি। যার মধ্যে বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে ছিল মূলোর চাষ। 

কিন্তু সেই মূলো এখন ফেলে দেওয়ার জোগাড়। কারণ বাজারে মূলোর দাম কেজি প্রতি পাঁচ টাকারও কম। অন্যদিকে আমার এবার ফুলকপিরও উৎপাদন হয় নি। ফলে চারিদিক থেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। এখন দেখি পেঁয়াজ চাষ করে যদি কিছুতা পুষিয়ে নিতে পারি। পেঁয়াজ চাষ প্রসঙ্গে স্বপন বাবু আরও জানালেন, রোগের উপদ্রব রুখতে সরকার থেকে এবার গম চাষ করতে বারণ করা হয়েছে।ফলে অনেক মানুষ বিকল্প চাষ হিসাবে পেঁয়াজকে বেছে নিয়েছে।তবে যাই হোক চাষিদের মনে কিন্তু  এখনও একটা প্রশ্ন উকি দিচ্ছে, পেঁয়াজের দাম ঠিক-ঠাক থাকবে তো?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *