October 4, 2024

বীরভূমে তৃণমূল-বিজেপি সঙ্ঘর্ষ, আহত ১২

1 min read
প্রীতম সাঁতরা : বীরভূমের লাভপুরে মুকুল রায়ের সভায় যোগ দিতে আসা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর আক্রমণ চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ১২ জন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এলাকা ছাড়েন মুকুল রায়। ঘটনাস্থানে পৌঁছেছে পুলিশ। হামলার প্রতিবাদে লাভপুরের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ শুরু করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। মল্লারপুরে অবরোধ করা হয়েছিল ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। মঙ্গলবার লাভপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিজেপি-র সভা করার কথা ছিল। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মুকুল রায়। সভায় যোগ দিতে এলাকার বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা সভা স্থলে যেতে শুরু করেন। কিন্তু তার আগেই লাভপুরের বিভিন্ন মোড়ে তৃণমূল তাদের আটকে বলে অভিযোগ। লাভপুরের বিপ্রটিকুরি গ্রামে বিজেপি-র মিছিলে আক্রমণ চালানোরও অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় ১২ জন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তাঁদের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।বিজেপি কর্মীদের আরও অভিযোগ, সরকারি জায়গা না পাওয়ায় ফুল্লরা মন্দির সংলগ্ন এক নেতার জমিতে সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুকুল রায় সভা করবেন জানতে পেরে একসপ্তাহ আগে সেই জমি ট্রাক্টর দিয়ে চাষ দিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, জল ঢুকিয়ে ধানের বীজ রোপণ করে দেওয়া হয়।বিজেপি-র বীরভূম জেলা পর্যবেক্ষক সমীরণ সাহা বলেন, “আমরা লাভপুর স্টেশনের কাছে মঞ্চ তৈরি করছিলাম। সেই সময় জনা পঞ্চাশেক তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বোমা, ধারাল অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমরা কোনওক্রমে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আসি। আমাদের ১২ জন কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।”সমীরণবাবু আরও বলেন, “যদি এতই উন্নয়ন তাহলে বিরোধীদের আটকাতে হচ্ছে কেন? এইরকম করতে করতে একিদন এমন দিন আসবে যেদিন রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। সেদিন আমরা সুদে আসলে সব আদায় করে নেব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *