দিনাজপুরের রাজবাড়ির ঐতিহাসিক কাহিনী।
1 min readদিনাজপুরের রাজবাড়ির ঐতিহাসিক কাহিনী।
নিউজ ডেক্স,বর্তমান কথাঃ দিনাজপুর মূল শহর হতে মাত্র ৪ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এই রাজবাড়ী… দিনাজপুর রাজ ভারতের মালদাহ, প্রতিরাম, কুষমন্দি, কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ, নওগাঁ ও ঠাকুরগাঁও পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। মূলত দিনাজপুর রাজ বংশের গোড়াপতন হয়েছিল সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকে। ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট আকবর সমগ্র সাম্রাজ্যকে ১৫টি শোবায় বিভক্ত করেন এবং বঙ্গদেশের সুবেদার নিয়োগ দেন শেলিকে। পরে আবার শোবা বাংলাকে ২৪টি সরকারে বিভক্ত করে। এর মধ্যে ৬টি সরকারের কিছু অংশ দিনাজপুর জেলা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
দিনাজপুর মালদহ জনৈক জমিদারের অংশে ছিল। এই জমিদার রাজা গণেশের বংশধর ছিলেন। ঐতিহাসিক বুকানন তাকে কাশি নামে অবহিত করেন। দিনাজপুরে ১২টি রাজা ৪০০ বছরে ধরে অধিস্থিত ছিলেন। রাজা গনেশের বংশই মহারাজার উত্তরসুরীরা ছিলেন। এরা হলেন রাজা শুভদেব রায়, রাম দেব রায়, রাজা জয়দেব রায়, প্রাণ নাথ রায়, রামনাথ রায় (মহারাজ), কৃষ্ণ নাথ রায়, বৈধ্য নাথ রায়, মহারাজা রাধানাথ রায়, মহারাজা গোবিন্দ নাথ রায়, তারক নাথ রায়, মহারাজা গিরিজানাথ রায় ও সর্বশেষ মহারাজা জগদীশ নাথ রায়। দীর্ঘ ৪শ বছর থেকে গড়ে ওঠা এবং ১১ নৃপতির পর্যাক্রমিক শাসনের দিনাজপুর রাজ এর অবসান ঘটে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তিতে। প্রথম রাজা শুকদেব, সময় কাল ১৬৪০-১৬৭৭ সাল। রাজ পরিবারের শেষ নৃপতি মহারাজা গিরিজা নাথ। সর্বশেষ জমিদার বিলুপ্তি আইন জারীর পর রাজ সম্পত্তি সরকারী নিয়ন্ত্রনে আসে। জানা যায়, ১৯৫৮ সালে স্বৈরাচারী জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক শাসনামলে রাজবাড়ীর যাবতীয় মূল্যবান অস্থাবর সম্পত্তি যেমন রাজ পরিবারের ব্যবহৃত গহনা, মন্দির বিগ্রহের অলংকার, রূপা, তামা ও ভরনের তৈজসপত্র, আসবারপত্র, মোটরযান এবং রূপার তৈরী অস্ত্র শস্ত্র সৌখিন সামগ্রী প্রকাশ্যে নিলাম ডাকে বিক্রির পরেই অরক্ষিত হয়ে পড়ে রাজবাড়ী।