October 26, 2024

নাট মন্দিরের জমিতে স্টল বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়াই এলাকার মানুষ ক্ষুব্দ

1 min read
তপন চক্রবর্তী–-উত্তরদিনাজপুর–কালিয়াগঞ্জের মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির কমিটি মন্দিরের পরে থাকা জমিতে সংস্থার স্থায়ী আয়ের জন্য বেশ কিছু স্টল বানানোর সিদ্ধান্ত নিল।এই ঘটনায় এলাকার মানুষদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ব্যপক গুঞ্জন ও আলোচনা। 
এলাকার মানুষদের বক্তব্য একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কিভাবে  মন্দিরের সমস্ত সৌন্দর্য জলাঞ্জলি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে একটি ব্যবসা কেন্দ্রে পরিনত করতে যাচ্ছে?যা তাদের কাছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিরোধী কাজ বলেই মনে হচ্ছে।মহেন্দ্রগঞ্জ এলাকার অধিকাংশ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে এই প্রতিবেদককে জানান ৪৫ থেকে ৪৮টি দোকান ঘর যদি নাট মন্দিরের দক্ষিণদিকের জমিতে তৈরী করা হয় তা হলে মন্দির প্রাঙ্গনে বছরের পর বছর ধরে যে মেলা বসত তার ব্যঘাত সৃষ্টিই যে শুধু হবে তাই নয় নাট মন্দিরের সৌন্দর্যের যথেষ্টই ক্ষতি হবে বলে তারা মনে করছে।অপরদিকে এক প্রশ্নের উত্তরে মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির কমিটির সভাপতি তথা কালিয়াগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুনীল সাহা বলেন তারা কোন ভাবেই নাটমন্দিরের সৌন্দর্যে ব্যঘাত সৃষ্টি করবেনা। বরঞ্চ বর্তমানে যে ভাবে নাটমন্দিরের বিশাল চত্তর পরে থাকে তা থেকে একটি মন্দিরের পরিবেশ তৈরি করবার জন্য এই কমিটি সচেস্ট হয়েছে। সভাপতি সুনীল সাহা  বলেন মন্দিরের জমিতে মত ৪৫থেকে৪৮টি স্টল বানানো হবে।স্টলের দুই ধরনের দাম ধার্য করা  হয়েছে।একটি ৫লক্ষ ও অপরটি ৩লক্ষ৫০ হাজার   করে।সুনীল বাবু বলেন নাট মন্দিরের স্টলের উপর তলায় তৈরী হবে জগন্নাথ দেবের মন্দির এবং যে সমস্ত দরিদ্র ঘরের ছেলেমেয়েরা এখানে কোচিং নিতে আসে তাদের কোচিং ক্লাস করবার ঘর। বানানো হবে সুদৃশ্য গেট।নাট মন্দির কমিটির সম্পাদক মিহির রঞ্জন চৌধরী এক সাক্ষাৎকারে বলেন নাট মন্দিরের প্ৰতি মাসে খরচ হয় ২৫হাজার টাকা করে।এ ছাড়াও মূল উৎসবের সময় ব্যয় হয় আনুমানিক ১৫ থেকে ১৬লক্ষ টাকা।নাটমন্দির প্রতিষ্ঠানটির একটি নিদৃষ্ট আয়ের প্রয়োজন।তাই  প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই সবার সহ যোগীতা নিয়ে আমরা এই কাজে খুব শীঘ্রই হাত দেবেন বলে মিহির্ বাবু জানান।এদিকে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা সুশান্ত মোদক(পিন্টু) জানান মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির কমিটি তার জমিতে প্রচুর পরিমানে স্টল নির্মাণ করবার সিদ্দান্ত নিয়েছে মন্দিরের আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে।তবে আর্থিক সঙ্কট মিটাতে গিয়ে এই মন্দিরের যেন কোনরকম সৌন্দর্যে ব্যঘাত সৃষ্টি না হয় সেদিকে পরিচালন কমিটিকে লক্ষ রাখতে হবে।কারন কালিয়াগঞ্জের একমাত্র দর্শনীয় স্থান নাটমন্দির আমাদের সবার অহংকার।নাটমন্দিরের মেলার জায়গা সঠিক রেখে কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে হবে।কালিয়াগঞ্জ  টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা নাট মন্দির কমিটির কার্যকরী কমিটির সদস্য জয়ন্ত সাহা বলেন নাটমন্দির কমিটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেও কার্যকরী কমিটির একজন সদস্যকে কোন কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করেনা। তাই আমার এ ব্যাপারে কিছু বলার নেই।তবে জনগনের অসুবিধা করে কোনকিছু করার আগে সবার চিন্তা করেই কাজ করা  উচিৎ বলেই তিনি মনে করেন।কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির একটি বড় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। মন্দিরের আয় অনুযায়ী ব্যায় অনেক বেশি।তাই মন্দিরের আয় বাড়াতে নাট মন্দির কমিটির চতুর্দিকে পরে থাকা জমিতে কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দিরের আর্থিক সঙ্কটের হাত থেকে 
রক্ষা পেতে ৪৫–থেকে৪৮টি স্টল করা হবে। আমি এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।নাট মন্দির কমিটি যে সমস্ত কাজগুলি করবে তা করা হলে একদিকে যেমন একটা নিয়মিত আয়ের উৎস তৈরী হবে অন্যদিকে নাট মন্দিরের সৌন্দর্য অনেকাংশেই বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মনে করেন।তিনি বলেন নাট মন্দিরে প্রকৃতই মন্দিরের পরিবেশ সৃষ্টি করতে কমিটি যে সিদ্দান্ত নিয়েছে তা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। তাই নাট মন্দির নিয়ে কারো কোন চিন্তার কারন নেই।এই নাট মন্দির কালিয়াগঞ্জ বাসীর সবার।মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির কমিটি এমন কোন কাজ করবেনা যা সাধারণ মানুষের কোন ক্ষতি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *