December 5, 2024

গ্রামে বিদ্যুৎ নেই সব বাড়িতেই রয়েছে টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, মিক্সারসহ নানা রকমের বৈদ্যুতিক যন্ত্র । গ্রামের নামটি সেম্বুক্কারাই এবং থুমানুরে

1 min read

বর্তমানের
কথা
  বিদ্যুৎহীন গ্রাম সত্যিই আজব গ্রামের
খোঁজ পাওয়া গেছে। যে গ্রামে বিদ্যুৎ নেই
, তারপরও প্রায় সব
বাড়িতেই রয়েছে টিভি
, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, মিক্সারসহ নানা রকমের
বৈদ্যুতিক যন্ত্র!তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো এসব বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রগুলো চালানোর
জন্য কোনো বিদ্যুৎই নেই ওই গ্রামে! কখনও বিদ্যুৎ ছিলও না ওই গ্রামে।হয়তো প্রশ্ন
আসতে পারে তাহলে এসব যন্ত্র কেনা হলো কেনো
? এর উত্তর হলো আসলে
এগুলো কখনও কেনা হয়নি। ভোটের আবেদনের সঙ্গে (ভেট) উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে এসব
যন্ত্রগুলো।এমন আজব ঘটনাটি ভারতের তামিল নাডু রাজ্যের কোয়াম্বাটুর জেলাস্থ প্রায়
২০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত আজব দুটি গ্রাম সেম্বুক্কারাই এবং থুমানুরে গ্রাম।
 দুটি গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ১৫০ পরিবারের বসবাস।প্রতিবার ভোটের পূর্বে দুটি গ্রামের
বাসিন্দাদের বাড়িতে জমা হতে থাকে বৈদ্যুতিক সামগ্রী! এসব পাঠিয়ে নিজেদের ভোটব্যাংক
নিশ্চিত করেন স্থানীয় নেতারা। তবে মজার বিষয় হলো
, সেই ইলেকট্রনিকস
সামগ্রী ঘরে তুলেও তা চালানোর উপায় থাকে না ওই গ্রাম দুটির বাসিন্দাদের।আজকের কথা
নয়
, সেই
১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর হতে আজ পর্যন্ত এতো বছরেও সেম্বুক্কারাই এবং
থুমানুরে গ্রামে বিদ্যুৎ বাতি জ্বলেনি
;কোনো দিন! অর্থাৎ
বিদ্যুতের কোনো রকম সুবিধাই নেই এই গ্রাম দুটিতে।জানা যায়
, প্রতিবছর ভোটের সময়
এলে গ্রাম দুটিতে রাজনৈতিক নেতারা ভোট পাওয়ার আশায় গ্রামবাসীদের জন্য বিভিন্ন
রকমের ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ভেট নিয়ে যান।সেই ভেটের তালিকায় রয়েছে টিভি
, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিনের মতো
নানা ধরনের ইলেনট্রনিকস সমগ্রী। ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতার পর হতেই এই প্রত্যন্ত গ্রাম
দুটিতে আজব ধরনের এই ট্রাডিশন চালু রয়েছে।
 এই দুটি গ্রামের দেড় শতাধিক বাসিন্দার
বেশির ভাগই দিনমজুর অথবা কৃষক।এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন
, তামিলনাড়ুর ডিএমকে কিংবা
এআইএডিএমকে যে রাজনৈতিক দলের নেতা হোন না কেনো
, ভোটের মুখে ভেট নিয়ে
এসে গ্রামের বাসিন্দাদের সন্তষ্ট করে যান ভোটের সময়।নিশ্চিত করেন তাদের ভোট
ব্যাংক। ভেট পেয়ে গ্রামের মানুষরা মোনাফেকি না করে ভোটটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের
নেতাদের দেন। তবে ভোট দিলে কি হবে আসল কাজের কিছুই হয় না।ভোট মিটলেই প্রত্যন্ত
গ্রামে আর কখনও দেখা মেলে না ওইসব নেতাদের। অনেক নেতাই বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি
দিলেও আজও বাস্তবায়িত হয়নি তা।আর তাই এতো বছর ধরে সেম্বুক্কারাই এবং থুমানুরে
গ্রামের ঘরে ঘরে ইলেকট্রনিকস পণ্যের পাহাড় জমে গেছে। বছরের পর বছর ধরে বাসিন্দাদের
একটি দাবি ছিল বিদ্যুৎ দিতে হবে। তা হয়নি আজও পর্যন্ত!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *