October 27, 2024

ব্রীজ না থাকায় এযুগেও সাঁতরে পারাপার হতে হয় বাসিন্দাদের

1 min read

কমল কুমার বিশ্বাস (কুমারগঞ্জ)::ব্রীজ না থাকায় এযুগেও সাঁতরে পারাপার হতে হয় বাসিন্দাদের ..দক্ষিণ দিনাজপুরের ভৌর পঞ্চায়েত এলাকার নিমপাড়া খাঁড়ির ওপর কোনো পাকা সেতু 
না থাকায় স্বাধীনতার 70 বছর পরেও ওই এলাকার মানুষ জনকে সাঁতরে পারাপার করতে হচ্ছে |ওই খাড়ির ওপর ব্রিজ না থাকায় চরম সমস্যার মধ্যেরয়েছেননিমপাড়া,খাড়িপাড়া,খাসপাড়া,ভৌর,মন্ডল পাড়া,কলোনি ,সাহুপাড়া প্রভৃতি গ্রামের প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষ |স্থানীয়ভাবে গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি ,বি.ডি..সকলকেই স্বাধীনতার পরথেকেই বহুবার কড়া নেড়েও লাভ পান নি বাসিন্দারা |

গত বিধানসভা 
লোকসভা 
নির্বাচনে 
শাসক দলের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতিও 
দেয়া হয়েছিল এই খাঁড়ির ওপর ব্রিজ নির্মাণের ,,পঞ্চায়েত 
নির্বাচনেও প্রতিশ্রুতি 
দেয়া হয়েছিল,সেই মোতাবেক ওই এলাকার 
বাসিন্দারা নিজেদের দীর্ঘদিনের 
কষ্ট নিবারণের জন্য ভোট দিতেও 
কুন্ঠা 
করেনি |ওই এলাকারগ্রামপঞ্চায়েত প্রধান 
থেকে 
লোকসভার সংসদ পর্যন্ত সব শাসক দলের তবুও গ্রামবাসীরা যে তিমিরে 
ছিল আজ ঠিক একই জায়গায় 
,
আজকের যুগেও কোনো এম্বুলেন্স 
বা মাতৃযানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হাজার হাজার গ্রাম্য বাসিন্দারা শুধুমাত্র এই ব্রিজ না থাকার কারণে ….স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরাও ধীরে 
ধীরে পড়াশোনা বিমুখ হয়ে উঠছে,,কোনো মানুষ 
অসুস্থ হলে বর্ষাকালে কলার 
ভেলায় 
আর খরার সময় কাঁধে চাপিয়ে এই খাড়ি 
পার 
হয়েই নিকটতম হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়কৃষিজ পণ্য বিক্রয়ের জন্যও ঠিক একই পন্থা অবলম্বন করতে হয়..

.স্থানীয় এক বাসিন্দার 
কথায়এটা এখানকার 
বাসিন্দাদের লজ্জা নয় ,এটা দেশ 
জাতির লজ্জাউনার ভাষায় উন্নয়ন কি শুধু শহরের 
মানুষের জন্য ,আমরা গ্রামের লোকেরা মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের তাই এই অবহেলা 
?
আমাদের কি কোনো অধিকার নেই এই স্বাধীন দেশে 
?
আমরা কি সংসদ কে ভোট দেয়নি,বিধায়ক কে ভোট দেয়নি ??এইব্রিজ না থাকার জন্য এই এলাকার মেয়েদের বিয়ে পর্যন্ত ভালো ঘরে হয়না ….এই ব্রিজ না থাকার কারণে প্রায়শই 
দুর্ঘটনা লেগেই 
থাকে ,বহুলোক ব্রিজ থেকে পরে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়েছেন এমনকি এই সমস্ত গ্রাম এক কালে জনবহুল থাকলেও এই ব্রিজ 
না থাকার জন্য সকল রকমের 
মানবিক সামাজিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবার জন্য গ্রামগুলি আজ জনশূন্য হয়ে পড়েছে ,তবুও প্রশাসন নির্বিকারপ্রত্যেকেরএকটাই দাবি একটা পাকা ব্রিজ তৈরী করে আমাদের বাঁচার 
সুযোগ করে দেয়া হোক,আমাদের একবারের 
জন্য মানুষ ভাবা 
হোক ..এপ্রসঙ্গে কুমারগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্রীমতি উমা রায় জানান বিষয়ে 
কেও আমাকে রিপোর্ট করেনি ,আপনার মুখ থেকে সমস্ত বিষয় জানলাম ,চেষ্টা করবো সমস্যা সমাধানের l

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *