October 27, 2024

পার্থেনিয়াম গাছ থেকে সাবধান

1 min read
কমল কুমার বিশ্বাস (বালুরঘাট) 22শে জুন :-পার্থেনিয়াম গাছ থেকে সাবধান l প্রতি বছর গ্রীষ্মের শুরুতেই এই মারণ গাছের আবির্ভাব ঘটে l এই মারণ গাছের সংক্রামণের হাতে বাদ পড়েনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাও l এই গাছ কে ‘কংগ্রেস ঘাস’ বা ‘গাজর ঘাস’  বলে চেনেন অনেকেই l গ্রীষ্মকালে একটু বৃষ্টি  পেলেই এই গাছ গুলো সবুজ ডগমগে হয়ে রাস্তার ধারে বড় হয়ে ওঠে। সাক্ষাৎ মারন ফাঁদ! আসলে ‘কংগ্রেস ঘাস’ বা ‘গাজর ঘাস’ হল পার্থেনিয়াম গাছ l অনেকটা ধনে গাছের মতো দেখতে ঝোপের মতো হয়ে থাকে। পাতা সবুজ এবং ফুল গুলি সাদা। এগুলো এক ধরনের বিষাক্ত আগাছা। উদ্ভিদটি সাধারণতউচ্চতায় ১ থেকে ১.৫ মিটার পর্যন্ত হয়েথাকে l  নির্দিষ্ট বয়সে ফুল ফোটে। একটিগাছ বাঁচে তিন থেকে চার মাস। এ সময়েই তিনবার ফুল ও বীজ হয়। গোলাকার,সাদা, আঠালো


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 এবং পিচ্ছিল হয়ে থাকে এর ফুল। পার্থেনিয়ামের একটি গাছথেকে প্রায় ২৫ হাজার বীজের জন্ম হয়। স্থানীয় ভাবে একে গাজর ঘাসও বলে। বৈজ্ঞানিক নাম ‘পার্থেনিয়াম হিস্টেরোফোরাস’।পার্থেনিয়াম মূলত দেখা যায় মেক্সিকো, আমেরিকা, আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ,ভারত, পাকিস্তান, চীন, নেপাল,অস্ট্রেলিয়া,বাংলাদেশে সহ বিভিন্ন দেশে। রাস্তার ধারে, বাড়িরআশপাশে, বন-জঙ্গলে বা ফসলের মাঠে এই গাছ হয়ে থাকে।  নিন্দুকরা বলেন, তৎকালিন সময়ে বিদেশীরা নাকি এই গাছের বীজ ভারতে রপ্তানি করা গমের সঙ্গে মিশিয়ে এদেশে পাচার করেছিল। এই গাছ থেকে সৃষ্ট রোগের ঔষধ নাকি ঐ বিদেশীদের কাছেই ছিল। সেই ঔষধ বিক্রীর জন্যই নাকি এদেশে গাছ পাচার হয়েছে। পার্থেনিয়াম ফুল গুলিকে সাদা টুপি পরিহিত কংগ্রেস কর্মীদের মতো দেখতে লাগে বলে এই গাছকে অনেকে ‘কংগ্রেস ঘাস’ বলে। আবার অন্য মতও রয়েছে। ১৯৫০ সালে দুর্ভিক্ষের সময় কংগ্রেস আমেরিকা থেকে গম আমদানির সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছিল। সেই গমের মধ্যেই ভয়ংকর পার্থেনিয়াম বীজ মেশানো ছিল, যা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই মানুষ এই ঘাসের নাম দিয়েছিল ‘কংগ্রেস ঘাস’। যদিও এর সত্যতা গবেষনা সাপেক্ষ। এই গাছটি জন্মানোর পর দেখতে গাজর গাছের মতো লাগে। তাই এই গাছকে ‘গাজর ঘাস’ বলা হয় l পার্থেনিয়ামে রয়েছে পার্থেনিন নামক ক্ষতিকারক 


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

রাসায়নিকl এপ্রসঙ্গে কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের বি.এম.ও.এইচ ডঃ পুষ্পেন্দু ভট্টাচার্য্য জানান-  পার্থেনিয়ামের ফুল ও পরাগ মারাত্মক ক্ষতিকর l এসবের সংস্পর্শে চামড়ার রোগ ,এক্সিমা,চুলকানি, ফোস্কার মতো কালো দাগ হতে পারে l এছাড়াও এলার্জি ,নাক থেকে জল পরা,শ্বাস কষ্ট হতে পারে l এছাড়াও তিনি জানান যদি কোনোভাবে পার্থেনিয়ামের পরাগ বা ফুল পেটে যায় সেক্ষেত্রে ডায়রিয়া,শ্বাস কষ্ট ,দম আটকে যাওয়া,চুল পরা এসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে l ডঃ পুষ্পেন্দু আরো বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন এবিষয়ে ,তিনি জানান পার্থেনিয়াম গাছ পোড়ানোর একটা প্রবণতা কয়েক বছর হলো আপনারা লক্ষ করছেন ,মানুষ অজ্ঞানতা বশতঃ মানুষ পার্থেনিয়াম ধ্বংস করতে গিয়ে পার্থেনিয়াম গাছ পোড়ানোর কৌশল অবলম্বন করছেন ,যা বিজ্ঞান সম্মত নয় l এরফলে এর প্রাদুর্ভাব আরো ছড়িয়ে পরে l এছাড়াও মাটির গুণগত মান নষ্ট হয় এবং আলকালাইন এর প্রভাবে মাটি তার উর্বরতা হারিয়ে ফেলে l পার্থেনিয়াম গাছ ধ্বংসের একমাত্র সহজলভ্য পথ হলো গভীর গর্ত খুঁড়ে গাছ গুলোকে কেটে পুঁতে দেয়া l এছাড়াও একপ্রকারের  মথ পাওয়া যায় ,যা দিয়ে পার্থেনিয়াম ধ্বংস করা যায় l যদিও এরজন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন ,যা এমন বিশাল দেশে প্রায় অসম্ভব l এই গাছ গুলো ইথিওপিয়া সহ আফ্রিকার দেশ গুলিতে বেশি পাওয়া যায় l মূলত শুকনো জায়গায় ,গরম আবহাওয়ায় ও খোলা বাতাসে এসব গাছ দ্রুত বংশ বিস্তার করে l এরজন্যই বর্তমানে বিশেষত শিশুদের এলার্জি ও শ্বাস কষ্টের মতো সমস্যা দ্রুত বাড়ছে l মাস্ক ব্যবহারে খানিকটা ক্ষতি এড়ানো সম্ভব বলে জানান তিনি l


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *