কালাকাঁদে দিলীপ জয়? শুভেন্দুর হাতে মিষ্টিমুখ বিধানসভায়
1 min readকালাকাঁদে দিলীপ জয়? শুভেন্দুর হাতে মিষ্টিমুখ বিধানসভায়
রাজনীতিতে কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়। চিরকালের বন্ধুও বিরল হয়, চিরকাল শত্রুতাও বিরল। শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ তো পৃথক দলের নয়। একই দলের। তাই শত্রুতার বিষয়ই ছিল না। তবে অনেকে মনে করছিলেন, অভিমান-অসন্তোষে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পাহাড় জমেছে দিলীপের মনে।সেই পাহাড়ে ধস নামল কিনা, তার হদিশ দিলীপ বৃহস্পতিবারও দেননি। তবে আপাত দর্শনে একটি মিষ্টি ছবি দেখা গেল। শুভেন্দুর হাতে মিষ্টিমুখ করলেন দিলীপ ঘোষ। এক থালা কালাকাঁদ থেকে একটি নিয়ে দিলীপের মুখে পুড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা। ঘটনাচক্রে দিলীপের আজকে জন্মদিন।প্রশ্ন হল, এই কালাকাঁদ দিলীপ-শুভেন্দুর মধ্যে রসায়ন শুধরোতে পারবেন কিনা!বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এসেছিলেন দিলীপ। দলের বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করেন। খোশগল্প ও আড্ডা হয় নিজেদের মধ্যে। তারপরই শুভেন্দু এগিয়ে এসে মিষ্টি খাওয়ান দিলীপকে।
রাজ্য বিজেপির অনেকের মতে, এই পরস্পরের এগিয়ে আসাটা অর্থবহ। দিলীপ যেমন জানতেন, বিধানসভায় এলেই শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা হবে। আবার শুভেন্দুও এগিয়ে এসে বোঝাতে চান, দিলীপদাকে নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত কোনও বিরাগ নেই।দিলীপ ঘোষ রাজ্য বিজেপির সভাপতি থাকাকালীন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। মেদিনীপুরের মঞ্চে অমিত শাহর হাত থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পতাকা নেওয়ার পর শুভেন্দু দিলীপের সঙ্গে সখ্য রেখেই চলতেন। শুভেন্দুকে একদিন বাড়িতে ডেকে খাইয়ে দাইয়ে একটা জহর কোটও উপহার দিয়েছিলেন দিলীপ।কিন্তু বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দেখা যায় পারস্পরিক দূরত্ব বাড়ছে। শুভেন্দু ঘন ঘন রাজভবনে গিয়ে জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করায় প্রকাশ্যে খোঁচা দিতেন দিলীপ। বলতেন, রাজভবনকে প্রদক্ষিণ করে এই রাজনীতি তাঁর না পসন্দ।লোকসভা ভোটের সময়ে ও তার পরে এই দূরত্ব আরও বাড়ে। কারণ, দলের মধ্যে এই ধারণা জোরালো হয় যে শুভেন্দুর পরামর্শেই দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী করা হয়েছে। নতুন আসনে হেরে শুভেন্দুর উদ্দেশে ঠারেঠোরে অনেক কথাও বলেছিলেন দিলীপ।রাজ্য বিজেপির এক নেতার কথায়, দিলীপ এখন এক অদ্ভূত সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তিনি দলে আছেন ঠিকই, তবে তাঁর কোনও পদ নেই। আবার এও ঠিক যে দলে শুভেন্দুর এখন যে অবস্থান তাতে তাঁর সঙ্গে তালমিল না রেখে চললে দিল্লি বিষয়টি ভালভাবে নেবে না। সে দিক থেকে এদিনের সাক্ষাৎ প্রাসঙ্গিক বইকি।