আমি কালিয়াগঞ্জ ও চাকুলিয়ার মানুষদের ধন্যবাদ জানাই বললেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী
1 min readআমি কালিয়াগঞ্জ ও চাকুলিয়ার মানুষদের ধন্যবাদ জানাই, বললেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী
তন্ময় চক্রবর্তী নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হঠাৎই কালিয়াগঞ্জ ও চাকুলিয়ার মানুষদের ধন্যবাদ জানালেন রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। আপনারা হয়তো ভাবছেন এই দুটি বিধানসভা এলাকা থেকে তো লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছেন কৃষ্ণ বাবু তবুও কেন তিনি ধন্যবাদ জানালেন। তার যুক্তি কৃষ্ণ কল্যানী দিলেন বিধানসভা প্রচারে গিয়ে জনসমক্ষে। তিনি বলেন চাকুলিয়ার ভূমি পুত্র এবং কালিয়াগঞ্জের ভূমিপুত্র কে সেখানকার মানুষরা বিপুল মার্জিনে লোকসভা নির্বাচনে এগিয়ে দিলেও তিনি তো রায়গঞ্জের ভূমিপুত্র তাকে তো মানুষ আশীর্বাদ করেনি ভূমিপুত্র হিসেবে । তাই সে ফেল করেছে এই নির্বাচনে। এই ফেল করার পর তার রিভিউ করার কোন সুযোগ নেই। আমাকে আগের ক্লাসে বসেই আবারো পরীক্ষা দিতে হচ্ছে আপনাদের সামনে।
আগামী দশই জুলাই রায়গঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন। আর এই উপনির্বাচনে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে জমজমাট বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচার। উল্লেখ্য লোকসভা নির্বাচনের সময় রায়গঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক হিসেবে পদত্যাগ করেন কৃষ্ণ কল্যাণী। কারণ তিনি বিগত দিনে বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসের তিনি দলবদল করে চলে যান। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে। এরপর লোকসভা নির্বাচনে তিনি ৬৮ হাজার এর ও বেশী ভোটে পরাজিত হন বিজেপি প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পাল এর কাছে। এরপর ঘোষণা হয় রায়গঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই নির্বাচনেও তার উপর আস্থা রেখে প্রার্থী করেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধানসভা উপনির্বাচনের।এরপর বিভিন্ন জায়গায় প্রচারে একেবারে লোকসভার মতন করেই প্রচার করতে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী কে। রায়গঞ্জের একটি জায়গায় প্রচারে দেখা গেল আবেগ তাড়িত হয়ে তাকে বলতে জনসাধারণের মধ্যে , যে আমি বিধায়ক ছিলাম আমি কাজ করেছিলাম রায়গঞ্জ বাসীর জন্য আমি ভূমিপুত্র হয়ে আশা করেছিলাম রায়গঞ্জের মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করবেন। কিন্তু আমাকে তারা করেননি। ভালো পড়াশোনা করে পরীক্ষা ভালো দিয়েও আমি পাশ করতে পারেনি। আমি কালিয়াগঞ্জ এবং চাকুলিয়ার মানুষদের ধন্যবাদ জানাই তারা তাদের এলাকার ভূমিপুত্রকে বিপুল ভোটে লোকসভা নির্বাচনে এগিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু আপনারা আমাকে ভূমিপুত্র হিসেবে রায়গঞ্জ থেকে আশীর্বাদ করেননি। ভাল পড়াশোনা করেছি। সারা বছর ভালো কাজ করেছি। ভালো পরীক্ষা দিও ফেল করলাম এবার। তাই আগের ক্লাসে থেকে আবারো আপনাদের সামনে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।
তিনি সাধারণ মানুষদের বলেন এখন যিনি সাংসদ হয়েছেন তাকে আগামী পাঁচ বছরে দুবার ও সংসদে কথা বলতে দেখা যাবে না কারণ একটাই তিনি হিন্দি ও ইংরেজি জানেন না। তিনি বলেন যিনি জিতেছেন তাকে আমার শুভেচ্ছা দেওয়ার পাশাপাশি জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন লোকসভার যখন অধিবেশন হবে একটু খুঁজবেন ওই মানুষ কে যিনি এখানকার আপনাদের আওয়াজটা ওখানে উঠাচ্ছে কিনা। যিনি জিতেছেন তিনি হিন্দি বলতে পারেন না ইংরেজি বলতে পারেন না । কোন ভাষায় আপনার আওয়াজটা সে উঠাবে ওখানে। পাঁচ বছর সময়কালে তিনবারো সংসদে কথা বলতে পারবেনা এটা বলে রাখলাম। কৃষ্ণ কল্যাণী এদিন বলেন আমি পিএসসি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম এই রাজ্যের। যত মন্ত্রিসভার মন্ত্রণালয়ের অডিটের খাতা আস্ত সব আমার কাছে আসত। সেই খাতাটা আমি চেক করতাম।তিনি বলেন আমাকে আবার পরীক্ষা কেন দিতে হচ্ছে সেটা সবার সামনে খোলাশা করা দরকার আমাকে পরীক্ষা না দিলেও চলত। আমার দরকার ছিল না। তিন বছর রাজনীতি করলাম। আমার বড় ব্যবসা আছে। রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে আমি সেই ব্যবসাটার দিকে বেশি করে মন দিতে পারতাম। ৫০০০ কর্মী আমার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে। লোকসভায় আমি দাঁড়িয়েছিলাম ইসলামপুর থেকে কালিয়াগঞ্জ অব্দি ধুলাবালি খেয়ে ৪২°ও ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ঘুরে বেড়ানো কোন লাভ ছিল আমার। কোন দরকার ছিল না আমার। কিন্তু আমি কেন দাঁড়িয়ে ছিলাম সেই সময়ও আমাদের দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে বললেন তোমাকেই দাঁড়াতে হবে আবার। আমার তো দাঁড়ানোর কোন ব্যাপারই ছিল না। আমি আবেদন ও করিনি। আমি বিধায়ক ছিলাম পিএসসি চেয়ারম্যান ছিলাম। পিএসসি চেয়ারম্যান মন্ত্রী থেকে কম নয়। মন্ত্রীর মতন সুবিধা। তাহলে তো আমি নাও দাঁড়াতে পারতাম। কিন্তু উনার আদেশ ছিল। তাই আমাকে দাঁড়াতে হয়েছে। তারপর চার তারিখ অর্থাৎ চারই জুন যখন ফল প্রকাশ হলো আমি যখন পরাজিত হলাম পাঁচ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী আমাকে ফোন করলেন বললেন কৃষ্ণ হতাশ হবে না। আমি জানি তুমি কেন হেরেছ।তিনি বলেন লোকসভা নির্বাচনের মতন যাতে আর মানুষ ভুল না করেন তার আবেদন করেন তিনি। তিনি একটি হিন্দি ডায়লগ বলেন জিন্দেগি এক শতরঞ্জ কে খেল কি তেরা হ্যাঁয়। উঠায় ওআ কদম আপনে পিছে নাহি হাটা সাকতে। আনে বালা কদম বেহতর কর সকতে। যেটা লোকসভায় আপনারা দিয়ে দিয়েছেন সেটা আর পিছাতে পারবেন না সামনে বিধানসভা নির্বাচন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক জায়গায় ভোটটা দিবেন।