রায়গঞ্জে বিধানসভার উপ নির্বাচনে সন্দীপ _ কৃষ্ণের যুগলবন্দিতে শুরু হল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর অভিনব প্রচার। কৃষ্ণের হাতে হাত রেখে দেওয়ালে জোড়া ফুল আঁকলেন সন্দীপ বিশ্বাস
1 min readরায়গঞ্জে বিধানসভার উপ নির্বাচনে সন্দীপ _ কৃষ্ণের যুগলবন্দিতে শুরু হল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর অভিনব প্রচার। কৃষ্ণের হাতে হাত রেখে দেওয়ালে জোড়া ফুল আঁকলেন সন্দীপ বিশ্বাস
তন্ময় চক্রবর্তী রায়গঞ্জে বিধানসভার উপ নির্বাচনে সন্দীপ _ কৃষ্ণের যুগলবন্দিতে শুরু হল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর অভিনব প্রচার। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক গুঞ্জন। কারণ একটাই লোকসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যানী যখন রায়গঞ্জ পৌরসভার পৌর প্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা সন্দীপ বিশ্বাসের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে গিয়েছিলেন সেই সময় দেখা যায়নি কৃষ্ণ কল্যাণীর প্রচারে সন্দীপ বিশ্বাস কে। আজ বিধানসভা উপনির্বাচনে যখন তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী সেই 23 নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে প্রচার শুরু করেন তখন দেখা যায় সন্দীপ বিশ্বাস কে এগিয়ে আসতে কৃষ্ণ কল্যাণীর পাশে।
শুধু তাই নয় এই প্রচারে অভিনবত্ব এতটাই ছিল জোরালো যে যখন তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী দেওয়াল এ জোড়া ফুল আকছিলেন সেই সময় দেখা যায় কৃষ্ণ কল্যাণীর হাতের উপর হাত রেখে সন্দীপ বিশ্বাস কেউ একই জায়গায় একই রংয়ের তুলিতে দেয়ালে জোড়া ফুল আঁকতে।
যার ফলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের মধ্যে যথেষ্ট উন্মাদনা দেখা যায়। সকলকে বলতে শোনা যায় এইভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে যদি মাঠে ময়দানে নেমে একসাথে কাজ করা যায় তাহলে কোন শক্তি এবার বিধানসভা উপ নির্বাচনে তৃণমূলের জয়কে আটকাতে পারবেনা। আজ কৃষ্ণ কল্যাণী রায়গঞ্জের তেইশ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শুরু করে দিলেন বিধানসভা উপনির্বাচনে তার প্রচার। এদিন দেওয়াল লিখনের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে দেখা যায় পৌর প্রশাসক তথা সন্দীপ বিশ্বাস কে সঙ্গে নিয়ে মন্দিরে গিয়ে পুজো দিতেও। পুজো দেওয়ার পর লোকসভা নির্বাচনের মতন করেই প্রচার করতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে সাধারণ মানুষের সামনে গিয়ে।
এরপর সাংবাদিকদের কাছে মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যানী জানান আজ থেকে বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারের ডঙ্কা আমাদের বেজে গেছে। আমরা শুরু করলাম প্রচার রায়গঞ্জের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে যিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন মানষ ঘোস তিনি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর স্নেহধন্য হওয়ায় তারা আশঙ্কা করছেন বিগত দিনের যখন তৃণমূল কংগ্রেসের ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী তখন তিনি উত্তর দিনাজপুর জেলার অবজারভার ছিলেন আর তখন যেভাবে লুটপাটের রাজনীতি করে মানুষকে আকৃষ্ট করে দিয়েছিলেন আজ তেমনটাই তিনি করতে চেয়েছেন। তাই তার স্নেহধন্য মানুষ ঘোষকেই প্রার্থী করেছেন তিনি।
তবে তিনি বলেন সমগ্র রায়গঞ্জবাসী যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি আস্থা রেখে যেভাবে উৎসাহ সহকারে জাহির করছেন তাতে আগামী দিনে এই উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক ভালো ফল করবে। তিনি বলেন বিজেপির অনেক কর্মীরাই তার সাথে যোগাযোগ রাখছেন। তারা মানষ ঘোষকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না।
একচুয়ালি সব মানুষই চায় যে কোন দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তার যাতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি থাকে কিন্তু মানষ ঘোসের নাম ঘোষণা হওয়াতে সবাই হতাশ হয়ে পড়েছেন। ওনার নামে একাধিক দুর্নীতি রয়েছে। মানুষ সেটা মেনে নিতে পারছে না। আগামী ১০ জুলাই ইভিএমএ সাধারণ মানুষ তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করবে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যানী আরো বলেন রাজ্য সরকারের হাত ধরে যেভাবে রায়গঞ্জে উন্নয়ন হয়েছে সেই উন্নয়নকে মাথায় রেখে সাধারণ মানুষ ইভিএমএ তার মতামত প্রকাশ করবে এটাই তার বিশ্বাস।